পদত্যাগের আন্দোলনে অধ্যক্ষ কর্তৃক হামলায় আহত ৯ শিক্ষার্থী
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছৈয়দ হোছাইনের পদত্যাগের দাবীতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে ৯ জন শিক্ষার্থী। আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতাবলে অধ্যক্ষ হয়ে সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে বিতর্কিত এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার আন্দোলনের প্রথম দিনে অকস্মাৎ এ হামলা হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রিন্সিপাল ছৈয়দ হোছাইনের দোসররা মিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ন্যাক্কারজনক হামলা চালায়।শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দিন বিক্ষোভ মিছিল করে মাদ্রাসার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বর্তমান অধ্যক্ষের দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে মাদ্রাসার ক্যাম্পাস থেকে রাস্তায় বের হতে চাইলে বিতর্কিত অধ্যক্ষ ছৈয়দ হোছাইন বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা মাদ্রাসার মুল গেইটে তালা লাগিয়ে সাকিবের নেতৃত্বে, হোসাইন,মিজান ,হাবিব, রিয়াদ উল্লাহ, ইমাম হোসেন প্রকাশ খোলো, মুরশেদ, ইসমাইল, আব্দুর রহিম, দেলুওয়ার, খাইরুল আমিনসহ ৩০-৪০ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী লোহা সহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এতে ৯ জন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে জখম হয়। এই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউট ফাজিল মাদ্রাসায় দীর্ঘ দিন ধরে চলা অধ্যক্ষের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছিলো। যার ধারাবাহিকতায় বিগত ২৭ আগষ্ট মঙ্গলবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে শান্তিপূর্ণভাবে মানব বন্ধনে ডাক দিলে নির্ধারিত সময়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মানব বন্ধন শুরু করতে চাইলে সন্ত্রাসীরা লাঠি সোটা, ইট, পাটকেলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। তাদের এবং অজ্ঞাতনামা বিবাদীদের অতর্কিত আক্রমনে সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে দাউদ, ফয়েজ, মুসা, কালাম, ফারুখ, সুদাইস, শাফিউল্লাহ, সাইমুন, সাইদী, সাইফুল, তানভীরসহ আরো অনেকে আহত হয়। এ ঘটনা আহতরা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনে হামলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে হামলাকারীরা। তাদের হুমকির কারণে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা।উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার জন্য সাক্ষর করিয়ে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ টাকা আত্মসাতও করেছে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থী দাউদ। তার...