ন্যাভিগেশন মেনু

তানভীর ইসলাম কাওছার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
তানভীর ইসলাম কাওছার
May 13, 2024

জেলার খবর

নিরুওাপ ভোটের মাঠে পাল্টে গেল হিসাব

নিরুওাপ ভোটের মাঠে পাল্টে গেল হিসাব

মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় আগামী ২১ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে সদরে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা যাচাইয়ে কামাল হোসেন একক বৈধ প্রার্থী থাকায় ভোটের মাঠ ছিল অনেকটাই নীরব। কিন্তু চেয়ারম্যান পদে আরেক প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করে প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতেই পাল্টে গেছে ভোটের মাঠের চিত্র। শুরু হয়েছে জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা। চলছে জয়-পরাজয়ের হিসাব-নিকাশ।গত শুক্রবার বিকেলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী কামাল হোসেন প্রথম নির্বাচনি মতবিনিময় সভা করেন। পরে রাতে তার নির্বাচনি অফিস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। গত বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও মো. আখতারুজ্জামানের যৌথ বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে দ্রুত প্রার্থিতা ফিরিয়ে দিয়ে নির্বাচন করার জন্য রুল জারি করা হয়।স্থানীয় সূত্র জানায়, সদরে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করলে তাজুল ইসলামের প্রার্থিতা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতিল করেন। এতে অপর প্রার্থী কামাল হোসেন হন একক বৈধ প্রার্থী। ফলে তার বিজয় ছিল নিশ্চিত! অন্যদিকে তাজুল ইসলামের সমর্থকরা প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার আশায় ছিলেন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ সমর্থকরা ভোটের মাঠে ছিলেন নীরব। যদিও গত ২৬ এপ্রিল তাজের নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন হলেও প্রচার-প্রচারণা ছিল বন্ধ।এদিকে বৃহস্পতিবার তাজের প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকদের মাঝে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। জেলার সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। পাশাপাশি কামালও শুরু করেন জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচার।জানা যায়, গত ২৮ এপ্রিল মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজের মনোনয়নপত্র আপিল শুনানিতে বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. ঊর্মি বিনতে সালাম। এরপর তাজের মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট তাজের রিট আবেদন গ্ৰহণ করে বৃহস্পতিবার রুল জারি করেন। এই আদেশের পর তাজের নির্বাচনে অংশ নিতে এখন আর কোনো বাধা নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। প্রার্থী তাজুল ইসলাম তাজ বলেন, ‘আমি আমার অধিকার ফিরে পেয়েছি। আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছিল। এখন ন্যায়বিচার ফিরে পেয়েছি। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে তাদের...


Nov 28, 2023

জেলার খবর

প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে শ্রীমঙ্গলে আবার শুরু হয়েছে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন

প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে শ্রীমঙ্গলে আবার শুরু হয়েছে কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে সিলিকা বালু উত্তোলন

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় চলছে কোটি টাকার অবৈধ সিলিকা বালুর ব্যবসা। কৃষি জমিতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে সিলিকা বালু উত্তোলন করছে,এখন ও মামলা অবস্থা সিলিকা বালু উত্তোলন হচ্ছে। এলাকার ফসলি জমি নষ্ট করে এসব বালু তোলায় পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সৃষ্টি করেছে। একেকটি গর্ত নিম্নে ৫০ থেকে ১৫০ ফুট গভীর হবে।প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ বাধা দিতে সাহস পায় না। বাধা দিতে গেলে উল্টো হয়রানি শিকার হতে হয়। এই চক্র খুবই শক্তিশালী তিন ইউনিয়নের ১৪/১৫টি গ্রামের কয়েকশ’ পরিবার ও এলাকাবাসী। তেল-গ্যাস পাইপের জাতীয় গ্রীড লাইন পড়েছে হুমকির মুখে। যে কোনো সময় বা ভূমিকম্পে এসব এলাকা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। মাটির নিচের দিকে নামে, তাছাড়া আপনার ফসল ভালো করে ফলে না, সবদিকেই ক্ষতি। দিনে রাতে প্রচুর বালুর গাড়িগুলো আসতেছে সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে, এগুলোর সরকারি কোনো অনুমতি দেয়া নাই, কোনো লিজ নাই, রাজস্ব নাই, কোনো কিছু নাই। অথচ বলব যে এগুলা প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে সিলিকা বালু আসতেছে। অবৈধ সিলিকা বালু উত্তলনের সাথে জড়িত ফেরদৌস, নানু, কাউছার, ফয়েজ, কবির মুল্লা, দুদু, কদর আলী, আসলাম, এসব বালু ব্যবসায়ীরা বহুদিন যাবত ভূনবীর ও মির্জাপুর ইউনিয়ে, ড্রেজার মেশিন বালু উত্তোলন করে আসছে অবৈধ ভাবে,এখন তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ। শ্রীমঙ্গলের ভুনবীর কোনো অনুমতি তো নাই সিলিকা বালু তোলে। এ ব্যাপারে অভিযোগ করে আর কি হবে, অভিযোগ করে কোনো ফায়দা নাই। এই ব্যাপারে তো কোনো উদ্যোগ নাই, কেউ কোনো গুরুত্ব দেয় না। পরিবেশের ক্ষয়-ক্ষতির কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করছেন না। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাতে ২৯ টি সিলিকা বালু ছড়া ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক মহামান্য হাইকোর্টে এক রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে ইজারা বন্দোবস্তোতে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরে ২০১৮ সালে আদালত এনভেরনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট (ইআইএ) প্রাপ্তি সাপেক্ষে ছড়ার ইজারার অনুমোদন দিতে বলা হয়। পরবর্তীতে ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারী জেলা প্রশাসক মৌলভীবাজার কার্যালয় থেকে ১৪২৮ বাংলা সনের বৈশাখ মাস হতে ১৪২৯ বাংলা সনের ৩০ শে চৈত্র ২ বছরের জন্য ইজারা সংক্রান্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে শ্রীমঙ্গল উপজেলাতে ২৯টি ছড়ার ইজারা বন্দোবস্ত পান...