ন্যাভিগেশন মেনু

মাহমুদ হাশিম

মাহমুদ হাশিম
Mar 07, 2023

মতামত

চীনের ‘দুই অধিবেশন’ বিশ্বের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?

চীনের ‘দুই অধিবেশন’ বিশ্বের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?

চীনের শীর্ষ জাতীয় রাজনৈতিক উপদেষ্টা সংস্থা গণরাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলন-সিপিপিসিসি এবং চীনের শীর্ষ আইনসভা জাতীয় গণকংগ্রেস-এনপিসি’র বার্ষিক বৈঠক শনি ও রোববার বেইজিংয়ে মহাগণভবনে শুরু হয়েছে। এ দুটি বৈঠককে একত্রে ‘দুই অধিবেশন’ বলা হয়ে থাকে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংসহ শীর্ষস্থানীয় নেতারা সপ্তাহব্যাপী এ দু’টি অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন।  চীনের রাজনৈতিক ক্যালেন্ডারে ‘দুই অধিবেশন’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে কেন্দ্রীয় সরকার একটি কর্ম-প্রতিবেদন পেশ করে যা সাধারণত অতীতের অর্জনগুলো পর্যালোচনা করে এবং পরের বছরের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সারাদেশ থেকে বেইজিংয়ে জড়ো হওয়া হাজার হাজার আইনপ্রণেতা এবং রাজনৈতিক উপদেষ্টারা প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করবেন।  সিপিসির ২০তম জাতীয় সম্মেলনের পর এ বছরের ‘দুই অধিবেশন’ অধিক গুরুত্ববহন করে। চীনকে পর্যবেক্ষণ করতে এবং বুঝতে আগ্রহীদের কাছে দুই অধিবেশন একটি ভালো সুযোগ। ‘দুই অধিবেশন’ হলো চীনের শাসন ব্যবস্থায় এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন অঞ্চল এবং গোষ্ঠী তাদের মতামত প্রকাশ করে এবং একটি ঐকমত্যে পৌঁছায়। আইন প্রণেতারা প্রস্তাব এবং পরামর্শ জমা দেন, যখন রাজনৈতিক উপদেষ্টারা প্রস্তাব পর্যালোচনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।অনেক তাৎপর্যপূর্ণ আইন, প্রবিধান এবং নীতির উদ্ভবে এখান থেকে যা বিভিন্ন সেক্টর এবং গোষ্ঠীর সাথে সম্পর্কিত - যেমন পরিবেশ সুরক্ষা থেকে দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্যসেবা, শহুরে সমস্যা থেকে গ্রামীণ সমস্যা- সবকিছু নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে এ দুটি অধিবেশনে। চীনের বর্তমান উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে, চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বোঝা এবং তার ভবিষ্যত পথের পূর্বাভাস সম্পর্কে জানতে দুই অধিবেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জানালা।চীনাদের পাশাপাশি এ সময়ের মধ্যে, বিদেশীরা জানতে পারেন যে কোন বিষয়গুলো আলোচনায় আসছে, কোন বিষয়গুলো চীনা নেতাদের কাছে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক, কোন উন্নয়ন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, কীভাবে চীন অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে ইত্যাদি।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। তাই চীনের ‘দুই অধিবেশন’ পর্যবেক্ষণ করা আসলে চীনা অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করা। এর একটি প্রধান কাজ হল চীনের বার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের মানচিত্র তৈরি করা, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি ঘোষণা করা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেস গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ‘আধুনিকীকরণের একটি চীনা পথের মাধ্যমে...


Oct 05, 2022

মতামত

নতুন যুগের অভিযাত্রায় সহযাত্রী বাংলাদেশ ও চীন

নতুন যুগের অভিযাত্রায় সহযাত্রী বাংলাদেশ ও চীন

এক অক্টোবর জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীনে উদযাপিত হয়েছে দেশটির ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিভিন্ন দেশে চীনের দূতাবাস ও চীনা কমিউনিটির মানুষজনও নানা আয়োজনে উদযাপন করে জাতীয় দিবস। এ সব অনুষ্ঠানে শামিল হন সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কর্তাব্যক্তি ও বিভিন্ন মহলের চীন অনুরাগী বন্ধুরা। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বনেতারা চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংসহ চীনা নেতাদের অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন এ উপলক্ষে। বাংলাদেশ এবার চীনের জাতীয় দিবস ও ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন একটু আগেভাগেই হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় জাঁকজমকপূর্ণ উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চীনা দূতাবাস। সন্ধ্যায় মূল অনুষ্ঠানের আগে চায়না-বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজেস কো-অপারেশন ফোরামের সম্মেলন এবং কালারফুল ইউননান নামে বর্ণাঢ্য প্রদর্শনীর আয়োজন ছিল।পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে এ সব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ বাংলাদেশ ও চীনের সংশ্লিষ্ট মহলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, সাংবাদিক, গবেষক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং তিনটি অনুষ্ঠানেই উপস্থিত থেকে অতিথিদের স্বাগত জানান এবং গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।ওই সব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের ঐতিহ্যবাহী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করেন দু’দেশের কর্মকর্তারা। দুদেশের এ ঐতিহ্যিক সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। আগেই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হওয়ায় ১ অক্টোবর ঢাকায় বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান ছিল না চীনের জাতীয় দিবসে। তবে এ’দিন বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোতে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হয়। ক্রোড়পত্রে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংকে পাঠানো বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দনবার্তার চুম্বক অংশ উদ্ধৃত করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের একটি নাতিদীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে- যেখানে বাংলাদেশ ও চীনের ঐতিহ্যিক বন্ধুত্ব এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে ভবিষ্যতের যৌথ অভিযাত্রার আকাঙ্খা প্রতিফলিত হয়েছে।ক্রোড়পত্রে রাষ্ট্রপতি হামিদের অভিনন্দন বার্তা থেকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও চীন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, যৌথ মূল্যবোধ, মূল জাতীয় লক্ষ্য সমূহে অভিন্নতা এবং পারস্পরিক কল্যাণের উদ্দেশ্যে সহযোগিতার মূলনীতিগুলোর ভিত্তিতে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করে। আমাদের সম্পর্কগুলো...


Sep 19, 2022

মতামত

আগামী জাতীয় নির্বাচন: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখাই চ্যালেঞ্জ

আগামী জাতীয় নির্বাচন: গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখাই চ্যালেঞ্জ

সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে প্রধানমন্ত্রী তার সফরের অর্জনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। করোনা-মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকট এবং বিশ্বে আসন্ন দুর্ভিক্ষের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করে প্রস্তুতি নিতে বলেন সরকার প্রধান। পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন শেখ হাসিনা। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে যথাসময়ে নির্বাচন হবে বলে জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, আগামী নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে। তবে কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তাতে তার দল বা সরকারের কিছু করার নেই। বাংলাদেশের সরকার প্রধানের এ সব বক্তব্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের দাবি রাখে। গত ৫-৮ সেপ্টেম্বর ভারতে শেখ হাসিনার সফর ও পরে এর ফলাফল নিয়ে গত কিছুদিন ধরে বিস্তর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ উঠে আসছে সংবাদ মাধ্যমে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কিছু বক্তব্য বোদ্ধামহলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে।  শেখ হাসিনা দাবি করেন, করোনা মহামারির তিন বছরের মাথায় তাঁর সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ভারত থেকে তিনি খালি হাতে ফিরে আসেননি বলেও দাবি করেন। বলেন, প্রতিবেশি দেশ হিসেবে ব্যবসা-বাণিজ্য, কৃষি, যোগাযোগ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছে। তাঁর এবারের সফরের অর্জন হিসেবে শেখ হাসিনা কুশিয়ারা নদীর পানি প্রত্যাহারে সমঝোতাস্মারক সই, ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য দেশে বিনা মাশুলে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সড়ক, রেল ও নৌপথে যোগাযোগ স্থাপনে মতৈক্যের বিষয়গুলোকে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়কসুলভ প্রজ্ঞার সঙ্গেই বলেছেন যে, ‘দরজা বন্ধ করে কোনো লাভ হয় না। খুলে দিলেই লাভ হতে পারে। এতে মানুষের ভালো হয়, কল্যাণ হয়, কর্মসংস্থান বাড়ে’।ভারত সফরের প্রসঙ্গ ছাড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী করোনা মাহামারি ও তারপরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গোটা বিশ্বজুড়ে গভীর অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, সারাবিশ্বে দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। শেখ হাসিনা দেশবাসীক সামনের কঠিন সময় মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমি আগে থেকেই সবাইকে বলে আসছি- আমাদের মাটি আছে ফসল ফলাও, নিজের খাবার নিজে তৈরি করো। নিজেরটা আগে...


Sep 05, 2022

মতামত

বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতু উদ্বোধন: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতু উদ্বোধন: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে উন্নয়নের নতুন দিগন্ত

গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সড়কপথে সরাসরি যুক্ত হয় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে। দেশের যোগাযোগের ইতিহাসে রচিত হয় একটি বড় মাইলফলক। গোটা বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আসে অবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দু’মাস ১০ দিনের মাথায় রোববার চালু হলো ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সেতু’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে তাঁর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সেতুর উদ্বোধন করেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সেতুটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আরও একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।বরিশাল-খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের পিরোজপুর জেলার বেকুটিয়ায় কঁচা নদীর উপর নির্মিত এই সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষের আরও একটি স্বপ্ন পুরণ হলো। এর মাধ্যমে বিভাগীয় শহর বরিশালের সঙ্গে বিভাগীয় শহর ও শিল্পনগরী খুলনার সরাসরি সড়ক যোগাযোগে আর কোনো প্রতিবন্ধকতা রইলো না। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এবং গভীর সমুদ্রবন্দর পায়রার সঙ্গে দেশের ২য় সমুদ্রবন্দর মংলা ও সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোলের সঙ্গে এবং সর্বোপরি পিরোজপুরের সঙ্গে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো। যার ফলে সড়ক পথে এ দুই অঞ্চলের ১৬টি জেলার সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ও যাতায়াতের সুযোগ তৈরি হলো। পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা জেলার সঙ্গে যশোর ও খুলনার দূরত্ব এক ঘণ্টারও বেশি কমে যাবে। আর পিরোজপুর হবে এক সম্ভাবনাময় জেলা।২০১৩ সালের ১৯ মার্চ পিরোজপুরে এক জনসভায় কঁচা নদীর উপর সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশ-চীন ৮ম মৈত্রী সেতুর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।চীনের মেজর ব্রিজ রিকনাইসেন্স এন্ড ডিজাইন ইন্সটিটিউট কোম্পানি লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে চায়না রেইল ওয়াচ ১৭ ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড এই সেতুটি নির্মাণ করে। ১ হাজার ৪৯৩ মিটার দৈর্ঘের সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৮৯৪ কোটি টাকা। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার এই সেতুটি নির্মাণে ৬৫৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা দিয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ২৩৯ কোটি...


Aug 09, 2022

মতামত

ওয়াং ই’র বাংলাদেশ সফর: সংক্ষিপ্ত হলেও ফলপ্রসু ও তাৎপর্যপূর্ণ

ওয়াং ই’র বাংলাদেশ সফর: সংক্ষিপ্ত হলেও ফলপ্রসু ও তাৎপর্যপূর্ণ

শনি, রবি দু’দিন মিলিয়ে বাংলাদেশে ১৭ ঘন্টার সংক্ষিপ্ত সফর করে গেলেন চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তাঁর সফরটি খুবই সংক্ষিপ্ত হলেও সার্বিক বিবেচনায় অত্যন্ত ফলপ্রসু ও তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। সরকারি সফরে শনিবার বিকালে ঢাকা এসে পৌঁছালো পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের অনুপস্থিতিতে বিমান বন্দরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানান বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। সফরের প্রথম দিনে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ওয়াং ই। তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। একইদিন ওয়াং ই’র সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সফরের দ্বিতীয় দিনে রোববার সকালে হোটেল সোনারগাঁওয়ে প্রাতঃরাশ সভায় মিলিত হন দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়সহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য-বিনিয়োগ, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ও তাইওয়ান ইস্যু সবই আসে আলোচনায়। বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি ও তিনটি সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হচ্ছে পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর নির্মিত অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু হস্তান্তর, দুর্যোগ মোকাবেলায় পাঁচ বছর মেয়াদি সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে সহযোগিতা। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, আনুষ্ঠানিক চুক্তি ও সমঝোতাস্মারক সইয়ের বাইরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা ও প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশকে।ওয়াং ই চীনের বাজারে আরও এক শতাংশ বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ঘোষণা দেন। বাংলাদেশ আগেই ৯৭ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পেয়ে আসছিল। নতুন এক শতাংশ যুক্ত হওয়ায় এখন বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ পণ্য চীনের বাজারে শুল্ক ছাড়াই ঢুকতে পারবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী একে ওয়াং ই’র বাংলাদেশ সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে অভিহিত করেন। সত্যিকার অর্থেই এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার চীন। তবে দু’দেশের বাণিজ্যে...


Jun 08, 2022

মতামত

‘সুপার গর্জিয়াস’ উদ্বোধনের অপেক্ষায় পদ্মা সেতু: স্বপ্নপূরণের মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ

‘সুপার গর্জিয়াস’ উদ্বোধনের অপেক্ষায় পদ্মা সেতু: স্বপ্নপূরণের মাহেন্দ্রক্ষণে বাংলাদেশ

স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ। আগামী ২৫ জুন সেই মাহেন্দ্রক্ষণ! জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে পদ্মা সেতু। সেতুর দু’পারে সেই ‘সুপার গর্জিয়াস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করবেন সারাদেশের মানুষ। সাক্ষী হবেন এক অতুল গৌরবের। ২৫ জুন সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মন্ত্রিসভার সদস্য, রাজনীতিক, চীন ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ দেশবিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা। সেখানে সুধী সমাবেশ শেষে গাড়িতে করে প্রথমবারের মতো ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, দেশের বৃহত্তম পদ্মা সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে দিয়ে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সরাসরি যুক্ত হবে ঢাকা ও দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী উন্মোচন করবেন আরেকটি উদ্বোধনী ফলক। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে ৪০ ফুট উঁচু দুটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে- যাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি রয়েছে। পাশে রয়েছে নামফলক, ফোয়ারা ও ইলিশের ভাস্কর্য। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকবে। সন্ধ্যায় থাকবে আতশবাজি ও লেজার শো। পদ্মা সেতুর সেই জমকালো উদ্বোধন দেশের ৬৪টি জেলায় প্রদর্শনের ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। উদ্বোধন উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও ঢাকা জেলায় থাকবে বিশেষ আয়োজন। রাজধানীর হাতিরঝিলে থাকবে আতশবাজির আর লেজার শো’র বর্ণিল ছটা। সবকিছু মিলিয়ে সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে বাংলাদেশের একটা বড় অর্জন হিসেবে- শুধু দেশে নয়, বিদেশের কাছেও তুলে ধরতে চাইছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন- এটি হবে একটি ‘সুপার গর্জিয়াস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া দেশের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিল। ওই পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সাহসী পদক্ষেপ নেন এবং সেটা বাস্তবায়ন করেন। সঙ্গত কারণে শেখ হাসিনার সরকার এ বিরাট সাফল্যের জন্য গৌরব দাবি করতে পারে এবং এতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের এ গৌরবের অংশীদার বন্ধুরাষ্ট্র চীন। মূল সেতু নির্মাণ এবং নদীশাসনসহ পদ্মা সেতুর বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তা দিয়েছে চীনের বিভিন্ন খ্যাতনামা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। মূল সেতু নির্মাণ করেছে...


Jun 01, 2022

মতামত

বাংলাদেশে হলো চীন বিষয়ক প্রথম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক

বাংলাদেশে হলো চীন বিষয়ক প্রথম থিঙ্ক ট্যাঙ্ক

‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’-চীনের উদ্যোগে বিশ্বের একটা বিশাল অংশের সবচেয়ে বেশি দেশ, সর্বাধিক জনসংখ্যাকে জড়িত করার এবং বিপুল বিনিয়োগের এক মহা-পরিকল্পনা। এটি একুশ শতকে বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়ন প্রকল্পও বটে। যেটি একদিকে মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার মাধ্যমে চীনের সঙ্গে ইউরোপে সংযোগ সাধন করছে। অন্যদিকে এটি চীনের সঙ্গে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের মেলবন্ধন ঘটাবে। এর মূল লক্ষ্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ, বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে আদান-প্রদান এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়ন। বাংলাদেশও এ প্রকল্পের অংশীদার। ২০১৩ সালে প্রথম চীন এ মহাপরিকল্পনার কথা প্রকাশ করে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে দু’দেশ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ উদ্যোগের আওতায় সমঝোতাস্মারক স্বাক্ষর করে। তখন থেকে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের অংশ। গত ৬ বছরে দু’দেশের অর্থ-বাণিজ্য, নীতি, অবকাঠামো, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহতভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। চীনের এ উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা যাই থাকুক না কেন এ থেকে বাংলাদেশের লাভটাই যে বেশি তাতে প্রায় কারোই সংশয় নেই। তবে গুরুত্বপূর্ণ এ উদ্যোগ থেকে বাংলাদেশ যাতে সর্বাধিক পরিমান লাভবান হতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজন ছিল একাডেমিক গবেষণার। কিন্তু এতদিন বিষয়টি নিয়ে গবেষণা পরিচালনার মতো কোনো সংস্থা বা সংগঠন ছিল না।বিশেষ এ প্রয়োজনটিকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ‘বেল্ট এন্ড রোড রিসার্চ সেন্টার’-বিআরআরসি। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির আশুলিয়া ক্যম্পাসে রিসার্চ সেন্টারটির উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশে এটিই প্রথম চীন-বিষয়ক পূর্ণাঙ্গ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক।    বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে এবং দু’দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একাডেমিক গবেষণার কাজ বা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করবে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত রিসার্চ সেন্টারটি। বিআরআরসি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আয়োজক ও অতিথিদের কথায় ছিল তারই প্রতিধ্বনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে  বাংলাদেশ সরকারের সাবেক শিল্পমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান  দীলিপ বড়ুয়া বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দূরদর্শিতার নিদর্শন হলো বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ। এটি চীনের দর্শন তবে সারাবিশ্বের জন্য উপকারী ও কার্যকরী একটি উদ্যোগ। এর মাধ্যমে সার্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর উন্নয়নের পথ প্রশস্ত হবে। তিনি ড্যাফোডিলে...