ন্যাভিগেশন মেনু

সুকুমার সরকার

সুকুমার সরকার
Sep 12, 2021

সম্পাদকীয়

উচ্ছাস-শঙ্কায় ৫৪৪ দিন পর খুললো স্কুল-কলেজ

উচ্ছাস-শঙ্কায় ৫৪৪ দিন পর খুললো স্কুল-কলেজ

অভিভাবক আর শিক্ষার্থীদের প্রবল উচ্ছাস আর বিদগ্ধমহলের শঙ্কা মিশিয়ে ৫৪৪ দিন বাদে খুলল স্কুল-কলেজ।অবশেষে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে ফেরার দীর্ঘ অপেক্ষার পালা শেষ হলো। আজ রবিবার খুলে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ।এর আগে দুই দফা উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর বিভিন্নমহল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি ওঠে। অবশেষে ৫৪৩ দিন পর খুলে দেওয়া হলো প্রথম শ্রেণি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার তারিখ আগেই ঘোষণা করা হয় এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়, যাকে স্বাগত জানায় বিভিন্ন মহল।সে অনুযায়ী আজ শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়ানো হয়।প্রথম দফায় চলতি বছরের ৩১ মার্চ ও পরে ২৩ মে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসায় তা সম্ভব হয়নি।যদিও করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গত বছরের এপ্রিল থেকেই টেলিভিশনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ক্লাস প্রচার শুরু হয়। এরপর বড় স্কুল-কলেজগুলো এবং পরে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও অনলাইনে ক্লাস শুরু করে। কিন্তু মফস্বল এবং দরিদ্র পরিবারের ডিভাইস ও ইন্টারনেট সুবিধা না থাকায় সব শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হতে পারেনি।ফলে বড় ধরনের শিখন ঘাটতি তৈরি হয়। এ অবস্থায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি ওঠে। যে কারণে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের ওপরে থাকলেও স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের কাছাকাছি এলেও খোলা হয়নি।গত ৫ সেপ্টেম্বর আন্ত মন্ত্রণালয় বৈঠকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়।এই সময় থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলায়ও বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।গত ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠকে আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে একমত হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার জন্য সরকার শিক্ষার্থীদের টিকাদানে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ১৮ বছর পর্যন্ত বয়সের শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু...


Jul 21, 2021

জেলার খবর

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ফের আগুন, ৩ বছরে ১৬ বার

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ফের আগুন, ৩ বছরে ১৬ বার

ফের আগুন লাগলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে।এবার ঈদুল আযহার আগে মঙ্গলবার রাত (২০ জুলাই)পৌণে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী   শিবিরের ৯ নম্বর ক্যাম্পের বি-ব্লকে আগুন লাগে।গতরাতে আগুনে কোন হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও ৩০ থেকে ৪০টি ঝুপড়ি ঘর পুড়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার-৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি শিহাব কায়সার খান বলেন, দমকল কর্মী ও এপিবিএন সদস্যদের সহযোগিতায় খুব দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে এর আগে ৩০ থেকে ৪০টির মতো ঘর পুড়ে গেছে।অবশ্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানীর ঘটনা নতুন নয়। এই নিয়ে গত ৩ বছরে অন্তত ১৬টি অগ্নিকাণ্ডে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ভস্মীভূত হয়েছে।একবার আগুনেই ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছে। সরকারি হিসেবে ছিল ১১ জন।২০১৮ সালে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে এক অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের মা-সন্তানসহ ৪ জন মারা যায়।প্রায় ১০ হাজার বাড়িঘর ভস্মীভূত হয়ে ৪৫ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়। কিন্তু রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে কেন বারবার অগ্নিকাণ্ড ঘটছে তা অজানাই রয়ে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা শিবিরেরএ বছরের ১৩ জানুয়ারি টেকনাফে নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ৫৫২টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে। এর চারদিন পর ১৭ জানুয়ারি উখিয়া পালংখালী শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুণ লেগে চারটি লার্নিং সেন্টার পুড়ে যায়।এরপর ১৯ মার্চ উখিয়ার কুতুপালং ১৭ নং রোহিঙ্গা শিবিরের ৭৩ নাম্বার ব্লকে বিদেশী অর্থায়নে পরিচালিত সেভ দ্য চিলড্রেন হাসপাতালে এবং ১৭ মার্চ টেকনাফের জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে কয়েকটি বাড়ি ভস্মীভূত হয়।গতবছর ১২ মে উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ বসতি পুড়ে যায়। এর ৫দিনের মাথায় ১৭ মে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে আগুনে পুড়ে ৩৬২টি বসতঘর ও ৩০টি দোকানপাট পুড়ে যায়। এসব ঘটনায় আরো অর্ধ-শতাধিক রোহিঙ্গা অগ্নিদগ্ধ হয়।গত বছরের ৮ অক্টোবর কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের সি-ব্লকে আগুণ লেগে অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর পুড়ে যায়। একই বছরের এপ্রিল ২৬ কুতুপালং রেজিস্টার্ড রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকাণ্ডে ১৪টি দোকান, ১ এপ্রিল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল (পুটিনবনিয়া) রোহিঙ্গা শিবিরে অগ্নিকান্ডে স্কুলসহ...


Jul 06, 2021

জাতীয়

মোদি-মমতা’কে শ্বশুড় বাড়ির হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়ে সৌহার্দের বার্তা শেখ হাসিনার

মোদি-মমতা’কে শ্বশুড় বাড়ির হাড়িভাঙ্গা আম পাঠিয়ে সৌহার্দের বার্তা শেখ হাসিনার

সৌহার্দের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবারও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ,  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী,পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের জন্য দেশজোড়া খ্যাতি হাড়িভাঙা আম উপহার পাঠালেন।শেখ হাসিনার শ্বশুরবাড়ি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লালদীঘীবাজার সংলগ্ন।  হাড়িভাঙ্গা আম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খুব প্রিয়।  ভারতে এই জাতের আম পাওয়া যায় না। তিনি শুভেচ্ছা হিসেবে ভারতের নেতাদের কাছে এই আম পাঠিয়েছেন। ঢাকার আধিকারীকরা বলছেন, এটার সঙ্গে কূটনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে সেরা উপহার পাঠাতে রংপুরের ওই সুস্বাদু হাড়িভাঙা আমের সংগ্রহ, প্যাকেজিংসহ গোটা বিষয়টি দেখভাল করতে ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের ছয়জন কর্মকর্তাকে রংপুরে পাঠান। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা জন্য রবিবার ২ হাজার ৬০০ কেজি এবং সোমবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জন্য শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে ৩০০ কেজি হাড়িভাঙা আম পাঠিয়েছেন হাসিনা।সোমবার শেখ হাসিনার এই উপহার পেয়ে আপ্লুত বিপ্লব দেব। তিনি ট্যুইট করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ট্যুইট-‘বাংলাদেশের মাননীয়া পিএম শেখ হাসিনাজির উপহার পেয়ে আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন আজ হাসিনাজি প্রেরিত আম তুলে দেন।আমি বাংলাদেশের মাননীয়া পিএমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। মাননীয় পিএম নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী অটুট থাকুক, এই কামনাই করি। আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত আমগুলির একটি হল এই হাড়িভাঙা আম। সুস্বাদু হাড়িভাঙা আম পাঠানো হচ্ছে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা’কেও। ৭৫ বছর আগে খোড়াগাছ তেকানিপাড়ার নফেল উদ্দিন পাইকার মিঠাপুকুরের বালুয়া মাছুমপুরের তাজ সিং জামিদারের বাড়ি থেকে সুস্বাদু যে আমের চারা রোপন করেছেন আজ তা মহিরুহে পরিনত হয়েছে, দরিদ্র প্রবণ রংপুরের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফল হিসেবে সুনাম ছাড়িয়েছে দেশময়।রংপুরে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২১ জুন থেকে। এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে আম পণ্য পরিবহনের জন্য বাস-ট্রাকেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আম ব্যবসায়ীদের বিশেষ স্বাস্থ্যসেবার সুবিধাসহ তাঁদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।এরও আগে ৭ জুন মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে আমচাষিদের সঙ্গে জেলা প্রশাসন ও কৃষি...


Jun 11, 2021

জাতীয়

মৈত্রীতে মাওয়া হয়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে সাড়ে ৩ ঘণ্টায়: রেলমন্ত্রী

মৈত্রীতে মাওয়া হয়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে সাড়ে ৩ ঘণ্টায়: রেলমন্ত্রী

আর মাত্র এক বছরের অপেক্ষা। এরপরেই পূরণ হবে কাঙ্খিত স্বপ্ন। আগামী বছর জুনে শেষ হবে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ। আর রেলসেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের মার্চে। আগে যেখানে মৈত্রীরেলে করে ঢাকা বা কলকাতা, কিংবা কলকাতা থেকে ঢাকা যাতায়াতে সময় লাগতো কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা। সেখানে তিন বছর বাদে রেলসেতু চালু হলেই এই দূরত্ব অতিক্রমে সময় লাগবে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। মিডিয়াকে এমনটাই জানালেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। অপরদিকে ত্রিপুরার আগরতলা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতা যেতে রেলে সময় লাগবে মাত্র ৬ ঘন্টা। বর্তমানে রেলে করে আগরতলা থেকে কলকাতা যেতে সময় লাগে ৩০ ঘণ্টার অধিক। এখন শুধু অপেক্ষা পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার। বাংলাদেশের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। শুধু বাংলাদেশ কেন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির সিংহভাগ নাড়ী এই বাংলাদেশ। নানা কাজে বাংলাদেশের লোক যেমন কলকাতা গিয়ে থাকেন। পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ পদ্মাপাড়ে এপার বাংলায় এসে থাকেন। সাড়ে ৩ ঘন্টায় যোগাযোগ স্খাপিত হলেই উপকৃত হবেন বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশের নাগরিকরা। বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মো: নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, পদ্মা সেতুতে বাসের পাশাপাশি রেললাইন যুক্ত হচ্ছে। বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে ব্রডগেজ রেল লাইন থাকলেও পূর্বাঞ্চলের রেললাইনসমূহ মিটার গেজ। এজন্য দেশের পূর্বাঞ্চলে সমস্ত মিটার গেজ রেললাইন ব্রডগেজ ডুয়েল রেললাইন করা হচ্ছে। এমনটা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ তো বটেই ভারতের সঙ্গেও আমাদের ট্রেন যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তণ ঘটবে। ইউরোপের মতোই বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে আগরতলা অথবা অন্য কোনও রাজ্যে যাওয়া যাবে ট্রেনে। বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সীমান্ত স্টেশন দর্শনা, এরপর নদীয়ার গেদে হয়ে কলকাতা পর্যন্ত ৪০০ কিলোমিটার রেলপথ পাড়ি দিতে হয়। এর মধ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে ২৮০ কিলোমিটার ও ভারতের মধ্যে ১২৯ কিলোমিটার। কিন্তু, পদ্মায় রেল সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা, নড়াইল জেলা ও যশোর হয়ে বেনাপোল সীমান্ত পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার এবং পশ্চিমবঙ্গের হরিদাসপুর সীমান্ত দিয়ে বনগাঁও জংশন হয়ে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত ৭৯ কিলোমিটার। মোট ২৫১ কিলোমিটার রেলপথ যেতে সাড়ে তিন ঘন্টার বেশি লাগার কথা নয়। এরপর বেনাপোল পার হয়ে হরিদাসপুর ঢুকলেই বিদ্যুৎ...


Jun 07, 2021

জাতীয়

ছয় দফার পথ বেয়ে এসেছে স্বাধীনতা

ছয় দফার পথ বেয়ে এসেছে স্বাধীনতা

বাঙালি জাতির মুক্তি সনদ হিসেবে  ১৯৬৬ সালে ৬-দফা দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমরা প্রতিবছর  ৭ জুন ৬-দফা দিবস পালন করে থাকি।  ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে চৌধুরী মোহাম্মদ আলীর বাসভবনে কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে বিরোধী দলের সম্মেলন হয়েছিল। এই সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছয়-দফা দাবি পেশ করেন। কিন্তু প্রস্তাবটি গৃহীত হয় না।  পরেরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের কয়েকটি পত্রিকা ৬ দফা দাবি সম্পর্কে জানায়, পাকিস্তান দ্বিখণ্ডিত করার জন্যই ৬-দফা দাবি আনা হয়েছে।  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১০ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান।বঙ্গবন্ধু  ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফিরে বিমানবন্দরেই সাংবাদিকদের সামনে ৬-দফা সংক্ষিপ্ত বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৬-দফা দাবিতে পাকিস্তানের প্রত্যেক প্রদেশকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দল এ দাবি গ্রহণ বা আলোচনা করতেও রাজি হয়নি।এরপর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটিতে ৬-দফা দাবি পাস করা হয়। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে এ দাবি গ্রহণ করা হয়। ব্যাপকভাবে এ দাবি প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় দলের নেতৃবৃন্দ সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান সফর করে জনগণের কাছে এ দাবি তুলে ধরবেন।৬-দফা দাবির ওপর বঙ্গবন্ধুর লেখা একটি পুস্তিকা দলের সাধারণ সম্পাদকের নামে প্রকাশ করা হয়। লিফলেট, পোস্টার ইত্যাদির মাধ্যমেও এ দাবিনামা জনগণের কাছে তুলে ধরা হয়। ১৯৬৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে ছয় দফা কর্মসূচির অনুকূলে গণসমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে গণসংযোগ শুরু হয়।বঙ্গবন্ধুর ৬-দফা নিয়ে টানা তিন মাস গণসংযোগ করেন। প্রমাদ গোনে  পাকিস্তান সরকার।   নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধুকে ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনের প্রথম তিন মাসেই বঙ্গবন্ধু আটবার গ্রেপ্তার হন। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে কখনো ঢাকা, সিলেটে, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জে গ্রেপ্তার করা হয়।  ১৯৬৬ সালের ৮ মে নারায়ণগঞ্জের জনসভায় বক্তৃতা শেষে ঢাকায় ফিরে এলে ওই দিন রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মুক্তির আগ পর্যন্ত প্রায় তিন বছর একনাগাড়ে কারাগারে থাকেন।একই বছরের ৭ জুন ছয় দফার প্রতি সমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুসহ গ্রেপ্তার অন্য রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের ডাকে সমগ্র পূর্ব বাংলায় সাধারণ ধর্মঘট পালিত...


May 09, 2021

জেলার খবর

নাড়ীর টানে গতি, রুখিবে কার সাধ্য

নাড়ীর টানে গতি, রুখিবে কার সাধ্য

করোনা সংক্রমণ ও মাত্রাতিরিক্ত মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে এবার ঈদ ফিতর  উৎসবে রাজধানী ঢাকার মানুষদের গ্রামের বাড়ি ফিরতে নিরুৎসাহিত করছে সরকার। তারই অংশ হিসেবে এবার আন্ত:জেলা বাসসহ সকল যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।কিন্তু কথায় আছে, বাঙালি ঘরমুখো। তাঁদের কাছে নাড়ীর টান বড় টান। সে তো স্বয়ং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মায়ের কাছে যেতে নৌকা না পেয়ে প্রমত্তা হুগলি নদী পরযন্ত সাঁতরে পার হতে পিছপা হননি।শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়- রীতিমতো পথে পথে ও নৌঘাটে পুলিশ ও আধাসামরিক সদস্য বিজিবি মোতায়েন করেও ঘরমুখো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ সামাল দিতে মুন্সীগঞ্জের  মাওয়া ও শিমুলিয়া ফেরিঘাট, ঢাকার অদূরে পাটুরিয়া ফেরিঘাট, টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুসহ ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় যাবার পথসমূকে  পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। তার পরও পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নাড়ির টানে পুলিশ-বিজিবির বাঁধা উপেক্ষা করে গত কয়েকদিনের মতো আজ  রবিবারও বাড়ি ফেরা মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।ঘরমুখী মানুষ রোগি সেজে অ্যাম্বুলেন্স,ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ছুটছে নিজ নিজ গন্তব্যে।নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু দূরপাল্লার বাসও চলাচল করছে। রবিবার ভোর থেকে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় বিজিবি মোতায়েন করা হয় ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার গন্তব্য পথে।আজ  সকালে বিআইডব্লিউটিসি মানুষের চাপ সামাল দিতে পাঁচটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি ফরিদপুর শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছাড়ে। এ সময় বিপুল পরিমাণ মানুষ গাদাগাদি করে ফেরিতে উঠে পড়ে।ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরাও আরেক ঈদ আনন্দ তাদের কাছে। পথে পথে পুলিশ-বিজিবির চেকপোস্ট থাকা ঢাকা থেকে মানুষ ছুটছে গ্রামের বাড়িতে। পাটুরিয়া ঘাটে লোকজনের চাপে এমন কাণ্ড ঘটে যে, ছাড়ার আগে ফেরির ডালা উঠানোও যাচ্ছিলো না।এসময় পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে ফেরির ডালা উঠানোর কোনরকম ব্যবস্থা করে। কিন্তু গাদাগাদি অবস্থায় ছোট ফেরিটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেড় সহস্রাধিক মানুষ পদ্মা পাড়ি দিল।এরপরে ফেরি শাহ পরান ঘাটে আসলে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে উঠে যায়। ৫ সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ছেড়ে যায়। এই ফেরিতেও তিল ধারনেরও জায়গা ছিল না। তবে এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের...


May 02, 2021

ভারত

ঘাসফুল দিয়ে বাইডেন তাঁর স্ত্রী’কে আর মমতা রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন

ঘাসফুল দিয়ে বাইডেন তাঁর স্ত্রী’কে আর মমতা রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন

শুক্রবার একটি বিদেশি পত্রিকায় ছবি দেখেছিলাম আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর প্রাণপ্রিয় স্ত্রীকে ঘাসফুল দিয়ে ভালবাসা জানাচ্ছেন।তখনি আমার মনে প্রশ্ন জেগেছিল পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল নেত্রীর ছায়া হয়ে দেখা দিলেন কী জো বাইডেন।তবে কী তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?যেভাবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে পশ্চিমবঙ্গে। কে হারে, কে জেতে বোঝা মুসকিল্। তবে বিজয়ের শেষ হাসি হাসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে ঘাসফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফের এর ওপর আস্থা রাখতে বারতা দিলেন।   মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় রাজ্যবাসীকে তাঁর দলীয় প্রতীক বাংলার মাঠে-ঘাটে অনাদরে অবহেলায় বেড়ে ওঠা ঘাসফুল দিয়ে তৃতীয়দফায় শুভেচ্ছা জানালেন।পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয়বার প্রত্যাবর্তন কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিরোধীদের জন্য কড়া বার্তা বাহক হয়ে রইল। মাটি কামড়ে কীভাবে পড়ে থাকতে হয়, দিদি তা শিখিয়ে দিলেন। কখনও মমতাময়ী জননেত্রী হিসেবে তো কখনও অভিভাবক, আবার কখনও কড়া দলনেত্রী হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন।সে আমফান হোক বা করোনার চোখ রাঙানি, আদর্শ ক্যাপ্টেনের মতোই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই যে কোনও রাজনৈতিক দলের জন্যই কড়া টক্কর, তা বলা এতটুকু অত্যুক্তি হবে না।‘একপায়ে বাংলা দখল করব, আর দু’পায়ে দিল্লি’। গতমাসে ভোট প্রচারের জনসভা থেকে এভাবেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাঙা পায়েই ময়দানে নেমেছিলেন জননেত্রী।কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারের বিরুদ্ধে কার্যত একাই ২৯৪টি আসনে লড়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ওঠা গেরুয়া ঝড়কে বিধানসভা ভোটে একার নেতৃত্বে রুখে দিয়েছেন তিনি।সেই দীর্ঘ লড়াই আর আত্মত্যাগের আজ মধুর ফল পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিজেপিকে অনেকখানি পিছনে ফেলে ম্যাজিক ফিগারের অনেক বেশি আসন নিয়ে আরও একবার বঙ্গে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করল মমতার তৃণমূল সরকার। আর দিদির কাছেই রইল বাংলা।পশ্চিমবাংলার ইতিহাসে এবার এই একুশের নির্বাচনের আগে অদ্ভুত এক দলবদলের আবহ তৈরি হয়েছিল। তৃণমূলের ঘরভাঙা নিয়ে একটা সময় দলের অন্দরেও চিন্তার ভাঁজ পড়ে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই যে বাংলার মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য যথেষ্ট  ছিল, তা তৃতীয়বারের জন্য প্রমাণ করে দিলেন তৃণমূল নেত্রী।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কপালে ঘাম জমলেও দলত্যাগীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে দেখা যায়নি মমতাকে। বরং বলে দিয়েছিলেন, যাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে না ভেবে, যাঁরা দীর্ঘ দশ বছর...


Mar 27, 2021

ভারত

পশ্চিমবঙ্গ মসনদ নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মোদি-মমতা, ভোট শুরু, রেজাল্ট ২ মে

পশ্চিমবঙ্গ মসনদ নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে মোদি-মমতা, ভোট শুরু, রেজাল্ট ২ মে

দরজায় কড়া নাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার ভোট। ২৭ মার্চ  যতো ঘনিয়ে আসছে ভোট যুদ্ধের দামাম ততই বেজে উঠছে। কে গড়বেন সরকার, আর কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী? তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে বিজেপির দিলীপ ঘোষের। খাতায় ছিল প্রখ্যাত ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলীর নামও। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগ না দেওয়ায় আলোচনায় জল ঢেলে পড়েছে। তবে মসনদে কে বসবেন, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে ২ মে অবধি। এদিকে এক সমীক্ষায় সৌরভ গাঙ্গুলীর রাজনীতিতে যোগদান করা উচিত হবে কি না, সেই প্রশ্নের জবাবে ৭৭ শতাংশ ভোটার হ্যাঁ বলেছেন।  যাইহোক, পশ্চিমবঙ্গ মসনদে যেতে এবার দলবদলের পালা ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতালাভের পর এমনটি আগে কখনো দেখা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গে শাসনক্ষমতায় যেতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে নেমে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি এবং রাজ্য সরকার তৃণমূল কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদি এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেকোন দলকে জিততে হলে ১৪৮টি আসন চাই। সেই ভাবনা থেকেই বিজেপির লক্ষ্য, পশ্চিমবঙ্গে তাদের জিততে হবে কম করে ১৮০টি আসনে। আর তৃণমূল সেভাবে এবার লোকসভার মতো কোনো ঘোষণা দেয়নি। তবে বলেছে, ২০২১ সালে ফের ক্ষমতায় আসবে তৃণমূল। এদিকে ভারতসহ পার্শ্ব দেশ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাধারণের মধ্যে এই প্রশ্ন এসে দাঁড়িয়েছে যে, সত্যি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন, নাকি বিজেপি ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে লোকসভার মতো নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে? কেননা এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, এরআগে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে। শুধু ১৮ আসনে জয়লাভ করেনি, জয় পেয়েছে এই রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১২১টি আসনে। সম্প্রতি এক জরিপে তৃণমূল ফের আশার আলো দেখার সুযোগ পেয়েছে। ভোটারদের মনোভাব জানতে যৌথভাবে সমীক্ষা চালায় এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্স । ৮ হাজার ৯৬০ জন পুরুষ ও নারী ভোটারের ওপর চালানো এই জনমত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। যে ফলাফল উঠে এসেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে, তৃণমূল পেতে পারে ১৪৬ থেকে ১৫৬ আসন। বিজেপি পেতে পারে ১১৩ থেকে ১২১ আসন। আর কংগ্রেস-বাম জোট পেতে পারে ২০ থেকে ২৮টি আসন। রাজ্যে সরকার গড়তে হলে প্রয়োজন ১৪৮টি আসন।সমীক্ষায় আরও বলা...


Mar 26, 2021

জাতীয়

পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালীজাতির মুক্তির দিন আজ

পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালীজাতির মুক্তির দিন আজ

আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালীজাতির শৃঙ্খল মুক্তির দিন আজ। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা ওড়ানোর দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজ মধ্যরাতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন।বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই শুরু হয়েছিল একাত্তরের আজকের এই দিনে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহার্ঘ স্বাধীনতা।  বাংলাদেশের স্বাধীকার আদায়ের দৃঢ় মনোবল নিয়ে পশুশক্তিকে পরাজিত করে ঘোর অন্ধকার-অমানিশা কাটিয়ে বাংলার চিরসবুজ জমিনে রক্তে রাঙানো লাল-সবুজ পতাকার ভ্রূণ জন্ম নেয় আজকের ঐতিহাসিক দিনটিতেই।দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দু’শ বছরের ব্রিটিশ-বেনিয়া শাসনের অবসানের পর ২৪ বছর ধরে চলে বিজাতীয় ভাষা, গোষ্ঠীর শাসন ও শোষণ।বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশের অস্তিত্ব ঘোষণা করেছিল বীর বাঙালি। হানাদার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বাঙালী জাতি। জীবন দিয়েছিলেন ৩০ লাখ বাঙালী। আর ১০ লাখ মা-বোনকে ইজ্জত হারাতে হয়েছিল স্বাধীনতার জন্য। রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের সূচনার গৌরব ও অহঙ্কারের দৃপ্ত শপথের দিন আজ। ২৫ মার্চ পাকিস্তান হায়নাদের কথিত ‘সার্চলাইট’-এর ভয়াল ‘কালরাত্রিতে লাশের সারি আর জননীর কান্না নিয়ে রক্তে রাঙা নতুন সূর্য উঠেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ভীতবিহ্বল মানুষ দেখল লাশপোড়া ভোর। সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ। আকাশে কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। রক্তচোষা পাকিস্তানি হায়েনাদের পৈশাচিক হামলায় ২৫ মার্চ রাতে লাখ নিরস্ত্র বাঙালী প্রাণ হারিয়েছিল। কিন্তু দমে যাবার পাত্র নয় বীর বাঙালী।এমন পৈশাচিক কাণ্ডে বাঙলার মানুষের চোখে জল এলেও বুকে জ্বলে উঠেছিল প্রতিরোধ-প্রতিশোধের তীব্র আগুন। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জ্বলে উঠল মুক্তিকামী মানুষের রোষ। হাতে তুলে নিল অস্ত্র। গড়ে তুললো চরম  প্রতিরোধ। মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে ‘জয় বাংলা’ তীব্র স্লোগান তুলে ট্যাংকের সামনে এগিয়ে দিল সাহসী বুক। আজ থেকে ৫০ বছর আগে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা।শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনপণ সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালি।  ঘোরতর ওই অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য।এ পরাধীনতার শৃংখল...


Mar 25, 2021

জাতীয়

২৫ মার্চ কালোরাতে গণহত্যায় নামে পাকিস্তান

২৫ মার্চ কালোরাতে গণহত্যায় নামে পাকিস্তান

পাকিস্তান বুঝে গিয়েছিল স্বাধীনতাকামী বাঙালীকে আর দমিয়ে রাখা যাবে না। তাই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা পোড়ামাটি নীতি গ্রহণ করে। তাদের লক্ষ্য ছিল- বাংলাদেশের মাটি চাই, মানুষ নয়। অস্ত্রের ওপর ভরসা করে অগ্রসর হয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের এ এক ভয়াবহ রক্তপিশাচ নীতি।১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ। বাঙ্গালীর জীবনে একটি দুঃস্বপ্নের কালো রাত। অপারেশন সার্চলাইট নাম দিয়ে এই রাতে পাকিস্তান সামরিক বাহিনী ঢাকায় শুরু করে গণহত্যাযজ্ঞ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আধুনিক যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এ রাতে ঢাকায় প্রাণ হারায় এক লাখ নিরস্ত্র মানুষ।বাঙালির স্বাধীকার আন্দোলন, এমনকি জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলে প্রাপ্ত আইনসঙ্গত অধিকারকেও রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী শুারু করেছিল সারাদেশে গণহত্যা।গণহত্যা শুরু করার নির্দেশ দিয়ে ২৫ মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগ করে। তার পাকিস্তান পৌঁছানোর আগেই ঢাকায় গণহত্যা শরু হয়৷ আর সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বাঙালির প্রিয়নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।গ্রেপ্তার করে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে৷ তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান৷ অবশ্য তার আগে ৭ মার্চের ভাষণেই তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, যার যা আছে তা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে৷২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘুমন্ত ঢাকাবাসীর ওপর হামলার পাশাপাশি অভিযানে নামে  ঢাকায় ইপিআর সদর দপ্তর, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবাসে৷গোলা নিক্ষেপ করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রাবাসে, হামলা চালায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বস্তি এলাকায়৷ ইতিহাসের এই নির্মম নিধনযজ্ঞ চলে পুরো ঢাকা শহরে৷ ঘুমন্ত মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়নারা৷তবে সেই রাতেই রাজারবাগ পুলিশ লাইন থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়৷ ইপিআর সদস্যরাও প্রতিরোধের চেষ্টা করে জীবন দেন৷নয়মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পাকিস্তানি সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল খাদিম রাজা, গুল হাসান খান তাদের আত্মজীবনীমূলক বইয়ে ঢাকায়  ‘অপারেশন সার্চ লাইট'-এর কথা বলেছেন৷বাঙালী গণহত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল তাদের নামও লিখেছে৷ খাদিম রাজার ‘স্ট্রেঞ্জার ইন ওন কান্ট্রি' বইটি এক্ষেত্রে খুবই তথ্যবহুল৷ মুক্তিযুদ্ধ চলার সময় ১৯৭১ সালের ৫ আগস্ট একটি প্রতিবেদন...


Mar 23, 2021

মতামত

মোদির ঢাকা সফর প্রমাণ করে দু’দেশের সৃদৃঢ় আস্থার বন্ধন

মোদির ঢাকা সফর প্রমাণ করে দু’দেশের সৃদৃঢ় আস্থার বন্ধন

উভয় দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মানুষের চোখ এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর ঘিরে। কেননা  বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্কটি অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অতি উচ্চতায় বিরাজ করছে।২০০১ থেকে ২০০৬ সাল অবধি বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত জমানাকালে পাকিস্তানের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধায় যে বৈরিতা সৃষ্টি হয়েছিল তা কাটিয়ে এই মুহূর্তে দু’দেশের সরকারের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সুদৃঢ় আস্থা সৃষ্টি হয়েছে। এ আস্থার কথা দুই দেশের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কথায় বারে বারে উঠে এসেছে।বাংলাদেশ হচ্ছে ভারতের নিকটতম প্রতিবেশি দেশ। তদুপরি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে  ভারত সর্বতো সহয়তা দিয়েছে। তাই ভারত নিয়ে বাংলাদেশের দেশের মানুষের আগ্রহটাও বেশি। ভারতে টানা দুইবারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৈশ্বিক করোনা-১৯’কে তুড়ি মেরে ২৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন।যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের দৃঢ়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মোদি তাঁর বক্তব্যে বারে বারে পড়শিদের সঙ্গে সম্পর্ক গাড় করার কথা জোর দিয়েছেন। আর এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ রয়েছে অন্য পড়শীদের চেয়ে সর্বাগ্রে। এর অন্যতম উদাহরণ কোভিড-১৯ টিকা অন্য দেশে পাঠানোর আগেই বাংলাদেশকে দিয়েছেন মোদি সরকার।সেরাম থেকে ক্রয় বাবদ তিন কোটি  ভ্যাকসিন পাঠানের আগেই ভারত শুভেচ্ছা হিসেবে দিয়েছে ২০ লাখ ভ্যাকসিন। অর্থাৎ মোদি বাংলাদেশের ব্যাপারে তাঁর কথার সঙ্গে তাঁর কাজের মিল রেখেছেন।গত ১৭ মার্চ বাংলাদেশের জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিনে বাংলায় টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সকল ভারতীয় নাগরিকের কাছে একজন বীর। মোদি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার এবং স্বাধীনতার রক্ষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।তিনি সকল ভারতীয় নাগরিকের কাছেও একজন বীর। একই সঙ্গে মোদি বলেন, ‘ ঐতিহাসিক মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করতে পারাটা আমার জন্য সত্যিই সম্মানের বিষয়।ইউরোপীয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিস জানিয়েছে, মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বাংলাদেশ-ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির সফর উভয় দেশের মধ্যকার সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তিশালী বন্ধুত্বের প্রতিশ্রুতি দেয়। ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করে নরেন্দ্র মোদির এই সফর।তিনি ২৬ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা...


Mar 17, 2021

সম্পাদকীয়

বাঙালির মুক্তিদাতা  জাতির পিতার আজ শুভ জন্মদিন

বাঙালির মুক্তিদাতা জাতির পিতার আজ শুভ জন্মদিন

আজ  ১৭ মার্চ। বাঙালি জাতির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ-তিতিক্ষার ফলে বিশ্বে আজ আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঙালি হিসেবে একটা স্বতন্ত্র পরিচয় অর্জন করেছি। এক সময় স্বাধীন বাংলাদেশ- যা ছিল বাঙালিদের কাছে একটা স্বপ্নের মতো। ঝোঁপ-জঙ্গলে ভরা এই বঙ্গের মানুষেরা ছিল অতি সাধারণ। স্বাধীনতা কী তা তাঁদের কোন কাছে কোন ধারণা ছিল না।আজ বাংলাদেশের সবকিছুতেই অনিবার্যভাবে বঙ্গবন্ধুর নাম চলে আসে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুকে বাদ রেখে এক লাইনও বাংলাদেশের  ইতিহাস রচনা করা সম্ভব নয়।এটা অনুধাবন করেই কবি-মনীষী অন্নদাশঙ্কর রায়- বঙ্গবন্ধুকে বাঙালি ও বাংলাদেশে চিরস্থায়ী নেতা আখ্যা দিয়ে লিখেছেন- ‘যতদিন রবে পদ্মা-যমুনা গৌরী-মেঘনা বহমান/ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।’১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের হাত ধরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখানোর যে সূচনা বঙ্গবন্ধু করেছিলেন, তারই প্রতিফলন ঘটান প্রায় ১৯ বছর পর। ১৯৭১-এ, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তাঁর কাছেই পাওয়া বাঙালির আত্মার সংযোগ, আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। তিনি অবিসংবাদিত নেতা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ।বাঙালির জীবনযাত্রা ছিল অতি সাধারণ। কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের মানুষ দিনভর মাঠে কাজ শেষে বিকেলেই ঘরে ফিরতো। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়তো। উন্নত জীবনযাত্রা কী, তা ছিল অজানা।তদুপরি বিদেশি বর্গিরা এই জনপদে এসে হানা দিয়ে সম্পদ লুটে-পুটে নিয়ে যেতো। বর্গিদের ভয়ে মানুষ থাকতো তটস্থ। আমাদের সরলমনার সুযোগ নিয়ে বিদেশি শক্তি বণিক থেকে শাসক রুপে চেপে বসেছে বারে বারে। তাদের একটাই লক্ষ্য এই বাংলার সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া।একাধিক বিদেশি বর্গি আমাদের ঘাড়ে এসে চেপে বসেছে। প্রথমে তারা আমাদের দেশে এসেছে বণিকের ছদ্মবেশে। এরপর সুযোগ বুঝে শোষকরুপে চেপে বসেছে।গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বাবা-মা  ছেলের নাম আদর করে রেখেছিলেন খোকা। সেই ছোট খোকাই বাঙালি জাতির ত্রাতা। তাই তো বাংলাদেশের মানুষ তাঁকে উপাধী দিয়েছিল ‘বঙ্গবন্ধু’।বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না। পরিচিতি লাভ করতে পারতাম না বাঙালি হিসেবে। বিশ্বে বাঙালি আজ কর্মঠ হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে।  দেশও লাভ করছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। অথচ পাকিস্তানের শাসনে থাকলে আমাদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ থাকতো না। বাঙালি জাতির জাতি...


Mar 07, 2021

মার্চ ১৯৭১

৭ মার্চ ভাষণই বঙ্গবন্ধু’র স্বাধীনতার ঘোষণা

৭ মার্চ ভাষণই বঙ্গবন্ধু’র স্বাধীনতার ঘোষণা

একজন মহান নেতার জন্মগ্রহণের কারণে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। তাঁর আগমন না ঘটলো বাঙালি স্বাধীনতার স্বাদ পেত না। বিশ্বে বাঙালি হিসেবে পরিচিতি পেত না। আজ বিশ্বে আমরা বাঙালি জাতি সুপরিচিতি পেয়েছি। মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।  সবারই জানা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা আসে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ।  স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীণ পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে অসীম সাহসিকতার সাথে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বিকাল৩.২০ মিনিটে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে ১৮ মিনিটব্যাপী ঐতিহাসিক ভাষণেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।ইউনেস্কো ৭ মার্চের ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের সম্ভারে তালিকাভুক্ত করেছে। ইউনেস্কো ৭ মার্চ  স্বীকৃতি দিয়ে বলেছে, গণতন্ত্র, উচ্চ মানবিকতা, ত্যাগ ও দেশপ্রেমের উজ্জ্বল আদর্শ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম,জাতিভেদ-বৈষম্য ও জাতি-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতার মুক্তির সংগ্রামে যুগে যুগে এ ভাষণ অনুপ্রেরণা জোগাবে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, রাষ্ট্রনায়ক, সমরকুশলী- সবার জন্যই এ ভাষণে অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে।আমাদের স্বাধীনতার জন্য বাঙালির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বর্বর সামরিক জান্তা পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠির অসহ্য নির্যাতন সইতে হয়েছে। তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কেটেছে পাকিস্তানের কারাগারে।তবে বাঙালির এ স্বাধীনতা সহজে অর্জিত হয়নি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতিকে ২১ বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেই ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সাল অবধি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তীতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনায় বাঙালি জাতিকে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছে দেয়।বঙ্গবন্ধু বুঝেছিলেন পাকিস্তান আমাদের ওপর শোষণ-শাসন চালিয়ে যাবে। বাঙালি হিসেবে আমাদের দাঁড়াতে দেবে না। তাদের শোষণের যাতাকলে রেখে দেবে। দারিদ্রতা আমাদের নিত্য সঙ্গী হয়েই থাকবে।বঙ্গবন্ধু এটা বুঝতে পেরে ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতার সোপান হিসেবে ৬ দফা ঘোষণা করে। পাকিস্তান বিপদ আঁচ করতে পেরে তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে পাকিস্তান ভাঙ্গার অভিযোগ দাঁড় করায়। পোরা হয় সামরিক কারাগারে।অর্থাৎ দেশদ্রোহিতার অভিযোগ তুলে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝোলানো। কিছুদিন লোক দেখানো বিচারও চলে। কিন্তু বাঙালি বসে থাকেনি। পাকিস্তানের শয়তানি বুঁঝতে পেরে দুর্বার গণআন্দোলন শুরু করে। বাধ্য হয়েই সামরিক জান্তা বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।এরপরেই আসে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন।...


Feb 21, 2021

সম্পাদকীয়

একুশের পথ বেয়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

একুশের পথ বেয়ে এসেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা

একুশে ফেব্রুয়ারি বাঙালীর জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহাসিক দিন। একুশের আন্দোলনের বীজের মধ্যে অঙ্কুরিত ছিল বাঙালীর স্বাধীনতার মন্ত্র। একুশের মধ্য দিয়ে এসেছে স্বাধীনতা সংগ্রাম। সে এক মহা ইতিহাস। যার নায়ক জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।মাতৃভাষা বাংলার দাবিতে বাঙালীর অকাতরে প্রাণ দেওয়ার ঘটনা বিশ্বকে তাঁক লাগিয়ে দিয়েছে।অনন্য দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিন বাঙালী রক্ত দিয়ে বিশ্ববাসীর কাছ থেকে তাঁর মাতৃভাষার মর্যাদা লাভ করেছে।বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু’র জীবনের বেশির ভাগ কেটেছে দখলদার পাকিস্তানের কারাগারে। কারাগারে বসেই তিনি একুশে ফেব্রুয়ারির আন্দোলনকে বেগবান করেছেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আজ শুধু বাংলাদেশেই নয় - একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিরল মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। সারাবিশ্বে শ্রদ্ধার সঙ্গে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মূলত ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনই আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের গোড়াপত্তন করে দিয়েছিল। এক কথায় ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা এসেছে। ভাষা আন্দোলন আমাদের শিখিয়ে দিয়েছিল শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে কিভাবে দাঁড়াতে হয়, মুক্তি কিভাবে আদায় করতে হয়।পাকিস্তান সৃষ্টির পর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে এসে দেশটির  গভর্নর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকার রেসকোর্সের (বর্তমানে সুরাবর্দি উদ্যান) জনসভায় এবং কার্জন হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উর্দুকেই একমাত্র রাষ্ট্রভাষা বলে ঘোষণা দেন।সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র জনতার মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এরপর ঢাকার পল্টন ময়দানে আবার ভাষাবিদ্রোহ উস্কে দেন জিন্নাহ। তিনি বলেন, একমাত্র উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর ফলাফল ছিল সুদূর প্রসারী।১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান গণপরিষদে ইংরেজি ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলায় বক্তৃতা প্রদান এবং সরকারী কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেন কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত। তিনি বাংলাকে দেশের সিংহভাগ নাগরিকের ভাষা উল্লেখ করে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবি জানান। সরকারী কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদও জানান তিনি। তাঁর এই বক্তব্য সমর্থন করেন পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত কয়েকজন গণপরিষদ সদস্য।  বাঙালী জনসাধারণ তাদের মাতৃভাষা দাবি আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবি নিয়ে ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে পড়ে। ভাষা নিয়ে আন্দোলন দমাতে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে সকল সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ...


Feb 16, 2021

আইন আদালত

অভিজিৎ হত্যা মামলা: ৫ জনের ফাঁসি, ১ জনের যাবজ্জীবন

অভিজিৎ হত্যা মামলা: ৫ জনের ফাঁসি, ১ জনের যাবজ্জীবন

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের ফাঁসি ও ১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন - সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামস্, আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। আর যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন উগ্রপন্থি ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী।গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। ওইদিনই আদালত রায়ের জন্য ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।আদালত সূত্রে জানা যায়, এ রায়ে মামলার ছয় আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য।রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। রায় ঘোষণার আগে কাশিমপুর কারাগারে থাকা চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়ে। মামলার অন্য দুই আসামি মেজর জিয়া ও আকরাম শুরু থেকেই পলাতক।মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে টিএসসির  সামনে জঙ্গিদের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন অভিজিৎ রায়। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যা অভিজিতের সঙ্গে ছিলেন এবং হামলায় তিনিও আহত হন। জঙ্গিদের চাপাতির কোপে হাতের একটি আঙুল হারান তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পদার্থবিদ অধ্যাপক অজয় রায়ের ছেলে অভিজিৎ রায় যুক্তরাষ্ট্রে বাস করতেন। বিজ্ঞান বিষয়ে লেখালেখি ও মুক্তমনা ব্লগ সাইট পরিচালনা করতেন তিনি।ঘটনার পরদিন ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি প্রথমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম (সিটিটিসি) ইউনিট তদন্ত করে। এরপর ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারীর আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম।আসামিদের মধ্যে মান্না ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহি ও আবুল বাশার চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে...


Jan 02, 2021

সম্পাদকীয়

জাতিরজনকের নাম মুছে ফেলতেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর

জাতিরজনকের নাম মুছে ফেলতেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর

স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ এখনো মেনে নেয়নি পাকিস্তানি দোসররা। ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। সুযোগ পেলেই আঘাত হানছে। তাই তারা ইতিহাস থেকে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলতেই তাঁর ম্যুরাল ভাঙচুর চালাচ্ছে। এবার এ কাণ্ডে আটক এক বৃদ্ধ। কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা নিয়ে উত্তেজনা না কমতেই বছরের প্রথম দিনে গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে দেশের উত্তরের জনপদ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায়  বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। আটক বৃদ্ধের নাম নূর আলম (৫৫)। তার বাড়ি শহরের রঘুনাথপুর গ্রামে। সে পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ওই ব্যক্তি বিকেলে শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ইট দিয়ে আঘাত করতে থাকে। স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। হাতেনাতে আটক করা হয় তাকে। ২০১৯ সালের মার্চের শেষ দিকে পীরগঞ্জে জাতির পিতার এই ম্যুরালটি তৈরি করা হয়। এর আগে রাজধানী ঢাকার ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দল। তারা মাঠে নামার পর ডিসেম্বরের ৫ তারিখে দেশের পশ্চিমের জেলা কুষ্টিয়া জেলা জেলার পাঁচ রাস্তা মোড়ে জাতির পিতার নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইবনি মাসউদ নামে ওই মাদ্রাসাটি চরমোনাইয়ের পীরের অনুসারী। ওই মাদ্রাসার চারজন এরই মধ্যে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা এখন কারাগারে বন্দী। গত ৫ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুর কাণ্ডের দেশের জেলা-উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সসহ দেশের যে কোনো স্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ম্যুরালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে বলেছে হাই কোর্ট।সেই সঙ্গে এক মাসের মধ্যে জেলা-উপজেলা সদরে জাতির জনকের ম্যুরাল স্থাপনের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে আদালত।বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের ভার্চুয়াল হাই কোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে আদালত বলেছিল, একাত্তরের যে দিনটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই ৭ মার্চকে ‘জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণা...


Dec 20, 2020

জেলার খবর

মিয়া-বিবি রাজী তো- কেয়া করেগা কাজী’ ধর্ষিতাকে বিয়ে জামিন পেল ধর্ষক

মিয়া-বিবি রাজী তো- কেয়া করেগা কাজী’ ধর্ষিতাকে বিয়ে জামিন পেল ধর্ষক

‘মিয়া-বিবি রাজী তো- কেয়া করেগা কাজী’। এই প্রবাদ বাক্য এবার মিলল বাংলাদেশের দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা ঝালকাঠিতে। ধর্ষিতাকে বিয়ে করে ঘরে তুলে জামিন পেল ধর্ষক।আদালতের এজলাস কক্ষেই ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে নির্যাতিত তরুণীর বিয়ে হয়েছে। বিয়ে পর্ব সারার পর বিচারক আসামিকে জামিন দেন। আজ রবিবার দুপুরে ঝালকাঠির অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহর আদালতে এ ঘটনার সাক্ষী হলেন অনেকেই।ধর্ষণ মামলার আসামি নাঈম সরদারের (২২) বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায়। তিনি একজন ইলেকট্রিশিয়ান। আর ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি ঝালকাঠি সদর উপজেলায়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মান্নান বলেন, ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়।বিচারকের নির্দেশে দুই পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজি মাওলানা মো. সৈয়দ বশির। বিয়ে শেষে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। পরে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।পিপি আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মুঠোফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাঈম ও ওই তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাঈম ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণী একটি নালিশি মামলা করেন।নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহ নির্যাতনের শিকার তরুণীর অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। ১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।মামলার একমাত্র আসামি নাঈমকে তাঁর বাবা আনোয়ার হোসেন ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই)  মো. নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠান। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠান।আজ রবিবার অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এ জামিন শুনানির সময় আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই প্রস্তাবে তরুণীর পরিবার রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের এজলাস কক্ষে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।বিয়ের পর আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।এস এস...


Dec 12, 2020

সম্পাদকীয়

স্বপ্নের পদ্মাসেতু, কাছে এনে দিল দুই বাংলাকে

স্বপ্নের পদ্মাসেতু, কাছে এনে দিল দুই বাংলাকে

পদ্মা সেতুতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার সেতুটি পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ায়  আনন্দে-আবেগে ভাসছে বাংলাদেশের আপামর মানুষ। বৃহস্পতিবার ৪১তম শেষ স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। শেষ স্প্যান বসার পর থেকেই শুধু বাংলাদেশিরাই নয়- পশ্চিমবঙ্গবাসীরাও অধীর আগ্রহে দিন গুণছেন ২০২২ সালের জুনের মাঝামাঝি অবধি- সেতু উদ্বোধনের দিনটির জন্য।এখন ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে-আসতে ১২ ঘন্টারও বেশি সময় লাগে। সেতু চালু হলে এ সময় নেমে আসবে ছয় ঘণ্টায়। তাই সবাই দিন গুনছেন কবে পদ্মা নদী পাড়ি দেবেন এই স্বপ্নের সেতু দিয়ে। এখন সেতুর ওপর কংক্রিট ঢালাই, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ কিছু কাজ বাকি আছে।পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বৃহত্তর জেলা যশোর, বরিশাল, খুলনা, কুষ্টিয়ার যাতায়াতের সময় কমপক্ষে তিন ঘণ্টা কমে আসবে। মাওয়া-জাজিরায় ফেরিতে করে পদ্মা পাড়ি দিতে সময় লাগে তিন ঘণ্টা। আর ঘন কুয়াশা কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে ২৪ ঘণ্টায়ও পদ্মাপাড়ে খোলা আকাশের নীচে বসে থাকতে হয়। সেতু চালু হলে একদিকে যেমন সময় বা ভোগান্তি যেমন কমবে, তেমনি যাত্রার ব্যয়ও সাশ্রয় হবে। সমস্যা হলো, ঘাটে গিয়েই ফেরিতে ওঠার নিশ্চয়তা নেই। কখনো কখনো বাস দিন-রাত ঘাটে বসে থাকে ফেরিতে উঠতে। পদ্মায় শেষ স্প্যানটি স্থাপনের পর স্বপ্নের সেতুটি সামনে থেকে দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মুন্সিগঞ্জের মাওয়া এবং মাদারীপুরের জাজিরায় পদ্মাপাড়ে ভিড় করছেন।পদ্মা সেতু কাছ থেকে দেখে, ছবি তুলে আনন্দে ভেসেছেন তাঁরা। পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়ায় বিক্রমপুরের (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ) লৌহজংয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।পদ্মায় সেতুর অভাবে সময় মতো চিকিৎসা নিতে না পেরে কত মানুষকে অকালে প্রাণ দিতে হয়েছে। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে পদ্মাসেতু নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার জলিপাড়ের বিভূতি তালুকদারের চেহারায় স্বপ্ন, প্রত্যয় আর সাহসের আভা ছড়িয়ে পড়ল। স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বাড়ি যেতে আগে যেখানে ৮-১০ ঘণ্টা লাগত, পদ্মা সেতুর কারণে সেই পথ পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র দুই ঘণ্টায়।এটা কোটি মানুষের জীবন পাল্টে দেবে। পদ্মা সেতু দেখতে মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডের পাশে মাওয়া মৎস্য আড়তঘাটে দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে। দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেলসহ নানা যানবাহনে করে যাচ্ছেন। কেউ পরিবার নিয়ে, কেউবা বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন...


Dec 06, 2020

সম্পাদকীয়

ভারতের স্বীকৃতি, স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করে

ভারতের স্বীকৃতি, স্বাধীনতা ত্বরান্বিত করে

আজ ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি ঐতিহাসিক দিন। কেননা ১৯৭১ সালের এদিনেই ভারত বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। অবশ্য এদিনই  কয়েকঘণ্টা আগে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভুটান। ভারত থেকেও আসে স্বীকৃতি। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চরম উত্তেজনা পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর রাষ্ট্র ভারতের এ স্বীকৃতি ছিল অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম থেকেই ভারত বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায়। সে সময় ভারতের বহু সমস্যা সত্বেও এক কোটির বেশি বাংলাদেশের অসহায় মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি অন্ন-বস্ত্র’র ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশের বিপন্ন মানুষদের সব রকম ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের সঙ্গে দখলদার পাকিস্তানিদের সঙ্গে  সশস্ত্র যুদ্ধে সব রকম সহযোগিতা দিয়ে সাহায্য করেছে। আবার পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করতেও ভারত সরকার ছিল দারুন তৎপর। এ কারণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে মুজিবনগরে গঠিত প্রবাসী সরকার দারুণ উদগ্রীব ছিল ভারতের স্বীকৃতি পাবার বিষয়ে। আগ্রহী ছিল সবচেয়ে বেশি। এলোও তাই। ভারতের এই স্বীকৃতি মুহূর্তের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে এনে দিয়েছিল বাড়তি প্রেরণা ও শক্তি। সেদিন ভারতের লোকসভায় দাঁড়িয়ে তৎকালীন লৌহমানবী ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে বিশাল বাঁধার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রাম এক নতুন অধ্যায় রচনা করেছে। সতর্কতার সঙ্গে বিবেচনা করার পর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বক্তব্য শেষ না হতেই ভারতের সংসদ সদস্যদের হর্ষধ্বনি আর ‘জয় বাংলাদেশ’ ধ্বনিতে ফেটে পড়েছিল। সেদিন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিত্ররাষ্ট্র ভারতের জওয়ানদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘ভারতের সৈন্যবাহিনীর জওয়ানরা আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশের মাটি থেকে হানাদার শত্রুদের নির্মূল করার জন্য আজ যুদ্ধ করে চলেছেন। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় পাকিস্তান বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে যুদ্ধরত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় লোক দেখানে উপনির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। এ নির্বাচন ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এদিন ঘটে আরো...


Sep 01, 2020

সম্পাদকীয়

আমার শিকড় বাংলাদেশের মাটিতে গাঁথা: প্রণব মুখোপাধ্যায়

আমার শিকড় বাংলাদেশের মাটিতে গাঁথা: প্রণব মুখোপাধ্যায়

প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শুধু ভারত নয়- বাংলাদেশের মানুষও শোকে কাতর। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বুধবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোকদিবস ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রপতির আসন অলংকৃত করে তিনি ইতিহাস গড়েছিলেন। আর বাঙালির মুখ উজ্জল করেছিলেন। বিশ্বে পরম গর্বিত হয়েছিল বাঙালিরা।অপরদিকে বিয়ের সূত্রে প্রণব মুখার্জী বাংলাদেশের আদরের জামাই। তাই বাংলাদেশের আত্মার বন্ধনে জড়িয়ে আছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়।তাঁর প্রাণপ্রিয় স্ত্রী শুভ্রা মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশের নড়াইলের সন্তান। শুভ্রা মুখ্যার্জী ভদ্রবিলা গ্রামের স্বর্গীয় অমরেন্দ্র ঘোষের মেয়ে শুভ্রা। তারা চার ভাই ও চার বোন।নড়াইলের জামাই প্রণব মুখার্জীর মৃত্যুতে চিত্রা নদীর পাড়ের ভদ্রবিলা গ্রামে গভীর শোক সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর আত্মীয়-স্বজনসহ নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।  ২০১৩ সালের ৫ মার্চ সকালে শ্বশুরবাড়ি বেড়ানোর উদ্দেশে স্ত্রী শুভ্রা মুখার্জীসহ নড়াইলে বেড়াতে আসেন ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী।  এরআগে ১৯৯৬ সালে মেয়ে শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়িয়ে যান শুভ্রা। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রী রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী শুভ্রা পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের গ্রাম নড়াইলের ভদ্রবিলায় কাটিয়েছিলেন। এরপর দাদা বাড়িতে থেকে স্থানীয় চাঁচড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। পরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভারত চলে যান।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালীন ১৯৫৭ সালের ১৩ জুলাই শুভ্রা ঘোষের  সঙ্গে প্রণব মুখার্জীর বিয়ে হয়। ওই সময় তারা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। অভিজিৎ মুখার্জি ও সুরজিৎ মুখার্জী নামের দুই ছেলে ও শর্মিষ্ঠা মুখার্জী নামে এক মেয়ে রয়েছে তাঁদের।শ্বশুর বাড়ি ঘুরে যাওয়ার পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে স্ত্রীর নামে একটি তিনতলা ছাত্রী হোস্টেল করে দিয়েছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। এছাড়া শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের দাদাবাড়ি চাঁচড়ায় একটি মন্দির ও একটি হাইস্কুলে ভবনও নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি। আত্মীয়তার এই বন্ধনকে স্মরণ করে ২০১৩ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তৃতায় প্রণব মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, “আমার শিকড় বাংলাদেশের মাটিতে গাঁথা এবং আমি এর ভাষা, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি আত্মভূত করেছি। আমার স্ত্রীর জন্ম নড়াইলে এবং এখানেই তিনি লেখাপড়া শুরু করেন।তিনি আরও বলেন, “আমি বড় হয়েছি আপনাদের মতো একই সাহিত্যিক ও কবিদের লেখা পড়ে, সেসব গান শুনে যা আমাদের উভয় দেশের জনগণ ভালোবাসেন, ঘুরে বেড়িয়েছি একই নদীর তীরে,...