ন্যাভিগেশন মেনু

সুকুমার সরকার

সুকুমার সরকার
Dec 31, 2019

সম্পাদকীয়

শুভ হোক নতুন বর্ষ

শুভ হোক নতুন বর্ষ

আমাদের জীবন থেকে কালের গর্ভে আরও একটি বছর চলে গেল বা কমে যাচ্ছে। ডিসেম্বরের থার্টিফাস্ট ইংরেজি বছরের শেষ দিন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যরাত থেকে শুরু হবে ১ জানুয়ারি নতুন একটি বছর। ইতিহাসের গভীরে গেলে অনেক কিছুই জানা যায়। ইংরেজি পয়লা জানুয়ারিকে নানান ধর্ম যাজকেরা একে নানা দিবসে পরিবর্তন করে চালাতে চেয়েছেন। কিন্তু শেষমেষ পয়লা জানুয়ারিকেই বছরের প্রথমদিন বলে মেনে নিতে হয়।    ইতিহাসের তথ্য অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ সালে জুলিয়াস সিজার সর্বপ্রথম ইংরেজি নববর্ষ উৎসবের প্রচলন করেন। ১ জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালন করা হয়। সাধারণভাবে প্রাচীন পারস্যের পরাক্রমশালী সম্রাট জমশীদ খ্রিস্টপূর্ব ৮০০ সালে নওরোজের প্রবর্তন করেছিলেন। এ ধারাবাহিকতা এখনো পারস্য তথা ইরানে নওরোজ ঐতিহ্যগত নববর্ষের জাতীয় উৎসব উদযাপিত হয়। ইরান হতেই এটা একটি সাধারণ সংস্কৃতির ধারায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন মুসলিম দেশ এবং ভারত উপমহাদেশে প্রবেশ করে। পয়লা জানুয়ারি পাকাপোক্তভাবে নববর্ষের দিন হিসেবে নির্দিষ্ট হয় ১৫৮২ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তনের পর। ধীরে ধীরে শুধু ইউরোপে নয় সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী নববর্ষ পালিত হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যরাতেই বর্ষবরণের উৎসব শুরু হয়।  বিদায়ী বছরের বিষন্নতাকে ছাপিয়ে মনকে উৎফুল্ল করে তুলতে নতুন বছরের আগমনী বার্তা দেওয়া হয় উৎসব আনন্দের মাধ্যমে। ক্যালেন্ডারের শেষ পাতাটি ছিঁড়ে একসঙ্গে উচ্চারিত হয় হ্যাপি নিউইয়ার। নতুন দিনের সূচনা, নতুন করে পথচলা। নতুন প্রাণচাঞ্চল্য, নতুন শপথ সব কিছুই যেন একাকার হয়ে যায় বছরের প্রথম দিনটিতে। অতীতকে মুড়িয়ে দিয়ে নতুনকে বরণ করে নেয়ার শিহরণই যেন অন্যরকম। প্রতি মুহূর্তেই চলে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার প্রস্ততি। বন্ধু প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর মাধ্যমে শুরু নতুন বছরের দিন। পুরনো গ্লানি মুছে নতুনভাবে বাঁচার প্রত্যয়ে শুরু হয় নববর্ষ। যে কারণে উম্মাদনাও একটু বেশি থাকে নববর্ষকে ঘিরে। বিভিন্ন উৎসব পার্বনের মধ্যদিয়ে বরণ করে নেয় হয়া নতুন বছরকে। ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উৎসব হচ্ছে থার্টি ফাস্ট নাইট। বছরের শেষ দিনটিতে পুরো বিশ্বজুড়ে উদযাপন করা হয় নববর্ষের উৎসবের মধ্য দিয়ে। ঘড়ির কাঁটায়...


Dec 26, 2019

সম্পাদকীয়

শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর সেবার নমুনা!

শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস-এর সেবার নমুনা!

সর্বোচ্চ সেবাদানের অঙ্গীকার করে অতি নিম্নমানের সেবা দিয়ে যাত্রীদের নিত্য ঠকিয়ে চলেছে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস। নির্ধারিত সময়ে বাস না ছেড়ে যাওয়া যেন নিত্য একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে যাত্রীরা যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন তা নিয়ে তাদের কোন হেলদোল নেই।শ্যামলী এনআর ট্রাভেলস’র টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বরত কর্মচারীদের কথায় রাতে তাদের দু’টি বাস সরাসরি কলকাতার উদ্দেশ্যে ঢাকার দু’টি কাউন্টার থেকে ছেড়ে যায়।রাত পৌনে ১১টার বাসটি ঢাকার নটরড্যাম কলেজের বিপরীত ‍দিকের মতিঝিল কাউন্টার থেকে ছেড়ে যায়।  এ বাসটি কেবল সরাসরি কলকাতা যায়। তবে বাসটি বেনাপোল সীমান্তে পৌঁছালে সব যাত্রীকে ব্যাগ-ব্যাগেজ নিয়ে নামতে হয়। ব্যাগ-ব্যাগেজ নিতে কোন সহায়তা দেয় না তারা। যাত্রীদের এরপর নিজেদের উদ্যোগে বেনাপোল সীমান্তে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কাজ সমাধা করে তবে ভারতের হরিদাসপুর যেতে হয়।এরপর হরিদাসপুর সীমান্তেও একইভাবে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সেরে ঢাকা থেকে যাওয়া বাসে গিয়ে উঠতে হয়। এক্ষেত্রে মাল পরিবহন যাত্রীকেই করতে হয়। অথচ শ্যামলী এনআরের অন্য কলকাতা যাওয়া কাটা সার্ভিস বাসে মাল পরিবহন তাদের কুলি দিয়ে করে থাকে। যদিও যাত্রীদের কুলিকে কিছু নজরাণা দিতে হয়। না দিয়ে উপায় থাকে না। কুলিরা জোর-জবরদস্তি করে নিয়েই তবে ছাড়ে।আর রাত ১১টার বাসটি কমলাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে। এ বাসটি বেনাপোল যায়। এরপর বেনাপোল ও হরিদাসপুরে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সেরে অন্য বাসে করে যাত্রীদের কলকাতা নিয়ে যায়।এবার শ্যামলী বাস কর্তৃপক্ষের কথার বর খেলাপ ও হয়রানির আসল চিত্র। আমার এক আত্মীয় নারী মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার কলকাতার বাসে টিকিট কেটেছিলেন কমলাপুর বাস কাউন্টার থেকে।মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে যাত্রীকে জানালো হলো এ বাসটি লেট হবে- সাড়ে ১১টায় ছাড়বে। তাকে সেভাবে যেতে বলা হলো। যাইহোক তিনি সোয়া ১১টায় মতিঝিল বাস কাউন্টারে হাজির হলেন। সাড়ে ১১টায় বাসটি না আসার কারণ জিঞ্জেস করে জানা গেল লেট আছে- ১০/১২ মিনিট বাদেই আসবে।দেখা গেল ওই কাউন্টারে বসার আসন থেকে অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন বাসের অপেক্ষায়। কী আর করা বাঁধ্য হয়ে দাঁড়িয়ে থেকে বাসের জন্য অপেক্ষা। বেশি দামে টিকিট কেটেও সাধারণ মানের চেয়েও নিম্নতর সেবা। এতো যাত্রী...


Dec 24, 2019

আইন আদালত

ময়মনসিংহে দোকানি হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

ময়মনসিংহে দোকানি হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় জেলা ময়মনসিংহে ওষুধের দোকানি মাজহারুল ইসলামকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। মামলার দায় থেকে খালাস পেয়েছেন আরও সাত আসামি।আজ মঙ্গলবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামি হলেন- একলাছ উদ্দিন, আবুল কাশেম, কবির মিয়া, আবুল কাশেম, বাদল মিয়া, ফারুক মিয়া, রুমা আক্তার, আবুল কালাম আজাদ, চন্দন ও শুক্কুর আলী।এঁদের মধ্যে ফারুক মিয়া ও রুমা আক্তার পলাতক রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। খালাসপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন আফতাব উদ্দিন, আবু সিদ্দিক, বদরুল আলম, ইসমাইল হোসেন, কাজল মিয়া, রফিক ও দুলাল। এই হত্যা মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয় গত ৫ ডিসেম্বর। সেদিনই আদালত রায় ঘোষণার জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছিলেন।মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৭ সালে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শিয়ালধরা বাজারের ওষুধের দোকানদার মাজহারুল ইসলামকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বোন বিউটি আক্তার বাদী হয়ে নান্দাইল থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত করে নান্দাইল থানা-পুলিশ ১৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। আসামিদের মধ্যে একজন মারা যান। আদালত অপর ১৭ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন।...


Dec 12, 2019

বিজয়ের মাস

মুক্তভূমিতে প্রথম জনসভা যশোরে ১১ ডিসেম্বর

মুক্তভূমিতে প্রথম জনসভা যশোরে ১১ ডিসেম্বর

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জেলা শহর হিসেবে প্রথম পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় যশোর। আর স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম জনসভাটিও হয় এ জেলা শহরে।১১ ডিসেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের অন্যতম স্মরণীয় দিন। কেবল যশোর নয়, দেশবাসীর জন্যেও দিনটি গৌরবের।পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত বাংলাদেশের মাটিতে যশোর টাউন হল ময়দানের এই প্রথম  জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ।ওই জনসভায় উপস্থিত ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, সংসদ সদস্য ফণীভূষণ মজুমদার, রওশন আলী, মোশাররফ হোসেন, তবিবর রহমান সরদার, লেখক এম আর আকতার মুকুল চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান প্রমুখ।প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সর্বস্তরের মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা’।মুক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী যশোরের তৎকালীন জেলা প্রশাসক ওয়ালিউল ইসলাম এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন ঘোষালকে নির্দেশ দেন, আইন-শৃঙ্খলার যেন অবনতি না ঘটে।একই সঙ্গে তিনি সকলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করবেন’। তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘স্বাধীন দেশে ধর্ম নিয়ে আর রাজনীতি চলবে না। আর তাই জামায়াত, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো’।তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের কাজ হল, যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা’।  স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগে দেশবাসীকে আহ্বান জানান।এ জনসভা যখন হয়, তখন যশোরের আশপাশে যুদ্ধ চলছিল। বিশেষত: খুলনায় তখনও পাকিস্তানি সেনারা শেষ চেষ্টা হিসেবে  যুদ্ধ করছিল। খুলনা পাকিস্তানি হানাদারমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রায় এক লাখ সেনা আত্মসমর্পণ করে।প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোর শহরে আসেন। আর জনসভা শেষে যশোর সড়কপথে কলকাতা ফিরে যান।মুক্ত দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম এ জনসভার খবর সংগ্রহে উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক পিটার গিল, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সিডনি এস এইচ সানবার্গ, বালটিমোর সান পত্রিকার প্রতিনিধি, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিনিধিসহ বহু বিদেশি সাংবাদিক।১৯৭১ সালের ০৬ ডিসেম্বর যশোরে সকালে ও দুপুরে পাকিস্তানের নবম...


Dec 11, 2019

জাতীয়

টিপুসহ ৬৯ যুদ্ধাপরাধীর  মৃত্যুদণ্ড প্রদান

টিপুসহ ৬৯ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড প্রদান

মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, ধর্ষণ ও নিপীড়নের জন্য ৩৯ বছর পর গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৪১ মামলায় ৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর সাজা প্রদান করা হয়েছে।২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে দেশজুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়।আজ ২০১৯ ( ১১ ডিসেম্বর ) রাজশাহীর মো. আব্দুস সাত্তার ওরফে টিপু রাজাকারের মৃত্যুদণ্ডের আদেশের মাধ্যমে ৯৫ জন  যুদ্ধাপরাধীর সাজা নিশ্চিত করা হলো।মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৬৯  জন। এদের মধ্যে ফাঁসি হয়েছে ছয় জনের। বিভিন্ন সময় মারা গেছেন ১০ জন। আর পলাতক রয়েছেন ৩২ জন আসামি।২০১০ থেকে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১টি মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এসব মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ১০৫ জন।এদের মধ্যে ৯৫ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার পূর্বে কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন আটজন। পলাতক অবস্থায় মারা গেছেন দুজন।আর গ্রেপ্তার হওয়া আসামি ৪৬ জন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি একজন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ৬৯ জন। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা ২৪ জন। সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা একজন।গত ৯ বছরে ৬৮টি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ২৮টি অভিযোগ তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় জমা রয়েছে আরও ৬৬৭টি অভিযোগ।তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটররা জানান, ৯ বছরে বলতে গেলে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো সাফল্য অর্জন করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পেরেছি যে, গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অদম্য সাহসী ও আপসহীন।ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে বিতর্কিত করতে বিরোধীরা  দেশ ও বিদেশে নানা অপপ্রচার চালায়।তবে সব ষড়যন্ত্র ও বাঁধা উপেক্ষা করে বিএনপি-জামায়াতের প্রভাবশালী নেতাসহ অনেক যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পন্ন হয়েছে এ ট্রাইব্যুনালে।এছাড়া ২০১০ সালের ২৫ মার্চ প্রথম ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে বিচারে গতি আসে। যুদ্ধাপরাধীর মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের শীর্ষ ৭ নেতার ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।সাম্প্রতিক সময়ে লন্ডনের লিভারপুলে এক সেমিনারে আন্তর্জাতিক আদালতের (আইসিসি) কর্মকর্তারা বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন। তারা এখন বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালকে মডেল...


Oct 27, 2019

শিক্ষা

রবিবার রাতে কালী পূজা

রবিবার রাতে কালী পূজা

সনাতন বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পূজা। প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সর্বত্র হিন্দু সম্প্রদায় রবিবার (২৭ অক্টোবর) রাতে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কালী পূজা উদযাপন করবেন। পূজা শুরু হবে রাত ৯টার পর। এ দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন স্বর্গীয় পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজনদের উদ্দেশ্যে প্রতিটি বাড়ি-ঘরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন।নারীকে মাতৃরূপে পূজা করা তথা নারীকে সর্বদা পূজনীয় শক্তিরূপে ভূষিত করা সনাতন শাস্ত্রে স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। ‘সনাতন’ শব্দের মানে যার আদি ও অন্ত নেই, তেমনি জগতের আদি ধর্মশাস্ত্রও সনাতন শাস্ত্র। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর ‘ওম’ শব্দে একে একাত্ম ত্রিমূর্তি। এই ত্রিমূর্তি বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা, জগতের প্রাণের সঞ্চারক, ‘আদ্যাশক্তি’ দেবীরূপিনী ত্রিমূর্তির সম্মিলিত প্রকৃতি রূপ। কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।হিন্দু পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা।জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যমা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বর্গীয় বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী।দুর্গাপূজার মতো কালীপূজাতেও গৃহে বা মণ্ডপে মৃন্ময়ী প্রতিমা নির্মাণ করে পূজা করা হয। মন্দিরে বা গৃহে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরময়ী বা ধাতুপ্রতিমাতেও কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। দেবীকে ছিন্নমস্তকসহ বলির পশুর রক্ত, মিষ্টান্ন, অন্ন বা লুচি, মাছ ও মাংস উৎসর্গ করা হয়।তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হয়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, কালী শ্মশানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। এ কারণে বিভিন্ন অঞ্চলে শ্মশানে মহাধুমধামসহ শ্মশানকালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।আরো পড়ুনঃরবিবার রাতে কালী পূজাচ্যানেলে চ্যানেলে দূর্গাপূজার আয়োজনরাজধানীতে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রাম কৃষ্ণ মিশন ও মঠ, সিদ্বেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন শ্রী শ্রী বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক ৮৪ নম্বর বনগ্রাম রোডের পাঁচ শত বছরের প্রাচীন রাধাগোবিন্দ জিঁও ঠাকুর মন্দির, পোস্তাগোলা মহাশ্মশান, রামকৃষ্ণ মিশন, ঢাকেশ্বরী বাড়ী, সূত্রাপুরের...


Oct 14, 2019

অপরাধ

তিনস্থানে ১৩ নারী ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ ২০ জঙ্গি পাকড়াও

তিনস্থানে ১৩ নারী ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ ২০ জঙ্গি পাকড়াও

ফের জঙ্গিরা সংগঠিত হওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। এবার তিন স্থান থেকে ২০ জঙ্গিকে আটক করেছে পুলিশ।নাশকতা ঘটানোর আগেই দেশের উত্তর জনপদ জেলা পাবনায় গোপন বৈঠক চলাকালে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্যসহ এক মাদ্রসা অধ্যক্ষকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার দিবাগত রাতে পাবনা শহরের মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।একই দিন পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ জেলা থেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।এদিকে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে পুলিশের ওপর বোমা হামলা কাণ্ডে নব্য জেএমবির দুই জঙ্গিকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।রবিবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্সল্যাবে পুলিশের উপর বোমা হামলার ঘটনার সংশ্লিষ্টতায় নব্য জেএমবির দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। আজ সোমবার পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহম্মেদ জানান, মনসুরাবাদ আবাসিক এলাকার ৫নং সড়কের ১১৯ নং বাড়ির মালিক সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন। দ্বিতল এই বাড়ির নিচ তলায় ইসলামী মহিলা সংস্থার সদস্যদের আস্তানা ছিল।এখান থেকে মেয়েদের সংগঠিত করে নাশকতার ছক করা হচ্ছিল। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার রাত দশটার দিকে বাড়িটি ঘিরে ফেলে এবং সেখান থেকে বৈঠকরত অবস্থায় ইসলামি ছাত্রী সংস্থার ১৩ নারী সদস্য এবং বাড়ির মালিক অধ্যক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আটক করে।আস্তানা থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদি বই, জঙ্গি সদস্য সংগ্রহের বিপুল পরিমাণ ফরম, চাঁদা আদায়ের রশিদ ও আদায়কৃত নগদ অর্থ, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন ধরনের সাংগঠনিক বই, রেজিস্টার, বিভিন্ন ধরনের লিফলেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে।আটককৃতদের অধিকাংশই পাবনা অ্যাডওয়ার্ড কলেজের ছাত্রী। তাদের দুপুরের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, আটককৃত সকলেই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য। আটকের পর তাদের বেড়া থানায় হস্তান্তর এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে।এস এসআপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - আজকের বাংলাদেশ পোস্ট...


Oct 14, 2019

ব্যবসা-বাণিজ্য,জাতীয়

২০৫ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু হলো মোংলা পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন

২০৫ একর জমি নিয়ে যাত্রা শুরু হলো মোংলা পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন

‘অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠণ একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যত্রতন্ত্র শিল্প কারখানা গড়ে তুললে তাতে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হয়- তেমনি গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া একটি বিশাল সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের শিল্পায়নের কথা মাথায় রেখে অর্থনৈতিক জোন গঠন করার তাগিদ দিয়েছেন।’আজ সোমবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের কাছে ২০৫ একর জমি নিয়ে গঠিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রথম ধাপেই ৪৪ শতাংশ ভূমি বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ।নির্মাণ শুরুর প্রায় সাড়ে তিন বছর পর পাঁচটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে দেশের প্রথম সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের অর্থনৈতিক অঞ্চল মোংলা ইকোনমিক জোন।এ সময় হোটেল সোনারগাঁওয়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ভূমি বরাদ্দ চুক্তি হয়, যার চারটিই এনার্জিপ্যাকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। এর বাইরে রয়েছে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ইউনিলিভারের অন্যতম পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নাগা লিমিটেড।এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিকদার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক পেট্রোলিয়ামকে আট একর ও সিকদার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক স্টিলকে ২২ একর জমি বরাদ্দ দিয়েছে। এছাড়াও ন্যাশনাল ব্যাংক এবং সিকদার ইনস্যুরেন্সকে শাখা খোলার জন্য  প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয় এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে।এদিকে ১১ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে নাগা। এনার্জিপ্যাককে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আট একর, এবং মোটর সাইকেল সংযোজনের জন্য একটি কোম্পানিকে ১৪ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশীয় প্রতিষ্ঠান শিকদার গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোনকে নিয়োগ করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বেজা।সোমবার প্রথম ধাপে পাঁচ কোম্পানির কাছে ভূমি বরাদ্দ উপলক্ষে বিনিয়োগ উন্নয়ন বা ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন শীর্ষক কর্মসূচি যৌথভাবে পালন করে বেজা ও পাওয়ারপ্যাক।বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বেজার নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আইয়ুব বক্তব্য রাখেন।পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রনো হক সিকদার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিকদার গ্রুপের পরিচালক ও সিওও অপারেশন সৈয়দ কামরুল ইসলাম, প্রকল্প...


Oct 09, 2019

অপরাধ

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

তিন মামলায় নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের নাগরিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত।আজ (বুধবার) ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।এছাড়া এদিন আরও দুই মামলায় ড. ইউনূসের সমনের জবাব দেওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তিনি বিদেশে থাকায় আদালতে উপস্থিত হননি। তার পক্ষ হয়ে আইনজীবী রাজু আহম্মেদ আদালতকে বলেন, ড. ইউনূস সম্মানিত ব্যক্তি। তিনি ব্যবসার কাজে বিদেশ অবস্থান করছেন। দেশে এলে আদালতে উপস্থিত হবেন। যদিও তিনি বিদেশে থাকায় আমাকে পাওয়ার দেননি তবুও আপনার কাছে অনুরোধ করছি তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি না করার জন্য।অপরদিকে মামলার বাদী প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বলেন, প্রতিষ্ঠানে ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুত হওয়ায় আমরা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করি। তিনি আজ আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। আদালত ৮ অক্টোবর তাদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন।অপর দুজন হলেন- ড. ইউনূস ছাড়াও একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন। ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন  কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার চড়াইকোল গ্রামের আব্দুস সালাম।তিনি প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক। ২০০৫ সালের ২৭ জুন গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। নীলফামারী জেলার এলাহী মসজিদপাড়ার শাহ আলম। প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক তিনি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে স্থায়ী পদে জুনিয়র এমআইএস অফিসার (কম্পিউটার অপারেটর) হিসেবে যোগদান করেন। হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল থানার নারিকেলতলা গ্রামের এমরানুল হক। তিনি প্রস্তাবিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্য। তিনি ২০১৩ সালের ১৪ মার্চ...


Oct 08, 2019

সম্পাদকীয়

মর্ত্যবাসীর প্রতি আর্শীবাদ রেখে কৈলাশে ফিরে গেলেন মা ‘উমা’

মর্ত্যবাসীর প্রতি আর্শীবাদ রেখে কৈলাশে ফিরে গেলেন মা ‘উমা’

আজ মঙ্গলবার সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা। সনাতন হিন্দু বিশ্বাসে-বোধনে ‘অরুণ আলোর অঞ্জলি নিয়ে আনন্দময়ী মা উমাদেবীর আগমন ঘটে। টানা পাঁচ দিন মৃন্ময়ীরূপে মণ্ডপে মণ্ডপে থেকে আজ ফিরে গেলেন কৈলাশে স্বামী শিবের সান্নিধ্যে।‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ’ মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে দূর কৈলাশ ছেড়ে মা পিতৃগৃহে আসেন ঘোটকে চড়ে। আজ বিজয়া দশমীতে এয়োস্ত্রীদের দেবীবরণ ও সিঁদুর খেলার পর বিদায় নেন আবারও ঘোটকে।আজ শুভ বিজয়া দশমী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে প্রতিটা উৎসব-পার্বণ আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গোৎসবে সেটি আবার প্রমাণিত হল।বাংলাদেশে এবছরের দুর্গাপুজোর পরিসংখ্যাণ চমকে দিয়েছে। পরিসংখ্যাণ বলছে এবছর বাংলাদেশে পুজোর সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের সহযোগিতাতেই।বাংলাদেশে এবছর দুর্গাপুজো হয়েছে ৩১ হাজার ৩৯৮টি। তার মধ্যে প্রথমবার পুজো হচ্ছে মোট ৪৮৩টি। অর্থাৎ নতুন করে এবছর ৪৮৩টি দুর্গাপুজো হলো। যা সংখ্যালঘু হিন্দুদের জন্য খুব ভাল খবর।এর আগে বিভিন্ন জায়গায় মূর্তি ভাঙার প্রবণতাও দেখা গিয়েছে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবছর পুজো বাড়াটা ছিল বেশ আশাপ্রদ।বাংলাদেশ পুজো উদযাপন কমিটিও পুজোর সংখ্যা বাড়ায় খুশি। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসাও করছেন কমিটির কর্তারা।ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজো শুরু হয় গত শুক্রবার। ঢাক-ঢোলের বাজনা, কাঁসা, শঙ্খের আওয়াজ এবং ভক্তদের উলুধ্বনিতে মুখরিত থাকে প্রতিটি মন্দির ও পুজোমণ্ডপ। বৃহস্পতিবার শুরু হয় দুর্গাপুজোর  আনুষ্ঠানিকতা। গোধূলি লগ্নে মন্দিরে মন্দিরে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে উৎসবের। শনিবার ছিল মহাসপ্তমী। রবিবার মহাষ্টমী ও কুমারী পুজো সোমবার মহানবমী আর আজ মঙ্গলবার বিজয়া দশমী। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও এসব মণ্ডপে ঘুরতে আসায় উৎসবটি ছিল সার্বজনীন।মর্ত্যের কল্যাণে এক বছর বাদে আবার এসো মা ভক্তদের মাঝে এমন আকুতির মধ্য দিয়ে আজ বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার  মধ্য দিয়ে শেষ হল এই দুর্গাপুজো। সমাপন ঘটলো মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খ আর উলুধ্বনির শব্দ। দেবী দুর্গার বন্দনায় পুজোর মন্ত্রোচ্চারণ, আরতি আর মাইকের আওয়াজ থেমে এখন নিশ্চুপ পুজোমণ্ডপগুলো।ধর্মের গ্লানি আর অধর্ম রোধ, সাধুদের রক্ষা, অসুরের বধ আর ধর্ম প্রতিষ্ঠার...


Oct 03, 2019

জাতীয়

কাউনিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায়  নিহত ১

কাউনিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১

রংপুর থেকে সংবাদদাতা: রংপুরের কাউনিয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় একজনের নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় কাউনিয়া জংশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হয়েছেন ।সান্তাহার থেকে পার্বতীপুরগামী একটি লোকাল ট্রেন কাউনিয়া জংশনে লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ঘুরাতে গিয়ে ওই ইঞ্জিন ট্রেনের দুইটি বগিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বগি দুইটি দুমড়ে যায়।এ সময় ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান। এ ঘটনায় আরও ১৫ জন আহত হন। আহতদের প্রথমে কাউনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - Ajker Bangladeshpostএস এস...


Oct 02, 2019

জাতীয়

র‌্যালি-বেলুন উড়িয়ে বরগুণার ইলিশ উৎসবে ৯৯ পদ

র‌্যালি-বেলুন উড়িয়ে বরগুণার ইলিশ উৎসবে ৯৯ পদ

শারদীয় দূর্গাপুজোর শুভেচ্ছা স্বরুপ একদিকে কলকাতার বাজারে যাচ্ছে ৫০০ টন ইলিশ। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে মঙ্গলবার রাতে গেল শুল্কমুক্ত ৩০ টন ইলিশ। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকি ইলিশ পাঠানো শেষ হবে।অন্যদিকে বসে নেই বঙ্গোপসাগর বিধৌত বাংলাদেশের দক্ষিণের জেলা বরগুনা। আজ বুধবার ঘটাকরে  সার্কিট হাউস মাঠে বেলুন উড়িয়ে বুধবার ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করা হলো। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা-১ আসনের সংসদ্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ্, পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বেলুন উড়িয়ে ইলিশ উৎসবের উদ্বোধন করেন।বরগুনা জেলা প্রশাসন ও টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের আয়োজনে প্রথমবারের মতো বরগুনা সার্কিট হাউস মাঠে দিনব্যাপী ইলিশ উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও স্থানীয় সুশিল সমাজসহ জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন। ইলিশের ওপরে একটি ডকুমেন্টরি প্রদর্শনের পরে স্টলগুলো পরিদর্শন করেন প্রধান অতিথিসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।ইলিশ উৎসবে দিনব্যাপী এ মেলা মাঠে বরগুনা সদরসহ প্রত্যেক উপজেলার স্টল রয়েছে। এতে ইলিশের নিরানব্বই আইটেমের খাবার ও টাটকা ইলিশ মাছ বিক্রি করা হচ্ছে।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, বরগুনাকে যেন ইলিশের জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিষয়টি বলবো এবং সামনে একনেকের সভায় উত্থাপন করবো।তাছাড়া ইলিশের এই উৎসবকে প্রতি বছর জাতীয় ইলিশ উৎসব হিসেবে পালন করা হয় সেজন্য ঊধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবো।বরগুনা জেলা প্রশাসন মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশসহ ১০টি দেশে ইলিশ পাওয়া যায় তার মধ্যে বাংলাদেশের জলসীমানায় ৬৬ ভাগ পাওয়া যায়, যার মধ্যে বরগুনা জেলায় এক পঞ্চমাংশ পাওয়া যায়।একটি ইলিশ গবেষণা কেন্দ্র ও ইলিশ মিউজিয়াম স্থাপন, মৎস্যজীবীদের সঙ্গে সর্বস্তরের জনগণের মেলবন্ধন, মাছ ধরার নৌকাগুলো আধুনিকায়নকরণ, ইলিশ অবতরণের ঘাট আরও আধুনিক করার দাবি জানান তিনি।আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - Ajker Bangladeshpostএস এস...


Sep 29, 2019

জাতীয়

মহালয়ায় আবাহন হলো মা দূর্গার আগমন বার্তা

মহালয়ায় আবাহন হলো মা দূর্গার আগমন বার্তা

ধরিত্রী রক্ষায় ও মানব সন্তানদের দেখতে বছরে একবার মর্তে আগমন করেন। তাঁর আসার জানান দেয়- মহালয়ার মাধ্যমে। অর্থাৎ দেবী দুর্গার মর্ত্যে আগমন ঘটতে বাকি নেই।মহালয়ার দিন ভোরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে আবাহন ঘটেছে মা দুর্গার। দেবীকে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে শুরু হয়েছে দেবীপক্ষ।আর দেবীর আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই সূচিত হয় মাতৃপক্ষের। শনিবার মহালয়ার মাধ্যমে সেই মাতৃপক্ষকে বরণ করে নিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।শনিবার ভোরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে আনুষ্ঠানিক পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে শুরু হলো শারদীয় দুর্গোৎসবের ক্ষণ গণনা। আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠীপূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত শনিবার থেকেই পূজার্থীরা দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শুনতে পাবে।শাস্ত্রীয় বিধানমতে, মহালয়ার অর্থ হচ্ছে মহান আলোয় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গাকে আবাহন। দু’টি পক্ষ রয়েছে, একটি পিতৃপক্ষ, অন্যটি দেবীপক্ষ। অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষের শেষ হয়, আর প্রতিপদ তিথিতে শুরু দেবীপক্ষের। শনিবার মহালয়ার মাধ্যমে সেই দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে।মহালয়া উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজাম-পগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। চণ্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন, চণ্ডীপূজা, ভক্তিমূলক সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল দিনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ।এদিন ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীদুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা। অনেক ভক্তই গঙ্গাতীরে তাদের মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করেন।আগামী ৪ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল পূজা। ৮ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব।শনিবার ভোরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীদুর্গাকে আবাহন জানানো হয়।পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে মহালয়ার উদ্বোধন করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশ। চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে দেবী অর্চনা ছিল শুরুতে।এ সময় দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা আবাহন ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সকালে মহালয়ার ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। পরে মন্দিরের জলাশয়ে গত বছরের দেবীর প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।রাজধানীর ঢাকেশ্বরী, বনানী, রমনা কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সকালে ছিল মহালয়ার ব্যাপক আয়োজন।গুলশান-বনানী সার্বজনীন দুর্গাপূজা উদযাপন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবার এই মণ্ডপে পূজা আয়োজনের একযুগ পূর্তি হলো।এদিন এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন...


Sep 22, 2019

জাতীয়

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকারঃ তথ্যমন্ত্রী

দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকারঃ তথ্যমন্ত্রী

সরকার সব ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।রবিবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ বেতার-টেলিভিশন শিল্পী সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। সভায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এই পদক্ষেপের জন্য বিএনপির উচিত সরকারকে সাধুবাদ জানানো। কারণ, যেখানে মাদক বা ক্যাসিনো অথবা অনিয়ম-দুর্নীতি ধরা পড়ছে তার বিরুদ্ধেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। যা বিএনপির আমলে করা হয়নি। বরং বিএনপির শাসনামলে তারা দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল এবং হাওয়া ভবন বানিয়ে প্রত্যক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ শতাংশ কমিশন নেওয়াটাকে বাণিজ্যে পরিণত করা হয়েছিল।তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, যিনি লন্ডনে পলাতক তিনি ছিলেন অজগর সাপ। সব কিছুই খেয়ে ফেলতেন। সে জায়গায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সব অনিয়ম-দুর্নীতি এবং মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অগ্রসর হচ্ছেন। এতে তো বিএনপির নেতাদের খুশি হওয়ার কথা এবং প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ দেওয়ার কথা আর তাদের ব্যর্থতার জন্য লজ্জা পাওয়ার কথা।ড. হাসান বলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশকে পরপর দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানানো বিএনপির দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। তাই, যেখানেই অনিয়ম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। এছাড়াও অনেক অনুপ্রবেশকারী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে পড়েছে। তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তথ্যমন্ত্রী এসময় সম্প্রতি তার ভারত সফর বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। এসময় দুই মুখ্যমন্ত্রীই তাদের নিজ নিজ রাজ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়াও ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমি নিজে রেল যোগাযোগের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি।তিনি বলেন, সফরে কলকাতা প্রেস ক্লাবের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলাম। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব সাংবাদিক কাজ করেছিলেন তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা একটি বই নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় সাত থেকে আটজন যুদ্ধকালীন সংবাদদাতাও উপস্থিত ছিলেন। তাদের স্মৃতিচারণ শুনেছি।বাংলাদেশের শিল্পীদের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীকার...


Sep 21, 2019

জাতীয়

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা: শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বড় বোঝা: শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরণের বোঝা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন মায়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়া উচিত। গণভবনে ইউকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি)’র দুটি পৃথক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। কারণ বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরাও একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। সে সময়ে এক কোটি বাংলাদেশি ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য একটি বড় বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং এদের কারণে স্থানীয় মানুষকে ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মানবিক কারণে ভোগান্তি মেনে নেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।ঢাকা সফররত ইউকে কনজারভেটিভ ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ (সিএফওবি) ও ইউকে এপিপিজি অন পপুলেশন, ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ এর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ইউকে অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ (এপিপিজি)’র সভাপতি অ্যানী মেইন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।ইউকে এপিপিজি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সফরের ওপর লেখা একটি প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।আরো পড়ুনঃরোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারকে সহযোগিতা করুন, বিএনপিকে কাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে বলে আবারও প্রতিশ্রুতি দেন। দুই বছর আগে বাংলাদেশে তাদের সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, সেই সময়ের তুলনায় এখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ অনেক ভালো হয়েছে।    ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ পোস্টে রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় নয় পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হওয়ার পর ওই রাজ্যে বিশেষ করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে সেনা অভিযান শুরু হয়।হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়াসহ নানা নিপীড়ন থেকে প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।।আগে ছিল চার লাখ। এরমধ্যে জন্ম নিয়েছে এক লাখ শিশু। এই ১২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বাস করছে।এস এস...


Sep 19, 2019

জাতীয়

পাসপোর্ট অধিদফতরে নতুন ডিজি মেজর জেনারেল সাকিল

পাসপোর্ট অধিদফতরে নতুন ডিজি মেজর জেনারেল সাকিল

বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরে নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ আদেশ জারি করে সাকিল আহমেদের চাকরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ন্যস্ত করেছে।আরো পড়ুনঃজুলাই থেকে মিলবে ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টঅন্যদিকে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মেজর জেনারেল মো. সোহায়েল হোসেন খানকে বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।আর বর্তমান চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম আল মুস্তাহিদুর রহমানকে সেনাবাহিনীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে।এসএস...


Sep 19, 2019

অপরাধ

ক্যাসিনো থেকে আটক ১৪২ জনের জেল

ক্যাসিনো থেকে আটক ১৪২ জনের জেল

শাসকদল আওয়ামী লীগের  ছাত্রফ্রন্ট ছাত্রলীগের পর দলের যুবফ্রন্ট যুবলীগের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান শুরু হলো।গতরাতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার নিয়ন্ত্রিত ক্যাসিনো থেকে আটক ১৪২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।বুধবার রাতে রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়ং মেন্স ক্লাব থেকে আটকের পর তাদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।অভিযানের সময় ওই ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, মদের বোতল ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।আরো পড়ুনঃশেখ কামাল ক্লাব কাপে খেলবে কলকাতার মোহনবাগানএবার ‘হালাল নাইটক্লাব’ সৌদি আরবেআটককৃতরা জুয়া খেলার পাশাপাশি সেখানে মদ্যপানও করছিল। যদিও ওই ক্লাবে মদ বিক্রির লাইসেন্স ছিল না, যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরও মদ্যপানের লাইসেন্স ছিল না।এছাড়া, ক্লাবটি থেকে জুয়া খেলার ২৪ লাখ টাকাও জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে জানান, অবৈধভাবে ক্যাসিনো পরিচালনা করার অভিযোগে ফকিরাপুলের ইয়ং মেন্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ১৪২ জনকে আটক করা হয়।তাদের মধ্যে ক্লাবের ছয় জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৩১ জনকে এক বছর করে এবং বাকিদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ওই ক্লাবে মদ বিক্রির লাইসেন্স ছিল না, যাদের আটক করা হয়েছে তাদেরও মদ্যপানের লাইসেন্স ছিল না।  এসএস...


Sep 18, 2019

জাতীয়

ভোটার তালিকায় নাম, ৬০০ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা

ভোটার তালিকায় নাম, ৬০০ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা

তথ্য গোপন করে অবৈধভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে কক্সবাজারে ৬০০ রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতিবিহীন কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ডিজিটাল জালিয়াতি করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের নাগরিক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে এ প্রতারক চক্রটি।ইতিমধ্যে চক্রটি কক্সবাজারের কয়েক হাজার রোহিঙ্গাকে নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেসে সংযুক্ত করেছে। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলাতেই অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন অফিস। এদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে এবং ইতিমধ্যে তিন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা। তিনি বাদী হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় পাঁচ রোহিঙ্গাকে গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করে এজাহারে আসামি করা হয়েছে। আরো পড়ুনঃরোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চিনকে নিয়ে নিউইয়র্কে মায়ানমারের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ঢাকারোহিঙ্গাদের এনআইডি পাইয়ে দেয়া রহস্য উদঘাটনে ২ প্রশ্নবাকি আসামিদের অজ্ঞাতনামা তালিকায় রাখা হয়েছে। আসামিরা হল- কক্সবাজার পৌরসভার পশ্চিম নতুন বাহারছড়ার বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম নুরু, মৃত শহর মুল্লুকের ছেলে ইয়াসিন, টেকনাফ নয়াপাড়া মুছনি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্লকের আবুল হাশেমের ছেলে আবদুল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ(৩৭) এবং কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ খোদাইবাড়ির মৃত ওলা মিয়ার ছেলে শামসুর রহমান।এদিকে এজাহারের প্রথম তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জাননিয়েছে পুলিশ। নাগরিক তালিকায় রোহিঙ্গাদের অন্তর্ভুক্তি যাচাই করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে ডিজিটাল জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। চক্রটি ইতোমধ্যে অন্তত ৬০০ রোহিঙ্গাকে অবৈধভাবে নির্বাচন কমিশনের ডাটাবেসে সংযুক্ত ও কক্সবাজার সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিবন্ধনভুক্ত করেছে।কক্সবাজারের বাকি সাত উপজেলার নাগরিক তালিকাও যাচাই করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন ধারণা করছে, রোহিঙ্গারা চিহ্নিত ও সংঘবদ্ধ একটি চক্রের সঙ্গে হাত করে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হচ্ছে।ইতোমধ্যে শুধু কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৫৯৭ রোহিঙ্গা অবৈধ পন্থায় ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে।এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার শিমুল শর্মা জানান, ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ১৮/১৯ লঙ্ঘন করায় বাংলাদেশে ভোটার হওয়া এসব রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।মামলার বাদী শিমুল শর্মা আরও জানান, অভিযুক্তরা চট্টগ্রাম শহরের অজ্ঞাতনামা লোকজনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গা নাগরিকদের অবৈধ...


Sep 17, 2019

শিক্ষা

বাংলাদেশে এলে নিজের বাড়িতে এসেছি বলেই মনে হয়: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

বাংলাদেশে এলে নিজের বাড়িতে এসেছি বলেই মনে হয়: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়

লেখক  শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়  বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। এক সাহিত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা জানাতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে পড়েন বিশিষ্ট সাহিত্যিক। “আমি যখনই বাংলাদেশে আসি, তখনই নিজের বাড়িতে এসেছি বলে মনে হয়”, এমন মন্তব্যই করেন তিনি।সোমবার রাজধানী ঢাকার বাংলামোটরে বাতিঘর সাহিত্য কেন্দ্র আয়োজিত ‘আমার জীবন, আমার রচনা’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রসঙ্গে উচ্ছ্বাসের সঙ্গে লেখক বলেন,  বহুবার বাংলাদেশে এসেছি, কখনো বাংলাদেশ এলে আরেক দেশে এসেছি বলে মনে হয়নি।ময়মনসিংহের আদিনিবাস নিয়ে বলতে গিয়ে স্মৃতিমেদুর হয়ে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ”ময়মনসিংহে গিয়েছিলাম, আগের মতো আর নেই। সেখানে আমাদের কাঁচামাটির বাড়ি ছিল। সেইগুলো এখন ইটের বাড়ি হয়ে গিয়েছে।বাড়ির সামনের বড় মাঠটাও নেই। জমিদার বাড়ি ছিল, সেটাও ঠিক নেই। একটি স্কুল ছিল সেটি খুঁজে পেয়েছিলাম। ছোটবেলায় আমরা যে ব্রহ্মপুত্রে স্নান করতাম, সাঁতরে বেড়াতাম ওটা এখন চর হয়ে গিয়েছে।ব্রহ্মপুত্র এখন একটি অসুস্থ নদ। দূরে আমাদের একটি পাকা বাড়ি আজ হসপিটাল।” শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করে শীর্ষেন্দু বলেন, “আমি ছেলেবেলা থেকেই দুরন্ত ছিলাম। মা আমাকে সামলাতে পারতেন না। সারাদিন খালি ছোটাছুটি করে বেড়াতাম। ছোটবেলায় আমাকে নুনো বলে ডাকতো সবাই।”অনুষ্ঠানে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার পোর্ট্রেট। শীর্ষেন্দু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় বাংলাদেশে পাঠকের সংখ্যা প্রায় ৫-৭ গুণ বেশি। পাশাপাশি বাংলাদেশে বইয়ের কালোবাজারি প্রসঙ্গে নিজের অসন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন তিনি। লেখক হয়ে ওঠার নেপথ্যকাহিনি জানতে চাইলে ঔপন্যাসিক বলেন, ছেলেবেলা থেকেই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বই বেশি পড়তাম। সেখান থেকেই আমার ভাষার দখল আসতে শুরু করে। এরপর থেকে লেখালেখিও শুরু করলাম।তবে ১৬-১৭ বছর বয়সে কোচবিহারের বোর্ডিংয়ে আমাকে পাঠানো হলো। তখন থেকেই ভালোভাবে লেখালেখি শুরু করি। ১৭ থেকে ১৮ বছর আমার বোর্ডিংয়ে কেটেছে, সেই সময় আমার মাথায় লেখার ভাবনা আসা শুরু করল। চেষ্টা করে একটি গল্পও ছাপা হল। এরপর থেকে নিয়মিত হয়ে গেলাম। এটা আমার কল্পনারও অতীত ছিল।আমাদের দেশে লেখকদের বাজার সেরকম নেই। তবে সমরেশ সমরেশ মজুমদার এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছিলেন। অর্থ উপার্জন করার জন্য আমি কখনও লিখব, এটা চিন্তাই করিনি।এক্ষেত্রে...