ন্যাভিগেশন মেনু

সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার

উখিয়া প্রতিনিধি
সাঈদ মুহাম্মদ আনোয়ার
May 18, 2024

জাতীয়

মাদক পাচারকারী আটক হলেও বারবার ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে গডফাদাররা!

মাদক পাচারকারী আটক হলেও বারবার ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাচ্ছে গডফাদাররা!

মায়ানমার থেকে অবৈধভাবে প্রবেশ করা সিগারেট, স্বর্ণের বার, ইয়াবাসহ বিভিন্ন চোরাইপন্যের গডফাদার হিসাবে নিজেকে দীর্ঘদিন যাবত আড়ালে রেখেছিল সাইফুল নামে এক যুবক। সম্প্রতি এই যুবকের আলিশান ও  বেপরোয়া জীবনযাপন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তার ভয়ংকর তথ্য।কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহ বিল এলাকায় একলাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার মামলার এজাহারভুক্ত ২নং আসামি সাইফুল ইসলামের পিতার তথ্য, এই কাজে তার সংশ্লিষ্ট পাওয়া যায়নি বলে চার্জশিট থেকে বাদ দিয়েছিল তদন্ত কর্মকর্তা। যদিও সে  ১ নং আসামী সাদ্দামকে দিয়া পাচার করার উদ্দেশ্যে দিয়েছিল সাইফুল ইসলাম এমন অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর উখিয়া থানায় সাইফুলসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রায় চার কোটি আশি লক্ষ টাকা দামের মাদক উদ্ধারে মামলা করেছিলেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির নায়েক মো. রেজাউল করিম। যার মামলা নং: ৮৮/৭৭১।২০২১ সালের ২৪শে নভেম্বর সেই মামলার পুলিশী চার্জশিট দেওয়ার সময় কৌশলে ২নং আসামি সাইফুল ইসলাম বাদ দেওয়া হয়। ওই মামলার অপর দুজন ছিলেন পাচারকারী মাত্র। মো. সৈয়দ আলমের পুত্র মো. সাদ্দাম হোসেন ও বদিউর রহমামের ছেলে মো. রফিক মিয়া। তারা দুজনই সাইফুলের বিশ্বস্ত এর আগে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহ বিল এলাকার ঠান্ডা মিয়ার বাগান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একলাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি।স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউপির আজ্যুখাইয়া গ্রামের মো. আবদুর রহমানের ছেলে সাইফুল। সে একজন চিহ্নিত মাদক, স্বর্ণ, সিগারেট, বিভিন্ন কালোবাজারি ব্যবসায়ীর বড় মাফিয়া। মায়ানমার কেন্দ্রীক রয়েছে তার বিশাল সিন্ডিকেট।  প্রশাসনের চোঁখ দিয়ে সে দীর্ঘদিন যাবৎ এসব অবৈধ উপায়ে অর্জন করেছে অটেল সম্পদ বানিয়েছেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রায় ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে অভিযোগপত্র থেকে নিজের নাম বাদ দিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ছাড়াও চট্টগ্রামে আরেকটা সিগারেটের মামলা ছিল। এসব মামলায়ও একই কায়দায় পার পেয়ে গেছেন সাইফুল।তারা আরো জানায়, সাইফুল অত্যান্ত চালাক প্রকৃতির ছেলে। সে যাকে পাচারের জন্য দায়িত্ব দেন তাকেসহ তার পুরো পরিবার জিম্মি করে রাখেন। যদি তার মাদক আটক হয় তাহলে তার নাম যেন না আসে সেই ব্যবস্থা ঠিক রেখেই পাচারকারীদের সাথে কন্ট্রাক্ট করেন। ২০২১ সালে...


May 17, 2024

অপরাধ

উখিয়ায় ক্যাম্পের বাইরে এসে প্রশিক্ষণরত ৩২ রোহিঙ্গা আটক

উখিয়ায় ক্যাম্পের বাইরে এসে প্রশিক্ষণরত ৩২ রোহিঙ্গা আটক

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে এসে সেমিনার ও প্রশিক্ষণ চলাকালে ৩২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। এদের মধ্যে ২৮জন পুরুষ ও ৪ জন নারী রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। আটককৃত রোহিঙ্গাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন জানিয়েছেন।এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১ টি প্রজেক্টর, ৩২ টি মোবাইল ও সংঠনের বিভিন্ন ডকুমেন্টস জব্দ করা করা হয়।শুক্রবার (১৭ মে) সকাল দশটার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের আদালত পাড়া সংলগ্ন একটি বহুতল ভবনে গ্লোবাল ট্রেইনিং সেন্টারে এ অভিযান চালানো হয়।সূত্রে জানা গেছে, আরআরআরসি’র অনুমতি ব্যতীত ক্যাম্পের বাইরে এসে রোহিঙ্গা যুবক-যুবতীদের নিয়ে সেমিনার ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করে গ্লোবাল ট্রেইনিং সেন্টার নামে ওই প্রতিষ্ঠান।এশিয়া প্যাসিফিক অব রিফিউজি ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস এন্ড হিউম্যান রাইটস' এর সহযোগিতায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে গ্লোবাল ট্রেইনিং সেন্টারের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।আন্তর্জাতিক সংস্থা ও বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সাথে যোগসাজশ রক্ষা করে ক্যাম্পের অভ্যন্তরে নিয়োজিত বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম এবং তথ্য পাচারে এসব প্রোগ্রামের আয়োজন করতে পারে এমনটি মনে করেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম হোসেন বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ভিত্তিতে এ  অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃত রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ...


May 13, 2024

জেলার খবর

উখিয়ায় প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ১১ প্রার্থী

উখিয়ায় প্রতীক পেয়ে প্রচারনায় ১১ প্রার্থী

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটে কক্সবাজারের উখিয়ায় ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সোমবার (১৩ মে) জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী (আনারস), উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনসুর চৌধুরী ( মোটর সাইকেল) ও উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী (ঘোড়া)।ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারীরা হলেন- উখিয়া উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম (টিউবওয়েল), উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু (মাইক), উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাংবাদিক রাসেল চৌধুরী (তালা), উখিয়া প্রেস ক্লাব সাবেক সহ সভাপতি সাংবাদিক গফুর মিয়া চৌধুরী (চশমা) ও পালং খালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার গফুর উল্লাহ (বই)।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উখিয়া উপজেলা বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুনেচ্ছা বেবি (কলসী), সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহিন আক্তার (হাঁস) ও সানজিদা আক্তার নুরী (প্রজাপতি)।সোমবার বিকেল ২ টা থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার প্রচারনায় মাঠে নেমে পড়েছে। মাইকিং, জনসংযোগ,  শো-ডাউন সহ নানা প্রচারনা করতে দেখা গেছে অনেক প্রার্থীদের। এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েছেন। আইন অনুযায়ী ভোট গ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগ পর্যন্ত চলবে প্রচার। আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উখিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। উপজেলা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে আমাদের সব প্রস্তুতি চলছে। প্রার্থীরা যাতে আচারণবিধি মেনে প্রচারণা করেন সেদিকে নজরদারি রয়েছে। উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় মোট ১লাখ ৫১ হাজার ৫৬৪ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭৮ হাজার ৫৫০জন। তৎমধ্যে মহিলা ভোটার ৭৩ হাজান ১৪ জন।...


May 10, 2024

রাজনীতি

উখিয়ার নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর

উখিয়ার নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর

আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য উখিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারো ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। দীর্ঘ ৫ বৎসর ক্ষমতার মসনদে থেকে একজন পরীক্ষিত নেতা হিসেবে মানুষের মনে স্থান দখল করে রেখেছেন তিনি।গণমানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন বিশ্বস্থতার সাথে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। দায়িত্বপালন কালে জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন কাজের মাধ্যমে নিরাপদ এবং জনবান্ধব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছেন।এদিকে নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে সাধারণ ভোটাররা ততই বিশ্লেষণ করছে। মানুষ কার কাছে নিরাপদ? কে বেশি উন্নয়ন করতে পারবে? কে বেয়াদবি করবে না? নানান জন নানান ভাবে আলোচনা করতে শোনা গেছে। সবশেষে জাহাঙ্গীরে আস্থা রাখার কথা ভাবছে উখিয়া উপজেলার সাধারণ মানুষ।তিনি হলেন, শহীদ এটিএম জাফর আলম (সিএসপি), সাবেক বাংলাদেশ মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এবং সাবেক হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমের ভাতিজা।জাহাঙ্গীর আলম উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও আওয়ামী ঘরানার শহীদ পরিবারের সন্তান এবং একজন অমায়িক, নম্র ভদ্র পরোপকারী মানুষ হিসেবে ইতোমধ্যে উপজেলাব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছেন।অপরদিকে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরীর মেয়ের জামাই হিসেবে পারিবারিক এবং রাজনৈতিক ভাবে রয়েছে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে।সর্বোপরি সাধারণ ভোটারদের মাঝে তিনি নিরাপদ মানুষ হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলে ভালো হবে এমনটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।জাহাঙ্গীর আলম গেল ৫ বছর সর্বদলীয় মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গ্রহণ করেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। ধর্ম-বর্ণের বৃত্তের বাইরে গিয়ে, নানা জনহিতকর কাজ করে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ইতোপূর্বে আর্তমানবতার সেবায় গৃহীত পদক্ষেপগুলো অতি ব্যাপক ও বিস্মৃত। অসংখ্য অভাবীদের অন্ন- বস্ত্র- বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি, বেকারদের কর্মসংস্থানে নিয়েছেন কার্যকর পদক্ষেপ।ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম এ সময়ের সাহসী একজন নেতা হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে তার বিজয় শতভাগ নিশ্চিত হবে বলে প্রবীণ রাজনীতিবীদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন। কেননা, তিনি বিগত ৫ বছর এ পদে দায়িত্বে থেকে সততা ও নিষ্টার সাথে কাজ করেছেন।অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা...


Mar 03, 2024

জেলার খবর

বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া  স্ত্রী-সন্তানসহ শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালালের দাফন সম্পন্ন

বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া স্ত্রী-সন্তানসহ শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালালের দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় কক্সবাজারের মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।জানাজা পূর্বে তাঁদের আলোকিত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম হোসেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, নিহত শাহ জালালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল কাশেম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ও মরহুমের শাহ জালালের বড় ভাই হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু সহ স্থানীয় আওয়ামী, জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যরা।জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির শায়িত করা শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালাল, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও তাঁদের একমাত্র আদরের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে।এর আগে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাঁদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি সাধারণ মানুষও। সবার বুকে ছিল পাহাড়সম পাথর। ব্যথিত হৃদয়ে ক্ষণজন্মা শাহ জালাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে চির বিদায় দেন সবাই। এসময় সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর যেন কোন বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়। সরকারকে এ নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত।শুল্ক কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন (৩৭)। স্ত্রী মেহেরুন নিসা (২৪) ও একমাত্র মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে (৪) নিয়ে থাকতেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাস্টম কোয়ার্টারে। কক্সবাজারে বাড়িতে আসার জন্য দুদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। বাড়ির পথে রওনা হওয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে তিনি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় যান। আগুনে পুড়ে সেখানেই তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এতে জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হলো না আপন নিবাস কক্সবাজারে। স্ত্রী–সন্তানসহ নিথর দেহে কক্সবাজারে ফিরেছেন তিনি।গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল...


Mar 03, 2024

জেলার খবর

বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া  স্ত্রী-সন্তানসহ শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালালের দাফন সম্পন্ন

বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া স্ত্রী-সন্তানসহ শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালালের দাফন সম্পন্ন

রাজধানীর বেইলি রোড ট্র্যাজিডিতে অকালে ঝরে পড়া শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় কক্সবাজারের মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।জানাজা পূর্বে তাঁদের আলোকিত জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ আবদুর রহমান বদি, উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শামিম হোসেন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, নিহত শাহ জালালের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবুল কাশেম, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ও মরহুমের শাহ জালালের বড় ভাই হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু সহ স্থানীয় আওয়ামী, জনপ্রতিনিধি ও পরিবারের সদস্যরা।জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চির শায়িত করা শুল্ক কর্মকর্তা শাহ জালাল, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও তাঁদের একমাত্র আদরের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে।এর আগে সকাল থেকে দূর-দূরান্ত থেকে তাঁদের এক নজরে দেখতে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ। মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে চলে স্বজনদের আহাজারি। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি সাধারণ মানুষও। সবার বুকে ছিল পাহাড়সম পাথর। ব্যথিত হৃদয়ে ক্ষণজন্মা শাহ জালাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে চির বিদায় দেন সবাই। এসময় সবার কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। আর যেন কোন বাবা-মায়ের কোল খালি না হয়। সরকারকে এ নিয়ে গভীরভাবে ভাবা উচিত।শুল্ক কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিন (৩৭)। স্ত্রী মেহেরুন নিসা (২৪) ও একমাত্র মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরাকে (৪) নিয়ে থাকতেন ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কাস্টম কোয়ার্টারে। কক্সবাজারে বাড়িতে আসার জন্য দুদিনের ছুটি নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। বাড়ির পথে রওনা হওয়ার আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্ত্রী–সন্তানকে নিয়ে তিনি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় যান। আগুনে পুড়ে সেখানেই তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এতে জীবিত অবস্থায় আর ফেরা হলো না আপন নিবাস কক্সবাজারে। স্ত্রী–সন্তানসহ নিথর দেহে কক্সবাজারে ফিরেছেন তিনি।গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাহজালালের স্ত্রী মেহেরুন নিসার রামুর গ্রামের বাড়ি ফতেখাঁরকুল...