ন্যাভিগেশন মেনু

'প্রধানমন্ত্রী মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করেছেন'


ইমাম-মুয়াজ্জিনরা সমাজের আলোকবর্তিকা। ইমাম রাতারাতি তৈরী হয় না। মানুষকে সত্য ও ন্যায়ের পথ দেখানোর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার পরেই ইমাম হয়, বলেছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার।

সোমবার (১২ অক্টোবর) কভিড-১৯ সংক্রমন পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমামদের সাথে মতবিনিময় ও পাঁচ দিনব্যাপি রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি আরও বলেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন হওয়া সবার ভাগ্যে থাকে না। যথার্থ মানুষেরাই কেবল ইমাম মুয়াজ্জিন হতে পারেন। 

জেলা প্রশাসক বলেন, সোনার মানুষ গড়ার কারিগর হচ্ছেন ইমাম ও শিক্ষকবৃন্দ। কিন্তু একটি দুষ্টচক্র ইমামদের পোষাক এবং পবিত্র গ্রন্থের বিভ্রান্তমূলক ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে জঙ্গি হিসেবে তৈরি করে। সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে। এদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

অতুল সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করেছেন। তিনি মাদ্রাসার শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে বেতনের সমতা করেছেন। কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান করেছেন । সরকার ইমাম মুয়াজ্জিনদের ভালো অবস্থানে রাখার জন্য সবসময় কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মওলানা আনিছুজ্জামান শিকদার, অনুবাদ ও সংকলক বিভাগের উপপরিচালক মওলানা মুসতাক আহমেদ, প্রশিক্ষণ একাডেমির ইমাম মওলানা মোঃ জাকির হোসেন।

এতে আলোচক ছিলেন, ফরিদপুর শাহ ফরিদ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মওলানা আবুল কালাম আজাদ।

অনুষ্ঠান শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করেন শাহ ফরিদ জামে মসজিদের ইমাম মওলানা হুসাইন আহমাদ, নাতে রাসুল তেলওয়াত করেন ধুলদী বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মোঃ আব্দুর রহান। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ফরিদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক শেখ আকরামুল হক। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপন করেন ফরিদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ আশরাফ আলী।

অনুষ্ঠানে ৫ জন ইমামের মাঝে সুদমুক্ত ঋণ ও ৫ জন ইমামের মাঝে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। একই সাথে ২০০ ইমামের পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

এম জেড/এডিবি