ন্যাভিগেশন মেনু

অটো হ্যান্ড স্যানিটাইজার উদ্ভাবন করেছে চুয়েট শিক্ষার্থী


চুয়েট সংবাদদাতা

বাংলাদেশে নতুন করে আরও ছয়জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত রোগী ৩৯ জন। সরকারি হিসেবে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত কোনো মানুষ যদি বোতলে আবদ্ধ কোনো হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্পর্শ এবং ব্যবহার করে থাকে তাহলে পরবর্তীতে ঐ বোতল ব্যবহারকারী সকলের শরীরের ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার একটা প্রকোপ থেকে যায়।

সেই চিন্তাভাবনা থেকে বিশ্বব্যাপি মহামারী ‘করোনাভাইরাস’ এর প্রাথমিক প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জীবাণুনাশক স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির ‘অটো হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিস্পেন্সার’ উদ্ভাবন করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর রোবট গবেষণাভিত্তিক সংগঠন রোবো মেকাট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশন (আরএমএ)।

এটি তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষামূলকভাবে উদ্ভাবিত প্রথম স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন।

সফলভাবে উদ্ভাবিত যন্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে যন্ত্রটির ব্যবহারবিধি ও করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় কিছু বিষয় টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সংগঠনের সদস্য হাসিবুল ইসলাম সোহাগ জানান, একই স্যানিটাইজার ব্যবহারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রিকশাচালক, পথচারীসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষের সুবিধার জন্য মেশিনটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।

হাসিবুল আরও জানান, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত প্রস্তুতপ্রণালী ব্যবহার করেই যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে। পরবর্তীতে বড় পরিসরে স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন বসানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।’

আরএমএ সভাপতি সৌরভ রক্ষিত রিদন বলেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে সবার উচিত সচেতন থাকা। সচেতন থাকলে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাস মোকাবিলা সম্ভব।’

ওআ /এডিবি