ন্যাভিগেশন মেনু

অনিদ্রা দূর করে গরম দুধে মধু


বিছানায় শুয়ে পড়েছেন। কিন্তু ঘুম কিছুতেই আসছে না। একবার এপাশ ফিরছেন, তো আবার ওপাশ ফিরে ঘুমানোর চেষ্টা। বার কয়েক জলও খেয়ে নিলেন। তাতেও লাভ হল না।

শরীরে ক্লান্তি আছে, অথচ চোখে ঘুম নেই। কারণে-অকারণে অনিদ্রার এই সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। ‘ঘুম পাড়ানি মাসি-পিসি’ কেন মামা, কাকা, এমনকী সিধু জ্যাঠাকে ডাকলেও কোনও লাভ হয় না। এমন ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার পথে যেতেই পারেন।

তবে তাতে দু’টি সমস্যা রয়েছে। এক তো চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। অন্যটি হল, অনেক সময় ঘুমের ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় জ্বালা সহ্য করতে হয়। অনিদ্রার এই জ্বালা জুড়ানোর কিছু ঘরোয়া উপায় অবশ্য রয়েছে।

উষ্ণ গরম জলে স্নান- ঘুম না আসার অনেক কারণের মধ্যে একটি কারণ।  সারাদিনের পরিশ্রমের ক্লান্তি হতে পারে। এমন ক্ষেত্রে উষ্ণ গরম জলে স্নান করলে শরীর আরাম পায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে উষ্ণ গরম জলে স্নান করা উচিত। এতে শরীর ঠান্ডা হওয়ার সময় পায়।

ম্যাসাজ- শরীরের পাশাপাশি মনকেও শান্ত করে ম্যাসাজ। ব্যথা-বেদনা, দুশ্চিন্তা দূর করে। আর এর জন্য সবসময় বাইরে থেকে অভিজ্ঞ লোক বহাল করার প্রয়োজন নেই।

বাড়িতে সঙ্গীকে একটু বলে দেখতেই পারেন। ল্যাভেন্ডার অয়েল – সুগন্ধ যুক্ত ল্যাভেন্ডার অয়েল মন ভাল করে দেয়। হাতে একটুখানি নিয়ে তারপর ঘষে গন্ধ নিতে হবে। চাইলে আপনার পছন্দের সুগন্ধীও ব্যবহার করতে পারেন।

গরম দুধে মধু – এই উপায় অনেক আগে থেকে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এক গ্লাস গরম দুধে মধু দিলে রাতের ঘুম ভালো হয়। দুধের মধ্যে amino acid tryptophan থাকে যা শরীরের নির্দিষ্ট কিছু হরমনের ক্ষমতা বাড়িয়ে ঘুম আসতে সাহায্য করে।

ভেষজ চা- ভেষজ গুণ সম্পন্ন চা খাওয়া শরীরের পক্ষে এমনিতেও উপকারী। তা দেহের সমস্ত টক্সিক বের করে দেয়। এতে শরীর শান্ত হয়। ঘুম তাড়াতাড়ি আসে।

বাড়িতেই খুব সহজে এই বিষয়গুলি করে দেখতে পারেন। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে হ্যাঁ, ঠিকঠাক ঘুম আসার জন্য আরও কয়েকটি বিষয় আপনাকে মেনে চলতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কফি পান করবেন না, ধূমপান করবেন না, হালকা খাবার খাবেন। মোবাইল বা ল্যাপটপের থেকে দূরে থাকবেন। 

এস এস