ন্যাভিগেশন মেনু

অভিনেত্রী আশার মৃত্যুর প্রতিবেদন ১২ এপ্রিল


রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় তরুণ অভিনেত্রী আশা চৌধুরী মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ মার্চ) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দারুস সালাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহান আহমেদ প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এই দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ৬/৭ বছর যাবৎ আসামী শামীম আহমেদের সঙ্গে নিহত আয়শা আক্তার আশার পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে আত্মিক সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। সেই সম্পর্কে সুবাদে আসামী শামীম আশাদের বাসায় প্রায় যাতায়াত করতো। এতে আশার পরিবার শামীমকে বিশ্বাস ও স্নেহ করতো। যার কারণে আসামী শামীম মাঝে মধ্যে আয়েশাকে তার অফিস এবং মিডিয়ার কাজে আসা যাওয়ার জন্য সহযোগীতা করতো।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৪ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে বনানী অফিস হতে আয়েশা বের হওয়ার সময় তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় - আমি কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় আসতেছি। এরপর রাত পৌনে ১১টার দিকে পুনরায় আশা তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানায় - বাড়ির কাজের ব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছে। কাজ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আমি শামীম ভাইয়ের সঙ্গে চলে আসবো।

পরবর্তীতে রাত পৌনে ২টার সময় শামীম ফোন করে জানায়, আশা আর নেই। টেকনিক্যাল মোড়ে একটি অজ্ঞাত ট্রাকের নিচে চাপাপড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামী শামীম আহাম্মেদ বেপরোয়া দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুই ট্রাকের মাঝখান দিয়ে দ্রুত গতিতে যাওয়ার সময় সামনের ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে আয়েশা আক্তার শামীমের মোটরসাইকেলের পেছন থেকে ছিটকে পড়ে যায়। এরপর পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি অজ্ঞাত ট্রাক আশাকে চাপাদিলে মাথা ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত জখম হয়। যার ফলে আশা ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি আয়শা আক্তার আশার বাবা মো. আবু কালাম বাদী হয়ে রাজধানীর দারুসসালাম থানায় সড়ক পরিবহন আইনের মামলা করেন। ওইদিন আসামী শামীম আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, আশা চৌধুরী বাংলাদেশ টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত ছিলেন। একক নাটকে নিয়মিত অভিনয় করতেন তিনি। এছাড়া টেলিফিল্ম ও ধারাবাহিক নাটকেও তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে।

সর্বশেষ তিনি রুমান রুনি পরিচালিত ‘দ্য রিভেঞ্জ’ নাটকের শ্যুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। আয়শা আক্তার আশা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারে পড়ছিলেন।

ওয়াই এ/এডিবি