ন্যাভিগেশন মেনু

আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন ট্রাম্প, উল্টো হতে পারে ফল!


নির্বাচনে হারার পর আইনি লড়াই শুরু করতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। তবে শেষ পর্যন্ত কতটা ধোপে টিকবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যে স্পষ্ট ব্যবধানে বাইডেন জিতেছেন, তাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও খুব একটা সুবিধা করতে পারবেন না ট্রাম্প। আর ক্ষমতা ছাড়ার পর বিচারের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে তার।

২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে উঠে আসে, শারীরিক সম্পর্কের পর পর্ণতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখতে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।  ২০০৬ সালের সম্পর্ক হলেও, ২০১৬ সালে নির্বাচনের ঠিক আগে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন ট্রাম্প। যদিও আয়কর প্রদানের সময় সময় তা দেখাননি প্রেসিডেন্ট। আর এতেই মামলা হয় তার নামে। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে স্বীকার করতে বাধ্য হন ধনকুবের এই প্রেসিডেন্ট।

২০১৭ সালে ট্রাম্পের আইনজীবীরা বলেন, প্রেসিডেন্ট থাকার আইনি তদন্ত হলে দায়িত্ব ঠিক পালন করতে পারবেন না ট্রাম্প। তাই আপাতত তদন্ত বন্ধ রাখার আবেদন করা হয়। যদিও আদালত আইনজীবীদের কথা মানতে রাজি হননি।

এবার নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় সেই মামলায় নতুন অগ্রগতি হতে পারে। অভিযোগ সঠিকভাবে প্রমাণিত হলে জেলে যেতে পারেন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ ছেড়ে যাওয়ার বিচার বিভাগের আইনজীবীদের ব্যক্তিগত আইনী লড়াইয়েও আর ব্যবহার করতে পারবেন না। ক্ষমতা গ্রহণের পর বেআইনিভাবে বেশ কয়েকবার তিনি যেটি করেছেন।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ, ২০১৬ সালের নির্বাচনী তহবিল অপব্যবহার করেছেন। প্রেসিডেন্ট না হলে যে বিষয়গুলোতে অনেক আগেই জেল জরিমানার মুখোমুখি হতে পারতেন ট্রাম্প।

সিবি/এডিবি