ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষ করে সফল কৃষক আফজাল


পাবনার চাটমোহরে আখের সঙ্গে সাথী ফসল চাষ করে এক বিঘা জমি থেকে এক বছরে প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বিলচলন ইউনিয়নের দোলং গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন।

ভালো কৃষক হিসেবে এলাকায় তার সুনাম রয়েছে আগে থেকেই। তার উচু জমিগুলোতে সারাবছর তিনি দুই বা ততোধিক ফসল একই সাথে উৎপন্ন করেন। দীর্ঘমেয়াদি ফসলের সাথে তিনি স্বল্পমেয়াদি টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি চাষ করেন।

চাটমোহর কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৯৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এরমধ্যে মিল জোনের আওতায় রয়েছে ২০ হেক্টর। বাকি ৭৫ হেক্টর জমির আখ মিল জোনের আওতার বাইরে।

কৃষক আফজাল হোসেন জানান, গত প্রায় দশ বছর যাবত আখ চাষ করে আসছেন তিনি। এ বছর এক বিঘা জমিতে ঈশ্বরদী-৪২ (রঙ বিলাস) জাতের চিবিয়ে খাওয়ার আখ রয়েছে তার। এখন থেকে প্রায় দশ মাস আগে এ জমিতে আখের চারা রোপন করেন তিনি। সাথী ফসল হিসেবে তখন আখের মধ্যে বেগুনের চারাও লাগান। এ জমি থেকে ২০ হাজার টাকার বেগুন বিক্রি করেন।

বেগুনের আবাদ শেষ হওয়ার সাথে সাথে মাঘ মাসের শুরুতে আখের মধ্যেই আবার উন্নত জাতের টমোটোর চারা রোপণ করেন। প্রায় ৩০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেন। 

টমেটো বিক্রির পর চৈত্রের মাঝামাঝিতে এসে জমি ভালো করে কুপিয়ে আখের ছোপের গোড়ায় গোড়ায় অতিরিক্ত সার প্রয়োগ করেন। এর প্রায় ৪ মাসের মাথায় আখের ছোপগুলো বেশ বড় বড় হয়ে যায়। আখগুলোও প্রায় ৫ থেকে ৬ ফুট লম্বা হয়ে যায়।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই তিনি আখ বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিটি আখ গড়ে ১৫ টাকায় বিক্রি করছেন। এ জমিতে তার প্রায় ৯ হাজার আখ হয়েছে। কিছু বড় এবং কিছু ছোট। এ জমিতে আখ, বেগুন ও টমেটো আবাদে তার মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। এ এক বিঘা জমি থেকে এক বছরে তিনি প্রায় দেড় লাখ টাকা লাভ পাবেন বলে জানান।

এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চাটমোহরের ফৈলজানা, মথুরাপুর, হরিপুরসহ দোলং এলাকায় বেশি আখ চাষ হয়। মিল জোনের আওতার আখগুলো থেকে চিনি তৈরি হয়। বাকি আখের কিছু থেকে গুড় তৈরি হয়। কিছু রস করে বিক্রি করা হয়। কিছু চিবিয়ে খায় মানুষ। এ বছর কিছু জমি লাল পঁচা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এখন ভাল আছে।

আইকেআর/এসএ/এডিবি/