‘বাংলাদেশকে বলা হয়েছিলো বটমলেস বাস্কেট। বলা হয়েছিলো বাংলাদেশ টিকবে না। আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে বিস্ময়। আমাদের টার্গেট ডাবল ডিজিট গ্রোথ। আগামী বছর বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী।’
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বাংলাদেশে তৈরি বৃহত্তম দুইটি জাহাজ ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কসকে হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী হচ্ছে পার্টনারশিপ ব্যবসাক্ষেত্র। নৌপথে খরচ কমবে। আমরা ভারত থেকে বেশি সুবিধা নিতে পারি। শুধু মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে। আমরা ভৌগোলিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে আছি। মোংলা বন্দরের উন্নয়ন হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ছে।
অনেক জায়গায় আরও কাজ করার সুযোগ আছে। বর্ডার হাট চালু হয়েছে। আমাদের দুর্দিনে, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলো। ১ কোটি মানুষকে জায়গা দিয়েছিলো।
টিপু মুনশি বলেন, ভারত, ভুটান, নেপালকে আমাদের বন্দর ব্যবহার করতে দিলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমরা উন্নতির স্বার্থে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখবো।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের জাহাজ রপ্তানি হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নাম বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ নির্মাণে। ভারত আরও জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেবে বলে আশা করেন মন্ত্রী।
এছাড়া ২০১৫ সালে ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস ২০০ কোটি টাকায় ৪টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে ‘জেএসডব্লিউ রাইগাড়’ ও ‘জেএসডব্লিউ প্রতাপগড়’ হস্তান্তর করা হয়।
এস এ / এস এস