ন্যাভিগেশন মেনু

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম আকর্ষণ ক্যান্টন ফেয়ার


আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম আকর্ষণ চীনের বিখ্যাত বাণিজ্য মেলা বা ক্যান্টন ফেয়ার। সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে ১৩১তম ক্যান্টন ফেয়ার। তবে করোনা মহামারির কারণে এ বছরের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনলাইনে।

চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য পরিমাপের ব্যারোমিটার বলা হয় বিখ্যাত ক্যান্টন ফেয়ারকে। চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের কুয়াংচৌ শহরে ১৫ এপ্রিল উদ্বোধন করা হয় চলতি বছরের মেলা।

মেলার নামকরণ এ শহরের সূত্র ধরেই। অতীতে কুয়াংতোং শহরকে বলা হতো ক্যান্টন। সেই থেকে এ মেলাও পরিচিতি পেয়েছে ‘ক্যান্টন ফেয়ার’ নামে। ১৯৫৭ সাল থেকে প্রতিবছর বসন্তে ও শরতে ধারাবাহিকভাবে বসছে ক্যান্টন ফেয়ার। চলতি বছর বসছে এ মেলার ১৩১তম আসর। তবে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ বছর পুরো মেলা হবে অনলাইনে।

ক্যান্টন ফেয়ারের ডেপুটি ডিরেক্টর চু শিচিয়া বলেন, ‘উদ্বোধনের দিন সকাল ১১টায় ক্যান্টন ফেয়ারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ৫৭লাখ মানুষ এটি দেখেছে। সংযুক্ত ছিলো ১৪ মিলিয়ন ভিজিটর। এদের মধ্যে সাড়ে ১১ মিলিয়ন ভিজিট হয়েছে চীনের বাইরে থেকে, যা মোট ভিজিটের ৮০ শতাংশ। এই মেলায় অংশ গ্রহণের জন্য এরমধ্যেই ২২৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২ লাখ বিদেশি ক্রেতা রেজিস্ট্রেশন করেছেন।’

এবারের ক্যান্টন মেলায় ২৫ হাজারের বেশি অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক অংশগ্রহণকারী ১৬টি ক্যাটাগরিতে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছেন। ইলেকট্রনিক সামগ্রী, গৃহস্থালী পণ্য, যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ ইত্যাদি বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে ৫০টি প্রদর্শনী স্থানে।

দারিদ্র্য পীড়িত অঞ্চলগুলোর পণ্য প্রদর্শনেরজন্য রয়েছে বিশেষ স্থান। চীনে গ্রামীণ অর্থনীতির যে পুনর্জাগরণ ঘটেছে সেদিকেও আছে বিশেষ নজর।

মেলায় ২৯ লাখ পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে যার মধ্যে আছে ৯ লাখ নতুন পণ্য। এর পাশাপাশি সাড়ে ৪ লাখের বেশি পরিবেশবান্ধব পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। 

ক্যান্টন ফেয়ারের মুখপাত্র ও চীনের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী সু বিং বলেন, ‘ক্যান্টন ফেয়ার ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের মধ্যে আরও যথাযোগ্য সমন্বয় করার এক প্রচেষ্টার নাম। বাণিজ্যে দক্ষতা বাড়াতে আমরা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও চ্যানেলের উন্নয়ন ঘটিয়েছি। চীনের ৫শ’র বেশি কোম্পানি ও বিদেশের শীর্ষস্থানীয় ২০টির বেশি বহুজাতিক করপোরেশন আমাদের ক্লাউড প্রোমোশন ইভেন্টে রেজিস্ট্রেশন করেছে।’

মেলায় গিফট আইটেম, সোলার প্যানেলের মতো চীনের নানা রকম পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমেও। বাজার বিশ্লেষণ ও অঞ্চলিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভকে জনপ্রিয় করাও এ মেলার অন্যতম উদ্দেশ্য।

চায়না ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড রিপ্রেজেনটেটিভ ওয়াং শোওওয়েন বলেন, ‘ক্যান্টফেয়ারকে চীন সরকার অনেক গুরুত্ব দেয়। প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং মেলার গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে দুই বার অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। বৈদেশিক বাণিজ্যে উন্নয়ন এবং অভ্যন্তরীণ ও অন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিনিময় বাড়াতে এ মেলাকে চীনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।’ (সূত্র: সিএমজি)