ন্যাভিগেশন মেনু

আমাকেই গ্রেপ্তার করুন, সিবিআইকে মমতা ব্যানাজী


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, বেআইনিভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ফিরহাদ-সুব্রত-মদনদের। তাই তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে, এই দাবিতে সিবিআইয়ের দপ্তরে বসে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

তাঁকে গ্রেপ্তার না করা হলে নিজাম প্যালেজ ছাড়বেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন মমতা। সোমবার সকালে নারদ কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য-রাজনীতি। চার হেভিওয়েটকে আটক ও পরবর্তীতে গ্রেপ্তারি বেআইনি বলে দাবি করেন তৃণমূলের নেতারা। ঘটনার নেপথ্যে বিজেপি রয়েছে বলেই দাবি করে তৃণমূল। এই গ্রেপ্তারির খবর পাওয়া মাত্রই নিজাম প্যালেস যান রত্না চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিমের কন্যা, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অনেকে।

এদিন সোমবার বেলা ১১ টার কিছুটা আগে নিজাম প্যালেস পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরাসরি নিজাম প্যালেসের ১৫ তলায় সিবিআই দপ্তরে উঠে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে।

এরপর সেখানে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দাবি করেন, যেভাবে এই চার রাজনীতিবিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা বেআইনি। তৃণমূল নেতা তথা  আইনজীবী অনিন্দ রাউত জানিয়েছেন, এখনও সিবিআই দপ্তরেই রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা  তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁকেও গ্রেপ্তার করতে হবে। তা নাহলে সিবিআইয়ের দপ্তর থেকে সরবেন না বলেই সাফ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, যে চার হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৩ জন বিধায়ক। ফলে এই গোটা প্রক্রিয়ায় বিধানসভার অধ্যক্ষের অনুমতির প্রয়োজন।

কিন্তু সিবিআইয়ের তরফে এই চার নেতার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়। তারপরই এই গ্রেপ্তারি। এমনকী আগাম কোনও নোটিসও দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। ফলে গোটা প্রক্রিয়াই বেআইনি বলে দাবি করা হচ্ছে। তৈরি হয়েছে জটিলতাও।

এস এস