আর্টেমেশিয়া (Artemisia) গাছের নির্যাসই করোনার চিকিৎসায় মান্যতা পেতে চলেছে। এই আর্টেমেশিয়ার পাচন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ব্যবহার করে সুফল পেয়েছে বলে দাবি করেছে আফ্রিকার একাধিক দেশ।
১৯৭০ সালে চিন প্রথম বিশ্বের দরবারে এর জীবাণুনাশক গুণাবলী তুলে ধরে। ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে এই ভেষজের কার্যকারিতা ইতোমধ্যেই প্রমানিত।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আফ্রিকার দু’টি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের হার্ডলস টপকে গিয়েছে এই ভেষজ। তিন নম্বর ট্রায়ালে পাশ করলেই কভিড ওষুধ হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদন মিলবে।
সেক্ষেত্রে আর্টেমেশিয়া পাচন হবে বিশ্বের প্রথম কভিড-১৯ নিরোধক ভেষজ ওষুধ।
আর্টমেশিয়ার প্রায় দু’শোর বেশি প্রজাতি রয়েছে। এর মধ্যে আর্টেমেশিয়া অ্যানুয়া ও আর্টেমেশিয়া আফ্রা নামের দু’টি প্রজাতি ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে বহুল ব্যবহৃত।
এই ভেষজের পাচন ব্যবহার শুরু করে আফ্রিকার দ্বীপরাষ্ট্র মাদাগাস্কর। প্রথমে পাচন, তারপর ক্যাপসুল ও ইঞ্জেকশন ফরম্যাটেও শুরু হয় আর্টেমিশায়ার উৎপাদন। যদিও তার ব্যবহার মাদাগাস্করেই সীমাবদ্ধ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের উহান শহর থেকে শুরু কভিড-১৯ অতিমারি। চিনও তাদের ‘ট্রাডিশনাল মেডিসিন’ ব্যবহার করেছে গোড়া থেকেই। তাতে সাফল্য মিলেছে বলে দাবিও করেছে চিনের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশ হয়েছে একাধিক গবেষণাপত্রও। কিন্তু ডব্লিউএইচও যেভাবে মাদাগাস্করকে আর্টেমিশিয়ার মতো ভেষজের কার্যকারিতা প্রমানে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিলো তা সতি্যই বৈপ্লবিক।
ওয়াই এ/এডিবি