ন্যাভিগেশন মেনু

ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন


বাংলাদেশ দূতাবাস, রোম, ইতালি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। 

এরপর সকাল ১১টায় দূতাবাসে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবনের ওপর নির্মিত ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। তারপর, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাণী পাঠের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। 

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার তার বক্তব্যের শুরুতে ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর পরিবারের সদস্যসহ যাঁরা শাহাদত বরণ করেছেন তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত বাঙালি জাতিকে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি প্রদানে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ জন্ম হতো না। 

রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশকে নিজের স্বপ্নের মতো করে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাসের এ মহামানব, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সময় পেয়েছিলেন মাত্র সাড়ে তিন বছর। ১৫ আগস্টের কালো রাত্রিতে ঘাটকচক্রের বুলেটের নিষ্ঠুর আঘাতে জাতি হারায় তাঁর পিতাকে, অভিভাবককে আর থমকে যায় সোনার বাংলাদেশ গড়ার সকল পদক্ষেপ। এখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। 

তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, নারী শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়ণে এবং খেলাধূলাসহ সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আরাধ্য কাজে সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদত বরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

এডিবি/