ন্যাভিগেশন মেনু

এক বটগাছেই ৭০টি মৌচাক


স্রষ্টার লীলা বোঝা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে এক বটগাছে দেখা মিলল ৭০টি মৌচাক। এটি দেশের উত্তর-পূর্বের জেলা শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে। গারো পাহাড়ের গজনী অবকাশকেন্দ্রে আছে শতবর্ষী একটি বটগাছ।

সেখানে ওই বটগাছে চাক বেঁধেছে মৌমাছির দল। তবে একটি বা দুটি নয়, এক বটগাছেই মৌমাছিরা বেঁধেছে ৭০টি চাক। একসঙ্গে এতগুলো মৌচাক দেখার জন্য এখন প্রায় প্রতিদিন গজনী অবকাশকেন্দ্রে ভিড় করছে উৎসুক মানুষ ও ভ্রমণপিপাসুরা।

বটগাছটির গোড়া থেকে শুরু করে মগডাল পর্যন্ত চাক বেঁধে বাস করছে মৌমাছির দল। মৌমাছির গুনগুন শব্দ পুরো এলাকায়। গজনীতে বেড়াতে যাওয়া এক পর্যটক জানান, একটি গাছে মৌমাছির এতগুলো চাক হতে পারে, তা ধারণার বাইরে ছিল। এসব চাক দেখে খুব ভালো লাগছে।

ঝিনাইগাতীর মৌচাষি আবদুল হালিম বলেন, অবকাশকেন্দ্রের বটগাছে চাক করা মৌমাছিগুলো ডাচ জাতের বন মৌমাছি। এরা সংঘবদ্ধভাবে এক জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। এ ছাড়া গারো পাহাড়সংলগ্ন বনে এখন প্রচুর ফুল রয়েছে।

এসব ফুল থেকে মধু আহরণের সহজ উৎস হওয়ায় মৌমাছিগুলো বটগাছটিতে বাসা বেঁধেছে। তবে মৌমাছিরা যাতে নির্বিঘ্নে গাছটিতে বাস করতে পারে, সে জন্য সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।

ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গজনী অবকাশকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সদস্য রুবেল মাহমুদ জানান, একটি গাছে সাধারণত এতগুলো মৌচাক দেখা যায় না। এসব মৌচাক ভ্রমণপিপাসুদের কাছে গজনী অবকাশকেন্দ্রের আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

তাই এসব মৌচাক থেকে কেউ যেন মধু আহরণ ও মৌমাছিদের বিরক্ত না করে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এস এস