ন্যাভিগেশন মেনু

ওজন কমাতে প্রয়োজন ক্যালরি খরচ


আমরা সবাই সুন্দর হবার সাথে সাথে সুস্থও থাকতে চাই। সময়ের স্বল্পতা, আলস্য, অনীহা সব মিলিয়ে নিজের পরিচর্যা করা সব সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখা অনেক জরুরি।

বাড়তি ওজন শুধু আপনার দৈহিক সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে না বরং বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে নিজের মতো করে নিজেকে উপস্থাপন করাটাও একটি শৈল্পিক বিষয়। তাই নিজেকে সুন্দর রাখতে সব সময়ই দরকার নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।

আমাদের ওজন বাড়া-কমার বিষয়টি নির্ভর করে বিপাকক্রিয়ার গতির উপর। আমাদের শরীর যতো দ্রুত ক্যালরি পোড়ায়, তত দ্রুত ওজন কমে। কিন্তু এই ক্যালরি পোড়ানো বা বিপাকক্রিয়ার গতি নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের উপর।

চলুন জেনে নিই কিভাবে ক্যালরি খরচ করবেন -

বেশি বেশি পানি পান:

ক্যালরি পোড়ানোর জন্য আমাদের শরীরের পানি প্রয়োজন। তাই অল্প পানিশূন্যতা দেখা দিলেও মেটাবোলিজমের হার কমে যায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব প্রাপ্তবয়স্করা দিনে অন্তত আট গ্লাস পানি পান করেন তাদের ক্যালরি দ্রুত খরচ হয়।

নিয়মিত ব্যায়াম:

সার্বিক মেটাবলিক রেট বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন বেশি ব্যায়াম করা। নিয়মিত ব্যায়াম করলে পেশি বৃদ্ধি পায় এতে ক্যালোরি খরচে সাহায্য করে। আর তাতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকে। এই সুবিধা পেতে জিমে যোগ দিতে পারেন অথবা হাঁটার মাঝে অল্প সময় করে দৌড়ে নিতে পারেন।

পেশি বাড়ানো:

কোনো কাজ করি আর না করি, আমাদের শরীর সারাক্ষণই ক্যালরি খরচ হতে থাকে। সাধারণত যাদের পেশির গঠন দৃঢ় থাকে তাদের এভাবে বিনা পরিশ্রমেই ক্যালরি পোড়ে বেশি। প্রতি পাউন্ড পেশি দিনে ৬ ক্যালরি ব্যয় করে। অন্যদিকে প্রতি পাউন্ড চর্বিতে ক্যালরি ব্যয় মাত্র ২। তাই পেশির গঠন দৃঢ় করতে স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করা প্রয়োজন। এতে আমাদের বিপাকক্রিয়াও গতি পাবে।

বারবার খাবার খান:

ঘন ঘন খেলে দ্রুত ওজন কমে। দিনে তিনবেলা প্রধান খাবারের মধ্যে কিছু না খেলে আমাদের বিপাকের গতি হ্রাস পায়। তাই একবারে অনেকটা না খেয়ে খাবারগুলো ছোট ছোট কয়েকভাগে ভাগ করে ফেললে তিন থেকে চার ঘন্টা পরপরই কিছু না কিছু খাওয়া যায়। এতে সারাদিন ধরেই বিপাক ক্রিয়া চলতে থাকে ও বেশি বেশি ক্যালরি ব্যয় হয়। আবার অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, দিনে কয়েকবার খেলে দিনের প্রধান খাবারের সময় তুলনামূলক কম খাবার গ্রহণ করি আমরা।

ঝাল খাবার খান:

আমাদের দেশি রান্না এমনিতেই ঝাল হয়। এই ঝাল খাবারেরও রয়েছে সুফল। মরিচে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা বিপাকের গতি বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারে কাঁচা, পাকা বা শুকনো মরিচ ব্যবহারে বেড়ে যাবে ক্যালরি পোড়ার হার।

ক্র্যাশ ডায়েট করা যাবে না:

নারীদের ক্ষেত্রে দিনে ১২০০ ক্যালরি আর পুরুষদের ক্ষেত্রে দিনে ১৮০০ ক্যালরির কম খাবার খেলে তাকে বলা হয় ক্র্যাশ ডায়েট। এতে দ্রুত ওজন কমলেও থেকে যায় পুষ্টির ঘাটতি। কম খাবার গ্রহণে পেশি কমে যাওয়ার ফলে বিপাকের গতি হ্রাস পায়। এভাবে শরীর ক্যালরি পোড়ানো কমিয়ে দেয়। যার ফলে উল্টো ওজন বেড়ে যায়।

সিবি/এডিবি