ন্যাভিগেশন মেনু

কক্সবাজারে ৩ হত্যায় রোহিঙ্গা নারীসহ পাকড়াও ২


কথায় আছে কয়লার ময়লা যায়না ধুলেও। এ বাক্যের শতভাগ সত্যি হয়ে দেখা দেয় মায়ানমারের অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রে।মায়ানমারে সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেও তাদের দস্যিপনা থেমে নেই।

কক্সবাজারের টেকনাফে স্থানীয় তিন সহোদরকে গুলি করার অভিযোগে যুবতীসহ দুই রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করেছে এপিবিএন পুলিশ সদস্যরা। টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবির এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে নোয়াখালীর ভাসানচর থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই যুবতী ও তিন শিশুসহ সাত রোহিঙ্গাকে সন্দ্বীপ থেকে আটক করেছে পুলিশ।শনিবার বিকেলে থানার দক্ষিণ উরিরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভাসানচর থেকে শনিবার দুপুরে একদল রোহিঙ্গাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার কথা বলে দালালের দল দক্ষিণ উরিরচর সাগর তীরে নামিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়।

পুলিশ এসে তাদেরকে আটক করে নিয়ে যায়।সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আহমদ জানান, ‘দক্ষিণ উরিরচর এলাকা থেকে সাত রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রথমে উরিরচর পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়। এখন তাদের থানায় আনা হয়।

গত ৩০ জুন ভোররাতে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন দমদমিয়া নেচার পার্ক এলাকায় কয়েকজন ‘রোহিঙ্গা’ স্থানীয় বাসিন্দা মো. হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা বাড়ির সদস্যদের মারধর করার পাশাপাশি গুলি ছোড়ে।

এতে মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সালামত উল্লাহ (২৫), মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ (২১) এবং মোহাম্মদ হাসান উল্লাহ (১৫) গুলিবিদ্ধ হন।এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় মো. হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেন।

গ্রেফতাররা ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানান এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল।তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে এ মামলার কয়েকজন আসামি ২৭ নম্বর জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করছে সংবাদ পায় এপিবিএন।

এরপর একটি দল অভিযান চালানোর সময় কয়েকজন আসামি পালিয়ে গেলেও নারীসহ দুইগ্রেফতারদের মধ্যে মো. ফজল হক জাদিমুরাসহ বিভিন্ন ক্যাম্প এলাকায় ‘অপহরণ, ডাকাতি, মাদক পাচার, মানব পাচার এবং নানা অপকর্মে জড়িত’ থাকার অভিযোগ রয়েছে।

এস এস