ন্যাভিগেশন মেনু

কমছে তাপমাত্রা, ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা


টানা সাতদিন ভ্যাপসা গরমে হাসফাস অবস্থা রাজধানীসহ সারাদেশের জনজীবন।  সাতদিন দিন পর ইতোমধ্যে কাটতে  শুরু করেছে তাপপ্রবাহ। একইসঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা)। ফলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও বেশি ঘণীভূত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বাড়ছে ঝড়ো হাওয়ার প্রবণতাও। ঢাকায় দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার থাকবে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, এই অবস্থায় শুক্রবার (১২ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। ফলে হ্রাস পেতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।

শনিবার (১৩ জুন) নাগাদ পুরো দেশের আকাশ ছেয়ে যেতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আগামী মঙ্গলবার নাগাদ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে।

এদিকে সুস্পষ্ট লঘুচাপের কারণে সাগর খুব উত্তাল রয়েছে। তাই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

একই সঙ্গে সব ধরনের মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গভীর সাগরে বিচরণ করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

সিবি/এডিবি