ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা দিলেন ২ চিকিৎসক


করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) রোগীদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের জন্য সেরে ওঠা রোগীদের কাছ থেকে সিরাম সংগ্রহ শুরু করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

শনিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রক্তপরিসঞ্চালন বিভাগে কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা দুজন চিকিৎসক প্লাজমা দান করেন। এ দুই চিকিৎসক হলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. দিলদার হোসেন বাদল ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ডা. রওনক জামিল পিয়াস। অবশ্য মিটফোর্ডের ডা. হাছিবুল ইসলামও প্লাজমা দিতে আসেন, তবে তারটা নেয়া সম্ভব হয়নি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ খান বলেন, সবকিছু ঠিক থাকলে সংগ্রহ করা এই প্লাজমা আগামী সপ্তাহে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শরীরের প্রয়োগ করা যাবে।

জানা গেছে, এ সপ্তাহে আরও প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে।  সংগ্রহ করা প্লাজমায় অ্যান্টিবডি পরিমাপ করা হবে। এ চিকিৎসা প্রয়োগের অনুমোদনের প্রক্রিয়াও এই সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। যারা প্লাজমা থেরাপি দেবেন তাদের প্রশিক্ষণ, তথ্য সংগ্রহ, প্লাজমা দেওয়ার আগে কিছু পরীক্ষাও করতে হয়। পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ইতিমধ্যে স্পেন থেকে চলে এসেছে। টেস্ট করতে যে পরীক্ষাগুলো করা হয় সেটা অনেক ব্যয়বহুল। অনেকগুলো স্যাম্পল কালেক্ট করার পর একসঙ্গে এই পরীক্ষা করা হবে। নইলে কিটগুলো নষ্ট হবে। আর পরীক্ষাটা যেহেতু আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী করতে হবে, সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে শুরু করা হচ্ছে।

অধ্যাপক ডা. খান বলেন, এই কাজ এগিয়ে নিতে এখন তাদের সামনে দুটো চ্যালেঞ্জ- একটি দাতা সংগ্রহ করা, অন্যটি অর্থের ব্যবস্থা করা। একজনের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। এছাড়া পরীক্ষায়ও আরও কিছু টাকা খরচ হয়। ভবিষ্যতে আমরা যখন এটার পরিসর বাড়াব, তখন পরীক্ষার জন্য আরও কিট লাগবে। সেজন্য ফান্ড দরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। তবে সরকারি ব্যাপার- কিছুটা সময় দরকার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রথম দিন প্লাজমা দিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. দিলদার হোসেন বাদল। গত ২৫ এপ্রিল তার কোভিড-১৯ সংক্রমণ ধরা পড়ে; তিনি সুস্থ হন গত ৯ মে। প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক প্রয়োগের কথা শুনে তিনি প্লাজমা দিতে উৎসাহিত হন। শনিবার সকালে প্লাজমা দিয়ে আবার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কাজে যোগ দিয়েছেন বলে জানান ডা. দিলদার। 

তিনি বলেন, ‘এই চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে উন্নত বিশ্বে ট্রায়াল হয়েছে। বাংলাদেশে আমিও প্লাজমা থেরাপির অংশ হতে চাই। এ কারণেই প্লাজমা দিলাম।’

শনিবার প্লাজমা দেওয়া দ্বিতীয় চিকিত্সক হলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগের রওনক জামিল পিয়াস। তিনিও সম্প্রতি কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন। সাধারণ মানুষকেও আগ্রহী করে তুলতে হবে।

ওআ