ন্যাভিগেশন মেনু

করোনা মোকাবেলায় ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম প্রদান করেছে হুয়াওয়ে


করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সকলের স্বার্থে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর প্রযুক্তিসেবা, ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ও স্মার্টফোন প্রদান করছে হুয়াওয়ে। 

হুয়াওয়ের ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রযুক্তি সেবাদানকারী এই প্রতিষ্ঠানটি।

এর ফলে চলমান মহামারি মোকাবেলায়  সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সেবাগুলো ব্যবহার করে বর্তমান পরিস্থিতিতে উদ্ভূত যোগাযোগ সমস্যাসহ আরও সমস্যার সমাধান করা সহজ হবে।

করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ভূমিকাই মূখ্য। এক্ষেত্রে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন সেবা এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে, যেটি করোনা মোকাবেলায় চারটি প্রধান  ক্ষেত্র, যেমন- সরাসরি ভিডিও প্রদর্শন; দূর থেকে রোগ নির্ণয়, রোগ প্রতিরোধ এবং সমন্বয়সাধনে প্রত্যক্ষ অবদান রেখে চলেছে।

এর ফলে যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হওয়ায় তারা দূর থেকেই দক্ষ হাতে সমন্বয়সাধন করতে পারছে। এতে স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যেও করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি কমেছে।   

থাইল্যান্ডে বিভিন্ন হাসপাতাল ও রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগে হুয়াওয়ের টেলিমেডিসিন ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে অনলাইনে পরামর্শ ও ট্রেনিং আদান-প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমন্বয়সাধন সম্ভব হচ্ছে, যেটি মহামারীটি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে দেশটির মেডিকেল বিশেষজ্ঞদেরকে সহায়তা করছে।

থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় হুয়াওয়ের ৫জি সমাধান এবং এআই প্রযুক্তি নির্ভর রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে। উচ্চ গতি সংযুক্ত লো ল্যাটেন্সির (দ্রুতি) এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসেবা ব্যবহারের ফলে দেশটির করোনা মোকাবেলার সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।    

হুয়াওয়ে ক্লাউড প্লাটফর্ম ও এর  এআইনির্ভর  রোগ নির্ণয় প্রযুক্তির  মাধ্যমে আক্রান্ত হবার প্রাথমিক পর্যায়েই করোনা শনাক্ত করা যাচ্ছে। এতে রোগ নির্ণয়ে সময় যেমন কম লাগছে, তেমনি দ্রুততার সাথে রোগের অবস্থা সংক্রান্ত নির্ভুল তথ্য পাওয়া যাচ্ছে; যা করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।     

করোনা মোকাবেলায় গৃহীত কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে হুয়াওয়ে ক্লাউডের এন্টি-কভিড-১৯ পার্টনারশিপ প্রোগ্রামে মূলত পাঁচটি প্রধান প্রেক্ষাপটের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো যথাক্রমে- দূর থেকে অফিস করা, এআই সহায়তা প্রদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা, স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা এবং অনলাইন শিক্ষা।

এই কর্মসূচিতে যুক্ত অংশীদাররা কেবল ব্যবসা, বাজার এবং প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন না, বরং ৩০ হাজার মার্কিন ডলারের সমান মূল্যমানের ক্লাউড সুবিধা একেবারে বিনামূল্যে ভোগ করার সুযোগও পাবেন।

স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ক্লাউড ইআই-হেলথ প্রদান করছে, যার মধ্যে ভাইরাল জিনোম শনাক্তকরণ, সিলিকো স্ক্রিনিংয়ে এন্টিভাইরাল ওষুধ এবং এআই নির্ভর সিটি স্ক্রিনিং সেবাও অন্তর্ভূক্ত।

এডিবি/