ন্যাভিগেশন মেনু

কাবুলে হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৮৮


আফগানিস্তানের কাবুলে বিমানবন্দরের বাইরে হামলায় কমপক্ষে ১৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৭৫ জন আফগান এবং ১৩ জন মার্কিন সেনা। 

বৃহস্পতিবারের (২৬ আগস্ট) এই হামলার দায় আফগানিস্তানের আইএসআইএল-এর একটি সংগঠন দাবি করেছে - ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান প্রদেশ (আইএসকেপি)।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ শুক্রবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে একজন লোকই আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে। তবে আগে মনে করা হয়েছিল যে সেখানে দুজন ওই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর জেনারেল হ্যাঙ্ক টেইলার পেন্টাগনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সংবাদাতাদের বলেন, 'এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই - এই ধরনের অত্যন্ত দ্রুত পরিবর্তনশীল ঘটনা যখন ঘটতে থাকে তখন কখনও কখনও তথ্য ভুল বা বিকৃতভাবে রিপোর্টে প্রকাশিত হতে পারে।'

পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কার্বি ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, কাবুল বিমানবন্দরে 'সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য' আরও হুমকি রয়েছে।

মারাত্মক বোমা হামলার এক দিনেরও কম সময় পরে শুক্রবার, যখন মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য পুনরায় বিমান চলাচল শুরু হয় মরিয়া লোকজন ভোরে ঝুঁকি সত্ত্বেও আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার জন্য কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে ভিড় জমায়।

দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানায়, শুক্রবার দিনে আরও পরের দিকে আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা গুজব ছড়িয়ে পড়লে জনতা দিশেহারা হয়ে ছুটাছুটি শুরু করে।

এদিকে গতকাল আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় আইএসকেপি-র এক পরিকল্পনাকারীকে হত্যার দাবি করছে যুক্তরাষ্ট্র।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন সবচেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে।

২০১১ সালের আগস্টে চিনুক হেলিকপ্টারে হামলার পর আফগানিস্তানে আমেরিকান সৈন্যদের জন্য এটি সবচেয়ে বড় এক ক্ষতি। ওই হেলিকাপ্টারে হামলা চালিয়ে ৩০ জন সেনা সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তানে জিহাদী হামলা সত্ত্বেও কাবুল থেকে লোকজনকে মার্কিন বিমানে করে সরিয়ে নেয়ার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কাবুলের বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।

এডিবি/