ন্যাভিগেশন মেনু

কারখানা খুলছে ২ মে, গ্রামের শ্রমিক না আসার পরামর্শ বিকেএমইএর


করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও চালু রাখতে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। আগামী শনিবার (২ মে) থেকে পর্যায়ক্রমে সব কারখানা চালু করা হবে।

তবে শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)। 

সোমবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এক ভিডিও বার্তায় সংগঠনটির প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এ কথা জানান।

তি‌নি ব‌লেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে খুলছে পোশাকশিল্প কারখানা। অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করার জন্যই খোলা হচ্ছে।

বিকেএমইএ নেতা মোহাম্মদ হাতেম ব‌লেন, ‘গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি পর্যায়ক্রমে খুললেও এই মুহূর্তে দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের কর্মস্থলে না ফেরার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেমন-ফ্যাক্টরিতে ঢোকার আগে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, ব্লিচিংমিশ্রিত পানিতে জুতা ভিজিয়ে প্রবেশ করা, থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরিমাপ করা, মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করে কর্ম পরিচালনা করা, স্বাস্থ্যবিধিগুলো যতটুকু আমাদের দ্বারা সম্ভব আমরা গ্রহণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘জীবন-জীবিকার সন্ধানে আমাদের নামতে হবে। করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে যাওয়া অর্থনীতির চাকাকে আবারও সচল করতে হবে। এমনই অবস্থার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্যসুরক্ষা মেনে রবিবার (২৬ এপ্রিল) থেকে নিটওয়ার সেক্টরের নীটিং, ডায়িং ও স্যাম্পল ইউনিট খুলে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল বিকেএমইএর পক্ষ থেকে। ২ মে থেকে গার্মেন্ট শাখাও খোলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’

তবে জরুরি প্রয়োজনে রবিবার থেকেই অল্প পরিসরে গার্মেন্ট শাখা খোলা যাবে বলেও পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী সোমবার ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিকেএমইএর ৮৩৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৪টি প্রতিষ্ঠান স্বল্প পরিসরে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। সোমবার আরও ৫৪টি ফ্যাক্টরি খুলেছে বলে জানান বিকেএমইএর এ নেতা।

ওআ