ন্যাভিগেশন মেনু

মাইকিং করে দোষ কবুল বাল্য বিয়ে দেওয়া কাজির


তিনি একজন কাজি। বিয়ে পড়ানো তার পেশা। কিন্তু এক বাল্য পড়িয়ে তাকে এবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। শাস্তি ভোগ করে কারাগার থেকে বেড়িয়ে  এসে নিজের দোষ কবুল করেছেন।

কাজি আবদুল বাসেদের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সুরিহারা গ্রামে। ‘বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করে অন্যায় করেছেন, আর বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করবেন না—এমন ভাবনা এসেছে   আবদুল বাসেদের। এখন নিজের অন্যায়ের কথা স্বীকার করে এবং ভবিষ্যতে আর এমন করবেন না অঙ্গীকার করে এলাকায় মাইকিং করছেন তিনি।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইগাতীর সদর ও আশপাশের এলাকায় তিনি মাইকিং করেন। দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইগাতীতে কাজি হিসেবে বিয়ে নিবন্ধন করে আসছিলেন আবদুল বাসেদ। কিন্তু কাজি হিসেবে তাঁর কোনো নিবন্ধন ছিল না।

বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল মাহমুদ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের দায়ে তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ইতিমধ্যে তাঁর সেই সাজাভোগ শেষ হয়েছে।

আবদুল বাসেদের জানান, সাজাভোগ শেষে তাঁর মনে অনুশোচনা এসেছে। তাই তিনি এখন টেটোতে চড়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নিজেই মাইকিং করে বলছেন, ‘আমি যা করেছি অন্যায় করেছি। আমি অঙ্গীকার করছি, ভবিষ্যতে আমি কোনো বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করব না।

অনৈতিক কোনো কাজ করব না।’ নিজের কৃতকর্মের জন্য এলাকার মানুষের কাছে ক্ষমাও চাইছেন তিনি।ঝিনাইগাতীর ইউএনও রুবেল মাহমুদ বলেন, ব্যক্তিগত অনুশোচনা থেকে আবদুল বাসেদ আইনপরিপন্থী কাজ না করার অঙ্গীকার করেছেন। এটি ইতিবাচক। এর মাধ্যমে অন্য ভুয়া কাজিরাও সচেতন হবেন বলে আশা করেন তিনি।

এস এস