ন্যাভিগেশন মেনু

খাবার ভেবে ছানার মুখে সিগারেটের ‍টুকরো


আমাদের নাগরিক জীবনে একটি সচেতনতা হয়ে উঠতে পারে হাজারও প্রাণের সঞ্চার। হাজারও প্রাণির জীবিকার অংশ।

অবশ্য যেখানে সেখানে প্লাস্টিক ফেলার অভ্যাসও বহুদিন আগেই আমরা রপ্ত করে ফেলেছি ৷

সচেতনতা বিস্তার হোক তা সমুদ্র  কিংবা পর্বতশৃঙ্গ৷ সমুদ্রের জলে ফেলা প্লাস্টিক খেয়ে তিমি মাছের মৃত্যুর মতো নৃশংস একাধিক ঘটনারও সাক্ষী রয়েছি আমরা৷ গলায় স্ট্র ঢুকে পাখির মৃত্যুও নতুন কিছুই নয়৷

সেই তালিকাতেই নবতম সংযোজন অবুঝ মায়ের মুখে করে সন্তানের খিদে মেটাতে সিগারেটের শেষাংশ। সন্তানের খিদে সে একমাত্র মায়ের মন ভালো বুঝতে পারে।

সন্তানের খিদে মেটাতে সিগারেটের শেষাংশ হলেও তা মুখে তুলে দেওয়ার আগে দু’বার ভাবে না অবুঝ মা৷ ছানার মুখে খাবার তুলে দেওয়ার এমনি এই ছবিই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তা নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে জোর আলোচনা৷

এই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর একটাই প্রশ্ন, ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করতে আর কতদিন খোলা চোখে অসচেতন নাগরিক হয়ে থাকব আমরা?

সম্প্রতি সমাজসেবী এবং চিত্রগ্রাহক কারেন মাসন ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ৷ সেখানেই ছোট্ট ছানাকে নিয়ে মা স্কিমার পাখিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন এই চিত্রগ্রাহক৷

কখনও মা সন্তানকে আদর করছেন আবার কখনও গা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন, সেসবই দেখছিলেন তিনি৷ আচমকাই তিনি দেখেন মা পাখি তার সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন৷

অবশ্যই তা ক্যামেরাবন্দিও করেছিলেন তিনি৷ তবে ছবি তোলার সময় পাখি কী খাওয়াচ্ছে, তা বুঝতে পারেননি চিত্রগ্রাহক৷

কারেন মাসন বাড়ি ফিরে সেই ছবি দেখার সময় বুঝতে পারেন অবুঝ মা পাখি আদতে শিশুর ঠোঁটে সিগারেট তুলে দিচ্ছেন৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ছবি পোস্ট করেন চিত্রগ্রাহক৷

সচেতনতার স্বার্থে কারেন মাসন লেখেন, ‘‘সিগারেট খেয়ে এদিক-সেদিকে শেষাংশ ফেলবেন না৷ মা স্কিমার তার ছানার মুখে সিগারেটের শেষাংশ খাবার হিসাবে তুলে দিচ্ছে৷ এবার আমাদের সচেতন হওয়ার সময় এসেছে৷ সমুদ্র সৈকতকে দয়া করে ছাইদানি হিসাবে ব্যবহার করবেন না৷’’

বিভিন্ন ওয়াইল্ড লাইফ গ্রুপে এই ছবিগুলো ছড়িয়ে দেন মাসন৷ এভাবে অসচেতনতার বীজ আমাদের মধ্যে জায়গা করে নিলে খুব তাড়াতাড়ি সমুদ্রের প্রাণি এবং পাখিগুলো ধ্বংসের দিকে চলে যাবে বলেও ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।


এস এ / এসএস