ন্যাভিগেশন মেনু

খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী


আইন অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ নেই। তবে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।  

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এটি পরীক্ষা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। এজন্য সময় চেয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যে স্মারকলিপি দিয়েছেন, সেটা পড়েই দিয়েছেন। এটা আমি অবশ্যই একজামিন করব। এখানে সিদ্ধান্ত এবং মতামতের ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে এবং সেটাও আমরা করব।’

এখানে আমি শুধু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই একটি কথা, যখন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হয় তখন কিন্তু ওনার পরিবারের যে আবেদন সেটাকে মানবিক দিক থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন। তখন কিন্তু কোনো দাবি তুলতে হয়নি, তিনি নিজেই ওনাকে মুক্ত করেছিলেন। তো সেক্ষেত্রে আমি বলব যে, মানবিকতার কমতি আমাদের নেই। আমরা মানবিকতা দেখাতে জানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই মানবিকতা দেখাতে জানেন, বলেন আইনমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, আজকেই এখন প্রিমিচিউর আপনাদেরকে যদি কিছু বলে দেই, সঠিক হবে না। আমাকে একটু সময় দেন। আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব।’

কেউ জানে বেঁচে না থাকুক, এটা আমাদের উদ্দেশ্য নয়- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ওনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা এখানে হচ্ছে, সেটা আপনারা জানেন, আমিও জানি। আমি অস্বীকার করব না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করি। আমি অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা যতটুকু গুরুত্ব দিয়ে নেওয়া যায়, সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের নেতৃত্বে আইনজীবীদের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ স্মারকলিপি দেন।

এসময় প্রতিনিধি দলে মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, নীতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, তৈমুর আরম খন্দকার, ব্যারিস্টার মো. বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী।