ন্যাভিগেশন মেনু

খুন নয়, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত


খুন হননি বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। বরং অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যু আসলে আত্মহত্যাই। অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এইমস) এর একদল চিকিৎসক সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআইকে)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সূত্রের খবর যে সুশান্তের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু বা কেউ অভিনেতাকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে—-এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে এইমসের ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল। মূলত সুশান্তের পরিবার এবং তাদের আইনজীবীই এই অভিযোগ তুলেছিলেন।

গত ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে প্রাথমিক ভাবে মুম্বই পুলিশ জানায় গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে অভিনেতার। পাশাপাশি এও বলা হয় যে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। যদিও একথা মানতে রাজি ছিলেন অভিনেতার পরিবার এবং অনুরাগীরা।

বলিউডের অনেক তারকাও সুশান্তের মৃত্যু প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদে করেছিলেন। অভিনেতার রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন শহরের জনপদে গর্জে ওঠেন প্রতিবাদীরা। দেশ জুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। সে সময় বিভিন্ন অভিযোগ এনেছিল রাজপুত পরিবারও।

এরপর মুম্বই ও বিহার পুলিশের ঠান্ডা লড়াই এবং বিস্তর জলঘোলার পর তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। পাশাপাশি সুশান্তের ময়নাতদন্তের রিপোর্ত খতিয়ে দেখতে তৈরি হয় দিল্লি এইমসের চারজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দল। এই টিমের লিডার ছিলেন এইমসের দরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডক্টর সুধীর গুপ্তা।

এর আগেও সিবিআইয়ের সঙ্গে একাধিক হাই-প্রোফাইল কেসে কাজ করেছেন তিনি। এইমসের প্যানেল তাদের ছানবিন শেষ করেছে এবং ফাইল জমা দিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। অন্যদিকে শোনা গিয়েছে, মুম্বই পুলিশের পথে হেঁটেই আত্মহত্যায় প্ররোচনা এই সম্ভাবনায় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিবিআই।

মৃত্যুর পর মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সুশান্তকে। সেখানেই হয় তাঁর ময়নাতদন্ত। তাদের রিপোর্টের সঙ্গে এইমসের চিকিৎসকদের প্যানেল সহমত পোষণ করেছে বলে শোনা গিয়েছে। কুপার হাসপাতাল ময়নাতদন্তের পর জানিয়েছিল যে গলায় ফাঁস লাগার ফলে দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে সুশান্তের। পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেও এইমসের চিকিৎসকমণ্ডলী জানিয়েছে যে সুশান্তের মৃত্যু আসলে আত্মহত্যা, খুন নয়।

সিবিআইয়ের তরফে একাধিক বার খতিয়ে দেখা হয়েছে ক্রাইম সিন। ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে সমস্ত সম্ভাবনা খুঁটিয়ে দেখেছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। প্রয়াত অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী-সহ কমপক্ষে ২০ জনকে ৫৭ দিনের মধ্যে জেরা করেছে সিবিআই। ল্যাপটপ, হার্ড ড্রাইভ, মোবাইল ফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা এইসব জিনিসও বাজেয়াপ্ত করেছেন সিবিআই কর্তার। তবে সবকিছু খতিয়ে দেখেও সুশান্তকে কেউ খুন করেছেন এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

ওআ/