ন্যাভিগেশন মেনু

গরমে অতিষ্ট রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জনজীবন


দিনে তপ্ত রোদ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের জনজীবন।কদিন ধরে এ গরম রূপ নিয়েছে দাবদাহে। কোথাও মিলছেনা একটু বাতাস। ঘরে বসে থাকলেও শরীর বেয়ে ঘাম ঝরছে।

টানা চারদিন ধরে ভ্যাপসা গরম পড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সারাদিনের তপ্ত রোদের পর সন্ধ্যা থেকে বিকিরণে গরম অনুভূতি বেড়েছে আরও। ফলে হাসফাঁস ওঠেছে চারদিকে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (৯ জুন) দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকা ও খুলনায়, ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফেনী, মাদারীপুর, চাঁদপুর, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়েও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, তাপপ্রবাহের সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে বৃষ্টিপাত বাড়বে। সে সময় বর্ষা দেশের মধ্যভাগে ওঠে আসবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ অব্যহত থাকতে পারে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে। এই অবস্থায় পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (বর্ষা) কক্সবাজার উপকূল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য আবহাওয়াগত অবস্থা অনুকূলে রয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর কারণে বুধবার (১০ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারী ধরণের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বুধবার সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। রাজধানীতে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার।

সিবি/এডিবি