ন্যাভিগেশন মেনু

গির্জায় আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাদার গ্রেপ্তার


রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আদিবাসী খ্রিস্টান তরুণীকে সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জায় তিনদিন আটকে রেখে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই গির্জার ফাদারকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তানোর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়েরের পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরীর আমচত্বর সংলগ্ন বিশপ হাউজ থেকে অভিযুক্ত ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের খবর জানতে পারার পর থেকেই পলাতক প্রদীপ গ্যা গরীকে গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা শুরু হয়। পরে রাতেই তাকে বিশপ হাউজ থেকে গ্রেপ্তার করে তানোর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এদিকে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে মুন্ডুমালা মাহালীপাড়ার সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই তরুণী। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় থানায় জিডি করেন তার ভাই।

পরে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে ওই তরুণী বন্দি আছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন সেখানে খোঁজ করে তাকে উদ্ধার করেন।

এরপর সন্ধ্যায় গির্জার ভেতরেই সালিশি বৈঠক বসে। সেখানে দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করে রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়। আর ভুক্তভোগী ওই কিশোরীকে গির্জার ভেতরে সিস্টারদের কাছে রাখা হয়। গির্জার প্রধান ফাদার প্যাট্রিক গমেজ ও সালিশি বৈঠকের প্রধান কামেল মার্ডি তাকে আটকে রেখেছিলেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজের জিডি থানা থেকে প্রত্যাহার করলে তাকে ছাড়া হবে বলে জানায় গির্জা কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে সন্ধ্যায় তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গির্জা থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।

ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, শারীরিক পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার ফাদার প্রদীপকেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

এস এ/ এডিবি