ন্যাভিগেশন মেনু

গৌরনদীতে চাচা ও ভাইদের অত্যাচারে ৭ বোনের সংবাদ সম্মেলন


বরিশালের গৌরনদীতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরধরে সৎচাচা ও চাচাতো ভাইদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাত বোন।

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা প্রেসক্লাবে  উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ হাওলাদারের কন্যা সাবিনা ইয়াসমিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে তিনি বলেন, উপজেলার খাঞ্জাপুর মৌজার ১৭ শতক জমি নিয়ে তাদের সৎচাচা আলী আকবর হাওলাদার, হারুন অর রশিদ হাওলাদার গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জুন তার (সাবিনা ইয়াসমিন) দখলে থাকা জমিতে জোরপূর্বক টিউবওয়েল ও মুরগীর খামার স্থাপন করতে যায় তার চাচা আলী আকবর হাওলাদার, হারুন অর রশিদ হাওলাদার, তাদের চাচাতো ভাই রকিব হাওলাদার, অনিক হাওলাদার এবং তাদের আত্মীয় গিয়াস উদ্দিন মৃধা ও আকবর হোসেন।

এ ঘটনায় সে (সাবিনা ইয়াসমিন) ৪ জুন গৌরনদী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে টিউবওয়েল স্থাপন কাজ বন্ধ দেয় পুলিশ। এরপরও বিবাদিরা ওই সম্পত্তি বিভিন্নভাবে দখলের পায়তারা করলে গত ৯ জুন বরিশাল বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১৪৪/৪৫ ধারা জারির জন্য আবেদন করা হয়। আদালত ওইদিনই বিরোধপূর্ণ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করলে বিবাদিরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এরইমধ্যে গত ১১ জুন তাদের সৎচাচা হারুন হাওলাদার বাদি হয়ে ৪ জুন ঘটনার প্রেক্ষিতে সাবিনা ইয়াসমিন এবং তার আরও ছয় বোন বকুল বেগম, মুকুল বেগম, মঞ্জু বেগম, রেশমা খানম, রুমা খানম ও রেবা খানমের বিরুদ্ধে গৌরনদী মডেল থানায় একটি মিথ্যে জিডি করেন।

সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, জিডিতে তার যেসকল বোনদের বিবাদি করা হয়েছে তারা কেউই বাড়িতে থাকেননা। অথচ হয়রানির জন্য তাদের নাম জিডিতে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এমনকি ওই জিডির তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার এএসআই ফারুক হোসেন প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে এক তরফাভাবে তার পাঁচবোনের নামে আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেছেন। ফলে আদালত থেকে তার পাঁচবোনের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।

তিনি আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রসিকিউশন দাখিল করায় এএসআই ফারুকের শাস্তির দাবি জানান এবং মিথ্যে অভিযোগ থেকে অব্যহতি পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সিবি/এডিবি/