ন্যাভিগেশন মেনু

চাঁদের পৃষ্ঠেই খোঁজ মিলেছে বিক্রমের


চাঁদে অবতরণ করার আগ দিয়ে চন্দ্রপৃষ্ঠের খুব কাছাকাছি গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া ভারতের চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের খোঁজ মিলেছে চাঁদের পৃষ্ঠেই।

এতে ব্যর্থ হয়ে যায় ভারতের চন্দ্রাভিযান। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র বিজ্ঞানীরা আশা ছাড়েননি তারা ওই ল্যান্ডারের অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছেন।

শনিবার ভোর রাতে চাঁদে দক্ষিণ মেরুতে ধীরে অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) কথা ছিল চন্দ্রযান-২ এর। চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাবস্থায় এর সঙ্গে যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল।

ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনের (ইসরো) প্রধান কে শিভান রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমের কাছে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার খুঁজে পাওয়ার কথা জানান। ল্যান্ডার বিক্রমের কিছু ছবি পাওয়ার দাবি করে ইসরো।

ইসরো প্রধান কে শিবন জানান, কক্ষপথে ঘুরতে থাকা অরবিটার ল্যান্ডারের কিছু ছবি পাঠিয়েছে, সেগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে- চাঁদের মাটিতেই রয়েছে।

কিন্তু সেটি ‘জীবিত না মৃত’ তা নিয়েই চলছে আলোচনা। এরই মধ্যে অনেকে ইসরোর মাধ্যম দিয়ে সেটিকে জীবিত হিসেবেই উল্লেখ করছে।

তবে ভারতের ইন্টার-ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স (পুনে)-এর ডিরেক্টর সোমক রায় চৌধুরী বলেছেন, যে তাপচিত্র পাওয়া গেছে তাতে স্পষ্ট নয় কিছু, তাই অপেক্ষা করতে হবে।

এনডিটিভির খবরে জানানো হয়, জিএসএলভি মার্ক-৩ রকেটে চেপে ২২ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২।

একটি ইসরোর সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দীর্ঘ রকেট। প্রথমে ১৫ জুলাই সেটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল, তবে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে, সেদিন উৎক্ষেপণের নির্ধারিত সময়ের এক ঘন্টারও কম সময়ের ব্যবধানে তা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।

আনন্দবাজারে প্রকাশিত সোমক রায় চৌধুরী তার বিশেষ প্রতিবেদনে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া বা অনলাইনে যা দেখছি, বেশির ভাগই মনে হচ্ছে ভুল তত্ত্ব।

যে থার্মাল ইমেজ মিলেছে, সেটা রিয়েল-টাইম হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম  কারণ অরবিটার এক জায়গা থেকে নয়, ঘুরে ঘুরে ছবি পাঠাচ্ছে। কিন্তু নির্দিষ্ট একটা পয়েন্টে ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগার কথা। অপটিক্যাল হাই-রেজুলিউশন ছবি যত ক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, কিছুই বলা সম্ভব নয়।

এমন একটা জটিল পথে চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছনোটাই অভূতপূর্ব। আমাদের চন্দ্রযানের সঙ্গে নাসা এবার রিফ্লেক্টর পাঠিয়েছে।

 এত কম খরচে ইসরোর সাফল্য সারাবিশ্বের নজর কেড়েছে। শুধু নাসা নয়, এবার সবাই সাহায্য চাইবে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩০০’র মতো বিদেশি উপগ্রহ পাঠিয়েছে ইসরো। এত কম দামি লঞ্চারের সাহায্য নিতে কে না চাইবে!

উল্লেখ্য, ১,০০০ কোটি টাকার এই চন্দ্রযান-২ এর সাফল্যের সঙ্গে সঙ্গেই ইতিহাস রচনার দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। চাঁদের পৃষ্ঠে ধীরে ধীরে অবতরণ করলেই, আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পরেই স্থান হতো ভারতের।

পাশাপাশি প্রথমবারেই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণের রেকর্ডও দখলে আসত ভারতের।

 

ওয়াই এ /এস এস