ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরের কৃষকদের উন্নত জাতের পাটবীজ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে


পাবনার চাটমোহরের কৃষকদের আমদানী নির্ভরতা কমাতে উন্নত জাতের পাটবীজ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছে পাট অধিদপ্তর।  উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় স্থানীয় উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষকদের পাটবীজ উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ করছেন।

সরকার পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটজাত দ্রব্যের সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়।

প্রণোদনা ও পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এই এলাকায় ক্রমশ পাট চাষের পরিধি বাড়ছে। পাট অধিদপ্তর চাটমোহরের পাট উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে। সনাতন পদ্ধতিতে পাটচাষ বাদ দিয়ে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাটচাষ, পাটবীজ উৎপাদন, সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মশালার আয়োজন করায় চাটমোহরের পাটচাষীরা এর সুফল পাচ্ছেন। অনেকেই পাটবীজ উৎপাদনেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরের ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকায় ৮ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে পাটচাষ হয়েছে। এরমধ্যে দেশি ১৩৫ হেক্টর, তোষা ৮ হাজার ৪৪৫ হেক্টর এবং মেস্তা ১৪০ হেক্টর। 

গতবছর চাটমোহরে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পাট চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৬২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে।

চাটমোহরে কর্মরত উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়া জানান, 'চাটমোহরে রবি-১ এবং ও-৯৮৯৭ জাতের পাটবীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। বীজ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রয়োজনীয় বীজ, সার, কীটনাশক প্রদান করা হবে। বীজ বপন থেকে বীজ সংগ্রহ পর্যন্ত তাদের যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হবে। উৎপাদিত বীজ কৃষকের পরবর্তী মৌসুমে পাট বীজের চাহিদা মেটাবে। অতিরিক্ত বীজ প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে কিনে নিবে পাট অধিদপ্তর।'

তিনি বলেন, আগস্ট সেপ্টেম্বরে বীজ বপন করলে বিঘা প্রতি ৮০ থেকে ১০০ কেজি বীজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬ থেকে ২০ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি খরচ পরবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। বীজ সংগ্রহের পর পাট গাছ জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তালিকাভূক্ত পাটবীজ উৎপাদনকারী কৃষক ছাড়া অন্য আগ্রহী কৃষকেরাও এ প্রকল্পের আওতায় বীজ উৎপাদন করতে পারবেন।

প্রতি ৩ বিঘা জমির জন্য একটা করে স্প্রে মেশিন দেওয়া হবে। আগস্ট থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বীজ বপন করা যায়। খুব শীঘ্রই আগ্রহী কৃষকদের প্রয়োজনীয় বীজ ও সার বিতরণ করা হবে। পাট বীজ উৎপাদনে আগ্রহী কৃষকদের তিনি তার সাথে যোগাযোগ করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।

আইকেআর/এডিবি/