ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে অবৈধ সীসার কারখানায় অভিযান


পাবনার চাটমোহরে একটি সীসা কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে একটি জেনারেটর এবং হাওয়া মেশিন ও জব্দ করা হয়।

চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে, পাবনার চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কের পাশে অবস্থিত নিমাইচড়া গ্রামের পশ্চিম পাশের বিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কাটা গাঙের পাড়ে গড়ে উঠেছিল এ অস্থায়ী অবৈধ সীসা কারখানা। চারপাশে বিল। জন মানুষের যাতায়াত নেই। নদীর পারের অধিকাংশ স্থান ডুবে গেছে বর্ষার পানিতে।

চাটমোহর-হান্ডিয়াল সড়কের পশ্চিমের এমন একটি নির্জন উঁচু স্থানে সীসা তৈরির এ কারখানাটি গড়ে তুলেছিলেন পাবনার বেড়া থানার মরিচাপাড়া গ্রামের আব্দুর রশীদ।

এর আগে বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড়ে অস্থায়ী তাবু। তাবুর পাশে দুইটি চুলা। সীসা তৈরির উপকরণ ও সরঞ্জামাদি রয়েছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। দুই স্থানে ঢেকে রাখা ছিল ৫৯টি সীসার বার। যার ওজন প্রায় ২ হাজার কেজি। বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামের আশরাফুল, নেওলাই পাড়া গ্রামের হাসর আলী, নতুন ভারেঙ্গা এলাকার রাজ্জাক আলী শেখ এবং একই এলাকার শওকত আলী এ চারজন সীসা তৈরির কাজ করতেন। 

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় দেড় মাস যাবত এখানে রাতে রাতে সীসা তৈরি করা হয়। সীসার ক্ষতিকর ধোয়া ও বিষক্রিয়ায় এই এলাকার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, চায়না কোম্পানির সীসার পাউডার ময়লা কিনে এনে এখানে তা পুড়িয়ে সীসার বার তৈরি করা হয়। আব্দুর রশীদ এবং তার ছেলে আরিফ এ ব্যবসা পরিচালনা করেন।

এ ব্যাপারে আব্দুর রশীদ জানান, এটি অবৈধ ব্যবসা তা আমার জানা নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বা এ ব্যবসা সংক্রান্ত কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈকত ইসলাম জানান, অস্থায়ী সীসা কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটি জেনারেটর ও একটি হাওয়া মেশিন জব্দ করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে সীসার বার পাওয়া যায়নি। মালিককে ও পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এডিবি/