ঝালকাঠির মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে চিকিৎসকের অভাবে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। এতে মাতৃমৃত্যুর ঝুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঝালকাঠির সদরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে এনেসথেসিয়া চিকিৎসক মোঃ আমির হোসাইন প্রায় দুই বছর আগে উচ্চতর প্রশিক্ষণে গিয়ে কর্মস্থলে আর ফিরে আসেননি। তার পরিবর্তে কোনো চিকিৎসকও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা স্বল্পআয়ের মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণীর গর্ভবতী মায়েরা।
ফলে গর্ভবতী মায়েদের সিজারের প্রয়োজনে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক কিংবা বরিশাল বিভাগীয় শহরে যেতে হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মোটা অংকের অর্থ ব্যয় হয়; অন্যদিকে বরিশাল নেওয়ার পথে মৃত্যু ঝুকিতে থাকেন অনেক গর্ভবতী নারী। তাছাড়া গরীব মানুষের পক্ষে বেশি টাকা খরচ করে সেবা নেওয়া সম্ভব হয় না।
এই কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে আসা শারমীন সুলতানা নামে একজন নারী জানান, গত আট মাস যাবৎ এখানকার চিকিৎসক মো. জোয়াহের আলীর কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। তবে স্বল্প খরচে এই কেন্দ্রে ডেলিভারি করানোর ইচ্ছা থাকলেও এনেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসক মো. জোয়াহের আলী জানান, আধুনিক সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র এনেসথেসিয়া চিকিৎসকের অভাবে এখানে সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ রয়েছে। তবে এখানে রোগী দেখা ও নরমল ডেলিভারির কাজ নিয়মিতই হচ্ছে।
ঝালকাঠি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ কামাল হোসেন জানান, এনেসথেসিয়া চিকিৎসক না থাকায় অনেকদিন ধরে সিজারিয়ান অপারেশন বন্ধ রয়েছে। সদর হাসপাতালের এনেসথেসিয়া চিকিৎসক এনে বর্তমান সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলেছেন তিনি। তবে অচিরেই এ পদে একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এ এ টি/ এস এ /এডিবি