বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে চাঁদের মাটিতে পতাকা স্থাপন করেছে চিন। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর চিন এই পতাকা স্থাপন করতে সক্ষম হলো। ইতোমধ্যে চিনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন চাঁদের পৃষ্ঠে তাদের পতাকার ছবি প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) চাঁদের পাথরের নমুনা নিয়ে ফেরার আগে মহাকাশ যান চ্যাং'ই-৫ এর ক্যামেরা দিয়ে ওই ছবিগুলো তোলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
এর আগে ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো-১১ অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদে তাদের পতাকা স্থাপন করেছিলো। পরে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানের সময় যুক্তরাষ্ট্রের আরও পাঁচটি পতাকা চাঁদের পৃষ্ঠে স্থাপন করা হয়।
চিনের রাষ্ট্রীয়ভাবে পরিচালিত সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো মিশনের সময় অনুভূত হওয়া 'উত্তেজনা এবং অনুপ্রেরণা'র কথা মনে করিয়ে দেয় চিনের পতাকাটি।
মহাকাশ অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া লি ইয়ুনফেং গ্লোবাল টাইমসকে জানিয়েছেন, চিনের পতাকাটি দুই মিটার চওড়া এবং ৯০ সেন্টিমিটার লম্বা।
মহাকাশযান চ্যাং'ই-৫ চাঁদের পৃষ্ঠের মাটি ও পাথরের নমুনা নিয়েছে।
চিনের প্রথম চন্দ্রাভিযানে যাওয়া মহাকাশযান চ্যাং'ই-৩ থেকে তোলা ছবিতে চাঁদের পৃষ্ঠে প্রথমবার চিনের পতাকা দেখা যায়। ২০১৯ সালে চ্যাং'ই-৪ মহাকাশযান চাঁদের অন্ধকার পৃষ্ঠেও চিনের পতাকা নিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তবে ওই দু'বারের কোনোবারই আক্ষরিক অর্থে কাপড়ের তৈরি পতাকা ছিল না, মহাকাশযানের পৃষ্ঠে আঁকা চিনের পতাকার ছবি তোলা হয়েছিল সে সময়।
চ্যাং'ই-৫ মিশনটি সাত বছরের মধ্যে চিনের তৃতীয় সফল চন্দ্র অভিযান।
এডিবি/
