ন্যাভিগেশন মেনু

সিনহা হত্যা মামলায় চার্জশিট দাখিল


পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় পর আলোচিত এই মামলাটি তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হলো।

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদনটি দাখিল করেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র‍্যাব)-১৫-এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খায়রুল আলম।

অন্যদিকে, মামলাটি অবৈধ দাবি করে বাতিল চেয়ে প্রধান আসামি পরিদর্শক লিয়াকত আলীর আইনজীবীর করা মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানিরও নির্ধারিত দিন আজ।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খায়রুল আলম বলেন, সিনহা হত্যা মামলাটি আমরা নানাভাবে তদন্ত করেছি। তদন্তে পাওয়া তথ্যগুলো সাজিয়ে চার্জশিট হিসেবে আজ আদালতে দাখিল করা হতে পারে।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার সঙ্গে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন কারাগারে আছেন।

তারা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার, বাহারছড়া ক্যাম্পের বরখাস্তকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ছাড়াও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-এপিবিএনের তিন সদস্য। বাকি তিনজন স্থানীয়, একজনের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গুলি করার আগে লিয়াকত তার সঙ্গে ফোনে পরামর্শ করেছিলেন। ওসির ‘প্ররোচনা ও নির্দেশনাতেই’ লিয়াকত সিনহাকে গুলি করে হত্যা করে।

পরে প্রদীপ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিনহার ‘মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করে’ বিকৃত করার চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

আদালতের নির্দেশে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। দণ্ডবিধির ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ইং/টেকনাফ)।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটি র‌্যাবকে তদন্তভার দেওয়া হয়।

গত ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফের থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ এবং বাহারছরা পুলিশ ফাড়ীর তৎকালীন ইনচার্জ বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকতসহ পুলিশের ৭ সদস্য। পরে র‌্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষী ও সর্বশেষ পুলিশের একজন কনস্টেবলকে আটক করেন। এই মামলায় এখন মোট আসামী ১৪ জন। ১২ জন আসামী এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওয়াই এ / এস এস