ন্যাভিগেশন মেনু

প্রতারক চিকিৎসকদের মৃত্যুদণ্ডসহ ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট


মানুষ মাত্রই রোগ-ব্যাধি থাকা স্বাভাবিক। রোগ-ব্যাধি হটিয়ে সুস্থ শরীর নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান ট্রিটমেন্ট লাভের আশায়।সেই চিকিৎসক যদি হন ভূয়া বা প্রতারক তাহলে তো রক্ষাই নেই। মৃত্যু নির্ঘাৎ।

দেশে এমন ভূয়া চিকিৎসকের হদিস মিলেছে। করোনা পরীক্ষা নিয়েও মিলেছে মনগড়া টেস্টিং রিপোর্ট। পুলিশ  র্যাবের অভিযানে পাকড়াও হয়েছে অনেক ভূয়া চিকিৎসক। এমন অবস্থায় ভূয়া চিকিৎসকের  সাজা যাবজ্জীবন ও মৃত্যুদণ্ডসহ যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষতির বিধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন এ রিট দায়ের করেন। রিটে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া ডাক্তারের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধিতে বিবাদীগণের ব্যর্থতাকে কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে প্রার্থনা করা হয়।

 একই সঙ্গে কেন দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে বিবাদীগণকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ধারা ২৮(৩) ও ২৯(২) সংশোধন করে ভূয়া চিকিৎসকের সাজা ৩ বছর ও জরিমানা ১ লাখ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ডসহ জরিমানা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করা হবে না, সে মর্মেও নির্দেশনা চাওয়া হয়।

জে আর খাঁন রবিন বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী স্বাস্থ্য সেবা ও জনস্বাস্থ্যের কথা উল্লেখ থাকলেও অনুচ্ছেদ ৩১ ও ৩২ অনুযায়ী মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য সেবা একটি মৌলিক অধিকার। মানুষের এই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম।

কিন্তু বর্তমানে অনেক ভূয়া চিকিৎসক নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয় দেশের সাধারণ মানুষ এই সকল ভূয়া চিকিৎসকদের শরনাপন্ন হয়ে প্রতিনিয়ত নানারকম সমস্যাসহ মৃত্যু ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন।

এস এস