ন্যাভিগেশন মেনু

চীনের শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণ সিনচিয়াং


চীনের উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল সিনচিয়াং মানে বৈচিত্র্যময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ভাণ্ডার। চলতি বছরের শীর্ষ পর্যটন মৌসুমে একটি সমৃদ্ধ এবং স্থিতিশীল সিনচিয়াং দেখতে পাবে দর্শনার্থীরা, এমনটিই জানিয়েছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান স্থানীয় সরকারের মুখপাত্র সু কুইসিয়াং। 

এ সময় তিনি আরো বলেন, স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য ধারাবাহিক পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হওয়ার পর সিনচিয়াং এমন একটি অঞ্চলে পরিণত হয়েছে যেখানে এখন আর সন্ত্রাসী হামলার কোনো সুযোগ নেই। মূলত এখানে চীন বিরোধী পশ্চিমা শক্তি যা চিত্রিত করতে চায় তার কোনো সত্যতা নেই বলেও মন্তব্য করেন আঞ্চলিক এই মুখপাত্র। 

সিনচিয়াং কালচার অ্যান্ড ট্যুরিজম ব্যুরোর ডিরেক্টর আবলিকেম আজেজ বলেছেন, এ অঞ্চলটি দারুণ পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পর্যটকদের কাছে একটি স্থিতিশীল সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে এরই মধ্যে সক্ষম হয়েছে সরকার। 

বৈচিত্র্যময় ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য, সমৃদ্ধ জাতিগত সংস্কৃতি এবং অনন্য স্থানীয় খাবার পর্যটনকে সিনচিয়াংয়ের অন্যতম স্তম্ভ শিল্পে পরিণত করেছে। এই অঞ্চলটিকে চীনের একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যে পরিণত করেছে।

কোভিড-১৯ মহামারী সত্ত্বেও, ২০২১ সালে এই অঞ্চলে প্রায় দু’কোটি পর্যটকের আগমন ঘটেছে। যা পর্যটনখাতে বছরের মোট আয়ের ২০ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ বলছে, চলতি বছর পর্যটকের সংখ্যা আড়াই কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। 

এই অঞ্চলটি ১ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি যায়গা জুড়ে রয়েছে সিনচিয়াং। শুধু তাই নয়, চীনের ভূখণ্ডের প্রায় এক-ষষ্ঠাংশ জুড়ে রয়েছে এই অঞ্চলটি। আবলিকেম আজেজ আরো বলেন, বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ভ্রমণকে একটি উন্নত পরিবহন নেটওয়ার্ক আগের চেয়ে আরো সহজ করে তুলেছে।

এদিকে, ঐতিহ্যবাহী উইগুর সাংস্কৃতিক উপাদানে পরিপূর্ণ কাশগারের পুরানো শহরের একজন কমিউনিটি কর্মী নুবিনুর আমেতজান বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে সংস্কার ও সংরক্ষণ প্রকল্পগুলি বাসিন্দাদের জীবনকে অনেক বেশি আরামদায়ক করেছে৷

প্রায় ২ হাজার বছরের পুরানো শহর কাশগর বর্তমানে একটি শীর্ষ পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে ৷ উইগুর স্বায়িত্তশাসিত এ অঞ্চল পর্যটকদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। (সূত্র: সিএমজি)