ন্যাভিগেশন মেনু

টিকটক ভিডিও করেই কোটিপতি


বর্তমানে চাইনিজ অ্যাপ টিকটক এখন দুনিয়াজুড়েই জনপ্রিয়। বিভিন্ন গান, বিখ্যাত সিনেমার সংলাপসহ নানা রকম মজাদার অডিওর সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ছোট ভিডিও তৈরি করে আপলোড করা যায় টিকটক অ্যাপে। কয়েক বছর ধরে টিকটক ব্যবহারকারী দ্রুত বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী টিকটক ১৫০ কোটি ডাউনলোডের মাইলফলক স্পর্শ করেছে।

অনেকে পেয়েছেন জীবীকার সন্ধান। সাত্র ১৫ সেকেণ্ডের একটি ভিডিও তৈরি করেই অর্থ উপার্জনের মাধ্যমে জীবন ধারণ করার পথ খুঁজে পেয়েছেন।

ব্রিটিশ তরুণী হোলি হর্ন,  যারা টিকটক দেখেন প্রতিনিয়ত, তারা অবশ্যই শুনে থাকবেন। এই তরুণী একজন টিকটক স্টার। আর তাই খ্যাতির বিড়ম্বনায় বছর তেইশের এই তরুণীকে রাখতে হয়েছে দেহরক্ষী।

আজকাল পড়ালেখা শেষ করে চাকরি খুঁজতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেকে। তবে হোলি হর্নের জীবনে এসব কোনো সমস্যাই নয়। তার কাজের সময় মাত্র ১৫ সেকেন্ড। তবে তার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় প্রচুর। সেজেগুজে টিকটক ভিডিও শুট করেন তিনি। এর পর সেটি ছেড়ে দেন সোশ্যাল সাইটে। মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়।

ইন্টারনেটে হোলি হর্নের জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তার অনুরাগীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। গত বছর টিকটকে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন হর্ন, যার ভিউয়ার্স ৭ কোটি ৭২ লাখেরও বেশি।

টিকটকে হর্নের প্রচুর ভিডিও রয়েছে, তার মধ্যে কোনোটিতে দেখা গেছে পপ গানে লিপ দিচ্ছেন হর্ন। কোথাও আবার তার নাচ মন কেড়েছে দর্শকের।

টিকটক অনেকের কাছে ছেলেমানুষি ব্যাপার হলেও মন দিয়ে কাজ করেন এই তারকা। তাই ব্রিটেনের সীমা ছাড়িয়ে তার জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বজুড়ে।

ব্রিটেনের একাধিক ব্র্যান্ড তার সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। বিজ্ঞাপনের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে হর্ন। প্রতি মাসে তার আয় ছুঁয়েছে এক লাখ। পৈতৃক ভিটে ছেড়ে এখন তিনি ওয়েস্ট সাসেক্সের এক অভিজাত পল্লীর বাসিন্দা। জনপ্রিয়তা তার এতটাই যে নিরাপত্তার জন্য হোলি হর্নকে রাখতে হয়েছে দেহরক্ষী।

ওআ / এস এস