ন্যাভিগেশন মেনু

ট্যাক্স ছাড়া বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ব্যবহার নয়: মেয়র আতিক


যতো বড় কোম্পানিই হোক না কেন, ট্যাক্স না দিয়ে কোনো বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এই শহরে নিয়ম-নীতি মেনে অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করার অধিকার সবারই আছে। অনেকেই ভেবেছিলেন এই শহরের অভিভাবক নেই, কিন্তু অভিভাবক আছে। এই শহরের অভিভাবক হলো সিটি করপোরেশন।’

সকল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘যেকোনো ব্যবসা করার আগে সিটি করপোরেশনের অনুমতি আছে কিনা তা যাচাই করে নিন। বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার জন্য আমাদের একটি টেকনিক্যাল কমিটি আছে। যে কমিটিতে নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিরা রয়েছেন। তারা দেখবেন কোন এলাকায় কতটুকু বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড বসানো যায়, কোনটা দৃষ্টিকটু, কোনটা ভালো এসব বিবেচনা করে তারা মতামত দিলেই কেবল আমরা অনুমতি দেবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা শহর অপরিকল্পিতভাবে গড়তে গড়তে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। এভাবে আর যত্রতত্র বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড স্থাপন করতে দেওয়া হবে না।’

অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, ব্যানারের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে ডিএনসিসি। রাজধানীর গুলশান-২ গোল চত্বর থেকে অভিযান শুরু করতেই আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনের ২১৬০ বর্গফুট ও ২১৬ বর্গফুটের দুটি বিলবোর্ড ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। এছাড়া যেখানে যে বিলবোর্ডের ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়নি, সেগুলো বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায় ৪৩টি সরকারি সংস্থার কাছে ৫৮ কোটি টাকার ট্যাক্স পাই। এরই মধ্যে ওই সকল সংস্থাতে চিঠি দিয়ে, ট্যাক্স পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।’

অভিযানের সময় গুলশান-২ এর গোল চত্বরে জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার তাৎক্ষণিক ট্যাক্স জমা দেওয়ায় তাকে মিষ্টি খাইয়ে দিয়ে মেয়র বলেন, ‘এভাবে যারা ট্যাক্স দেবেন তারা মিষ্টি খাবেন, আরা যারা ট্যাক্স দেবেন না তারা জরিমানা খাবেন।’

অভিযানের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল হামিদ মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।

ওয়াই এ/এডিবি