ন্যাভিগেশন মেনু

ডাক্তার হওয়ার ইকরামুলের স্বপ্ন হারিয়ে যাচ্ছে হার্ডওয়ারের দোকানে


মোঃ জামাল হোসেন

 শিশুশ্রম সমাজে একটি অপরাধ মুলক ব্যাধি হলেও এর থেকে পরিত্রানের কোন কার্যকরি পদক্ষেপ চোখে পড়েনা। তাই অহরহ সমাজের বিভিন্ন কর্মস্থলে চোখে পড়ে শিশুশ্রম দেওয়া শিশুদেরকে।

 সংসারে অভাব অনটন আর দরিদ্র পিতা মাতার হাতে অর্থের যোগান দিতে বাধ্য হয়েই অনেক শিশুকে খুব অল্প বয়স থেকে শ্রম দিতে হয় বিভিন্ন পেশায়।

মূলত যে বয়সে শিশুদের বই খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে শিশুরা তাদের কচি কচি হাতে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় শ্রম দিচ্ছে।

এমনই এক শিশু যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের একটি হার্ডওয়ারের দোকানে শ্রম দিচ্ছে। ইকরামুল (১১) নামের এই শিশু মাত্র এক হাজার টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করছে।

লেখাপড়া করার অধিক আগ্রহ থাকলেও অভাবের সংসারে  দারিদ্রতা তার লেখাপড়াকে থমকে দিয়েছে।

ইকরামুলের সংসারের বর্তমান অবস্থা ও তার অনিশ্চিত লেখাপড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, সংসারের চার ভাই বোনের মধ্যে সে ছোট।

 দুই বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। হতদরিদ্র পিতা সংসারে দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জোগাড় করতে করতে প্রায় বছর খানেক আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে বর্তমানে প্যারালাইস হয়ে শয্যাশায়ী। অর্থাভাবে তার চিকিৎসার ব্যয়ভারও থেমে গেছে।

এদিকে তার মেজো ভাই দুই হাজার টাকা বেতনে একটি ওয়ার্কশপে শ্রম দিচ্ছে। ইকরামুলের থেকে মাত্র দুই বছরের বড় সে। দুই ভাইয়ের তিন হাজার টাকায় খুবই কষ্টে তাদের সংসার চলে।

একদিকে লেখাপড়া শেখার অদম্য ইচ্ছা অন্যদিকে সংসারের বর্তমান চিত্র ও দৈন্যদশার কারনে মানষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে ইকরামুল।

কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে, আমি লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হতে চাই-যেন কেউ অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে না মরে। কিন্তু আমি কিভাবে লেখাপড়া চালাবো বুঝতে পারিনা। ডাক্তার হয়ে দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত হবো।

ইকরামুলের লেখাপড়া হাতেখড়ি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর থেকে সংসারের হাল ধরতে হয়েছে তাকে। অস্বচ্ছল আর দারিদ্রের জন্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেড়েই চলেছে এমন শিশুশ্রমের সংখ্যা।

জীবিকার তাগিদে জীবনের শুরুতেই কোমলমতি শিশুরা মুখোমুখি হচ্ছে এমন কঠিন বাস্তবতার সাথে। পরিবারকে দু‘মুঠো অন্ন আর অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য এভাবে বদলে যাচ্ছে আগামীর ভবিষ্যত প্রজন্ম, ভবিষ্যতের বড় মানুষ হওয়ার সংখ্যা।

ইকরামুল জানায়, সমাজের বিত্তবান ও স্বহৃদয়বান ব্যক্তিরা যদি আমাকে সাহায্য করতো তাহলে আমার সংসার ও লেখাপড়া চালাতে পারতাম।

ইকরামুল যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নাভারণ বেলের মাঠ দেউলি গ্রামের কামরুলের ছেলে। আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা এবং সার্বিক যোগাযোগের জন্য উদ্ভাবক মিজানুর রহমান -মোবাঃ-০১৭১৮-৮৪৮৩৭৭।

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ  https://ajkerbangladeshpost.com 

ওয়াই এ / এস এস