ডিজিটাল গরুর হাটে এবার এক লাখ গরু বেচাকেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
রবিবার (৪ জুলাই) অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল হাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতবার ডিজিটাল হাটে তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার বিক্রি করতে পেরেছি। এবার এক লাখ বিক্রির টার্গেট। এক লাখ বিক্রি করতে পারলে ন্যূনতম পাঁচ লাখ লোক গরুর হাটে যাবে না। এছাড়া মানবসেবা প্ল্যাটফর্মে চামড়া বিক্রি করে মানুষের মধ্যে বিলি করে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এবার স্টোর পদ্ধতি চালু হয়েছে। গ্রাহক যখন গরু পেয়ে যাবেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা রিলিজ হবে। অনলাইনের মাধ্যমে গরু কিনতে পারবেন, বুকিং করে দিলে জবাই দিয়ে বাসায় মাংস পৌঁছে দেওয়া হবে। এক হাজার গরুর টার্গেট নিয়েছি।’
মেয়র বলেন, ‘যারা ১০ জুলাইয়ের মধ্যে কোরবানির গরু কিনে বুকিং দেবে তাদের কোরবানির মাংস আমরা বাসায় পৌছে দেবো।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডিএনসিসি ডিজিটাল অত্যান্ত দুরূহ ব্যাপার। এখানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসেছে। যেমন গতবার চ্যালেঞ্জ এসেছে টাকা দেওয়ার পর গরু যদি খারাপ হয় তাহলে কাকে ধরবো? এটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের স্ক্রো পদ্ধতি দিয়েছে।‘
স্ক্রো পদ্ধতি সম্পর্কে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্ক্রো পদ্ধতি হলো আপনি গরু কিনবেন; আপনার টাকা কিন্তু বিক্রেতা সরাসরি পাবে না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্টে যাবে। আপনি যখন নিশ্চিত করবেন আপনি গরুটা পেয়েছেন এবং গরু ঠিক আছে তারপরই টাকা ছাড় করবে। এই স্ক্রো পদ্ধতিতে নতুন প্লাটফর্মে কাজে লাগবে। কাজেই গরু কেনার পর ঠিক থাকবে না এটা আর হবে না এখন থেকে।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, ডেইরি মালিক সমিতির সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদ প্রমূখ।
এমআইআর/এডিবি/
