ন্যাভিগেশন মেনু

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুড়ি মেরে ভারতকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র দেবে রাশিয়া


রাশিয়া এবারও জোরালোভাবে ভারতের পাশে এসে দাঁড়াল। যেমনটি ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ চলার পক্ষে সমর্থন জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দিয়েছিল। ত্বরান্বিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন।

তেমনি এবার আমেরিকার আপত্তি এবং নিষেধাজ্ঞার হুমকি খারিজ করে ভারতের সঙ্গে S-400 মিসাইল সিস্টেমের হস্তান্তর প্রক্রিয়া এগোচ্ছে ঠিক পথেই। এই ভাষাতেই মোদি সরকারকে নিশ্চিন্ত করল রাশিয়া।

ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলে কুদাশভ সোমবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট জানান, চুক্তিমাফিক সঠিক সময়ের মধ্যে ভারতকে মিসাইলের ডেলিভারি দিতে রাশিয়া দায়বদ্ধ।

তিনি বলেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে কামোভ ২২৬ অ্যাটাক হেলিকপ্টার, একে ২০৩ রাইফেল তৈরি করবে ভারতের মাটিতেই। কৌশলগত কারণেই রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু ভারতের সঙ্গে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত করা হবে ভারতের যুদ্ধবিমান এবং অন্য সামরিক সরঞ্জামগুলিকেও।” এস- ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা কেনার জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে ভারত রাশিয়ার সঙ্গে ৫৪০ কোটি ডলারের ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষর করে।

শুধু ভারত নয়, এই অত্যাধুনিক মিসাইল সিস্টেম কিনছে চিন ও তুরস্ক। তবে গোড়া থেকেই ভারত ও তুরস্কের এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর হুমকিও দিয়েছে ওয়াশিংটন।

এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন রুশ রাষ্ট্রদূত। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ইসলামাবাদের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার একতরফা নিষেধাজ্ঞাকে স্বীকৃতি দেয় না রাশিয়া।

ভারতের আকাশকে অভেদ্য করে তুলতে অত্যাধুনিক এস-৪০০   মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত। ভূমি থেকে বায়ুতে আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০কে রাশিয়ার সবচেয়ে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা বলে মনে করা হয়।

২০১৪ সালে প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার থেকে এস-৪০০ কেনার চুক্তি করে চিন। তারপরই প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পড়শিদের বাগে আনতে প্রয়োজন এস-৪০০।

পাকিস্তানের কাছে প্রায় ২০ স্কোয়াড্রন মার্কিন এফ-১৬ বিমান রয়েছে। চিনের থেকেও বিপদের আশঙ্কা দিন-দিন বাড়ছে। ফলে দেশের সুরক্ষায় এই হাতিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এস এস