ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জে চাঁদাবজির অভিযোগ


করোনাকালীন সময়ে হবিগঞ্জ জেলা হাইওয়ে পুলিশের কোন চেকপোস্ট নেই। কিন্তু হাইওয়েতে ৪টি চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারণ যানবাহন চালকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ করেছেন হবিগঞ্জ ট্রাক-ট্র্যাংক লরী সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য মো ছাদেক মিয়া। 

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হবিগঞ্জ অংশের ৫৫ কিলোমিটার সড়কে মাধবপুর থানার জনপথ বিভাগের রেস্ট হাউজের সামনে ১টি, শায়েস্তাগঞ্জ থানার সামনে মসজিদের একটি অংশে, বাহুবল থানার মৌচাক নামক স্থানে ও নবীগঞ্জ থানার আউশকান্দি এলাকায় সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চেকপোস্ট বসিয়ে ট্রাক-ট্যাংক লরিসহ পিকআপ ভ্যান, আটক করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

টাকা দিতে অস্বীকার বা কেন টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে গাড়ীর লুকিং গ্লাস, ব্যাক লাইট, হেড লাইট ভেঙ্গে দেয়াসহ মামলা দেয়া হচ্ছে।

সমিতির অপর কার্যকরী কমিটির সদস্য মো উজ্জল মিয়া জানান, শায়েস্থাগঞ্জ থানার সামনে হাইওয়ের পাশের একটি মসজিদের সামনে মহাসড়কে দিনরাত ট্রাক-ট্যাংকলরি ও হালকা যানবাহন আটক করে টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ট্রাক-ট্যাংক লরি সমিতির সভাপতি মোঃ আওলাদ হোসেন জানান, চেকপোস্টের বিষয় নিয়ে হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার ও সিলেট শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি আবু সরকারসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেছেন। এমনকি জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।

সিলেট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ আবু সরকার বলেন, এই বিষয় নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে  অভিযোগ করা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে হাইওয়ের সিলেট বিভাগের পুলিশ সুপার শহীদুল্লাহ জানান, পুলিশের মহাপরিদর্শক মহোদয়ের নির্দেশ রয়েছে- হাইওয়েতে করোনাকালীন সময়ে কোন চেকপোস্ট  বসানো যাবেনা। বরং হাইওয়েতে চালকসহ সবাই যাতে মাস্ক পড়েন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখেন, ঘন ঘন হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারে সর্তক ও সচেতন করার পরামর্শ দিতে নির্দেশনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, হাইওয়ের এরিয়ার তুলনায় লোকবল, যানবাহনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এ ফাঁকে কেউ চেকপোস্ট বসাতেও পারে।

 এদিকে শায়েস্থাগঞ্জ, বাহুবল, নবীগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট লেগে থাকলেও ট্রাফিক পুলিশের সে দিকে নজর নেই।

এমআর/ এস এস