ন্যাভিগেশন মেনু

তামাবিল-ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে ফের আমদানি-রপ্তানি শুরু


বৈশ্বিক কভিড-১৯ এর কারণে পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর তামাবিল-ডাউকি স্থলবন্দর দিয়ে ফের শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সোমবার ভারত থেকে পাথর ও ফল বোঝাই চারটি ট্রাক  বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

বাংলাদেশ থেকে পণ্যবাহী কোনো ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেনি। আজ থেকে স্থলবন্দরটি দিয়ে পুরোদমে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশে দীর্ঘদিন থেকে কর্মহীন থাকা শ্রমিকদের মাঝেও ফিরতে শুরু করেছে  প্রাণচাঞ্চল্য। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৯ মার্চ থেকে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি। এতে বেকার হয়ে পড়েন স্থলবন্দরের কয়েক হাজার শ্রমিক। বন্ধ হয়ে যায় রাজস্ব আদায়ও। এলসি খুলে বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ীরাও।  আমদানি বন্ধ থাকায় সিলেটে সরকারি-বেসরকারি উন্নয়ন কাজে দেখা দেয় পাথর সংকট। এ অবস্থায় সোমবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তামাবিল স্থলবন্দর দিয়ে ফের শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি।

ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের সময় জীবাণুনাশক ছিটিয়ে স্যানিটাইজ করা হয়। ট্রাকচালকদের মধ্যে করোনার কোনো উপসর্গ আছে কিনা তা পরীক্ষা করেন স্থলবন্দরের মেডিক্যাল টিম।

তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন ছেদু জানান, পাঁচ মাস ধরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এলসি আটকা পড়ায় তাদের ব্যাংক ঋণের সুদ টানতে হয়েছে।

এছাড়া স্থলবন্দরের সঙ্গে জড়িত কয়েক হাজার শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েছিলেন। এখন আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় সবার মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

তামাবিল স্থলবন্দরের কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আমদানি-রপ্তানির জন্য তামাবিল স্থলবন্দর খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারত থেকে ৪টি ট্রাক এসেছে। দুই-একদিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকেও পণ্য রপ্তানি শুরু হবে।

তামাবিল স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া জানান, প্রায় পাঁচ মাস আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় সরকারও রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন আমদানি-রপ্তানি চালু হওয়ায় রাজস্ব আদায়ে ফিরবে তামাবিল স্থলবন্দর।

এস এস