ন্যাভিগেশন মেনু

তাড়াশ হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সই নষ্ট, রোগীদের ভোগান্তি


সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী বহনের জন্য কাগজে-কলমে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও দীর্ঘ ধরে নষ্ট থাকায় সেবা পাচ্ছেন না এই উপজেলার রোগীরা। তাই বাধ্য হয়ে জীবন বাঁচাতে জরুরি রোগীদের অতিরিক্ত পয়সা খরচ করে ভাড়ায় চালিত মাইক্রোবাসে যেতে হচ্ছে শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে।

অপরদিকে গত ১৫ বছর ধরে অকেজো এক্সরে মেশিন। কাগজ-কলমে ৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল হলেও গত ৯ বছর ধরে ৩১ শয্যার হাসপাতালের চিকিৎসাসামগ্রী ও লোকবল দিয়েই চলছে কার্যক্রম। আর এসব কারণেই প্রকৃত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, বিভিন্ন বিভাগে ১৭ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও এর বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৫ জন। এতে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ জনসাধারণ।

প্রায় ১৫ বছর ধরে হাসপাতালের এক্সরে মেশিনটি অকেজো থাকায় এক্সরে টেকনোলজিস্ট পদটি শূন্য। এর পরও চলছে নতুন মেশিনের তোড়জোড়। হাসপাতালে দুইটি আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন থাকলেও কোনো সনোলজিস্ট নেই। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় বেশিরভাগ যন্ত্রই নষ্ট হওয়ার পথে। এতে সরকারের লাখ লাখ টাকা জলে যেতে বসেছে। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে যেতে হচ্ছে শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। 

হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থার পরিবর্তনের জন্য আঞ্চলিক ও জাতীয় পত্রিকায় বার বার সংবাদ পরিবেশন হলেও কোনও পরিবর্তন হয়নি।

ভুক্তভোগী সেবাগ্রহীতা বাবুল শেখ জানান, হাসপাতালে কোনও অ্যাম্বুলেন্স নেই। ফোন করলে বলে অ্যাম্বুলেন্স নষ্ট। তাই জরুরি প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে বেশি টাকায় ভাড়ায় গাড়ি নিতে হয়।

এ নিয়ে ফেসবুকে গত ৩১ আগষ্ট একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল শেখ। তিনি লিখেছেন, 'অসুস্থ মাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যখন অ্যাম্বুলেন্স প্রয়োজন ঠিক সে সময় তাড়াশ হাসপাতালে সরকারি একটি অ্যাম্বুলেন্স নাই। সেবার মান সর্বনিন্মে।'

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. জামাল মিঞা শোভন বলেন, একটি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসিং করার জন্য দু’একদিনের মধ্যে বগুড়া পাঠানো হবে। 

এমএসএম/এডিবি/