ন্যাভিগেশন মেনু

দর্শনা রেলবন্দরে ১০ মাসে শতকোটি টাকা রাজস্ব আদায়


করোনাকালীন সময়ে চলতি বছরের ১০ মাসে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দর ও স্থল শুল্ক স্টেশন শুধুমাত্র ভারতীয় পণ্য আমদানি করে প্রায় ১০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।

তবে, এ পথে বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হলে উভয় দেশে রাজস্বের পরিমাণ দ্বিগুণ হতে পারতো। 

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট মীর লিয়াকত আলি বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, ভুট্টা ও পাথর আমদানি করে রেল ভাড়া বাবদ ৪৯ কোটি ৩০ লাখ ১ হাজার টাকা আদায় হয়েছে। সেই সাথে দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশন ৪৭ কোটি ৪৩ লাখ ৪ হাজার টাকা রাজস্ব আদায় করেছেন।

দর্শনা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট ও খান ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী মো: রানা খান বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, দর্শনা একটি আন্তর্জাতিক রেল বন্দর কিন্তু সরকার এখান থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেলেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়নি, বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ অবস্থা দেখে দেশের অনেক আমদানিকারকরা এ বন্দর দিয়ে মালামাল আমদানি করতে নিরুৎসাহিত হয়ে ফিরে যায়।

দর্শনা স্থল শুল্ক স্টেশনের উপ-পরিচালক মো: শাফায়েত হোসেন বাংলাদেশ পোস্টকে জানান, করোনার কারনে রাজস্ব কিছুটা হ্রাস পেয়েছে, তবে পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, ভুট্টার পাশাপাশি ভারত থেকে জিরা, গরম মসলা ও ফল জাতীয় দ্রব্যাদি আমদানি করা হলে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব ছিলো।

দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বাংলাদেশ পোস্টকে জানান,  এ বন্দরের মাধ্যমে মালামাল আমদানির পাশাপাশি রপ্তানি করা গেলে উভয় দেশের রাজস্ব বৃদ্ধি পেতো, বন্দর শ্রমিকরা বছরের ১২ মাস কাজ করতে পারতো, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরের সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে যেতো। 

এনআই/এডিবি