ন্যাভিগেশন মেনু

দিনাজপুর সীমান্তে বেড়েছে চোরাচালান


ভারত সীমান্তবেষ্টিত দিনাজপুর জেলার সীমান্ত দিয়ে বেড়েছে মাদক চোরাচালান। অস্বাভাবিক লাভজনক হওয়ায় এবং জেলার প্রায় সর্বত্রই একপ্রকার অবাধেই মাদক বেচাকেনা চলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সীমান্তের মাদক চোরাকারবারীরা।

এই অবস্থায় সীমান্তে মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে মাদক চোরাকারবারীদের সাথে র‌্যাব সদস্যদের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনার এক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাসহ র‌্যাবের দুই সদস্য সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে ঢুকে পড়লে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ তাদের আটক করে নিয়ে যায়।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আহত র‌্যাবের দুই সদস্যকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।

ওই দুই র‌্যাব সদস্য হচ্ছেন - র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি (সিপিসি)-১ এর উপ-অধিনায়ক এএসপি শ্যামল শর্মা ও কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে ব্যাপকভাবে মাদক চোরাচালান বেড়ে যাওয়ায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার আমতলী স্বরস্বতীপুর সীমান্তের সমজিয়া মন্ডলপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে সাদা পোশাকে মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে যায় র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১ এর ৫ সদস্য। সীমান্ত এলাকায় র‌্যাব সদস্যরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে এক ভাগে ৩ জন এবং আরেক ভাগে ২ জন র‌্যাব সদস্য ভিন্নভাবে অভিযান শুরু করে। কিন্তু অজ্ঞতাবশত সীমান্ত পিলার ৩০৭/১ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে যায় র‌্যাব সদস্যরা। সেখানে ৩ জন র‌্যাব সদস্যের দলটি ভারতীয় এক চোরাকারবারীকে আটক করে।

এ সময় অন্য আরও ৮/১০ জন চোরাকারবারী এসে র‌্যাব সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এতে র‌্যাব সদস্যদের সাথে চোরাকারবারীদের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেখানে র‌্যাবের ৩ সদস্য আত্মরক্ষার্থে এক রাউন্ড গুলি চালিয়ে কৌশলে পালিয়ে আসে। গুলির শব্দ শুনে অপরপ্রান্তে থাকা ২ র‌্যাব সদস্য তাদের উদ্ধারে এগিয়ে যায়।

এ সময় ওই ২ র‌্যাব সদস্যের উপরও হামলা চালায় মাদক চোরাকারবারীরা। খবর পেয়ে ভারতের সমজিয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে র‌্যাব-১৩ দিনাজপুর সিপিসি-১ এর উপ-অধিনায়ক এএসপি শ্যামল শর্মা ও কনস্টেবল আবু বক্কর সিদ্দিককে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে গিয়ে আহতাবস্থায় ক্যাম্পে আটক রাখে। রাত পৌনে ১২টায় বিজিবি এবং বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃত দুই র‌্যাব সদস্যকে বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরেই মাদক চোরাকারবারীদের তৎপরতা বেড়ে গেছে। অবাধে মাদক চোরাকারবার চলায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে মাদক চোরকারবারীরা।

এমএএস/ ওয়াই এ/এডিবি